এমতাবস্থায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের নির্দেশে ফের অভিযান চলছে কক্সবাজারের বিভিন্ন উপজেলার বাজার গুলোতে।এ অভিযানকে কেদ্র করে বেশ বিপাকে পড়েছে অসাধু পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা। অভিযান চলাকালীন পেঁয়াজ এর দাম কমে যাওয়ায় পেঁয়াছ কিনতে সাধারণ ক্রেতারা ভিড় করছে পেঁয়াজ এর দোকান গুলোতে।
যেখানে মোবাইল কোর্ট উপস্থিত হচ্ছেন সেখানে ন্যায্য মূল্যে পেঁয়াজ কেনার হিড়িক পড়েছে। অনেকেই লাইন ধরে পেঁয়াজ কিনতে দেখা গেছে। কারন অভিযান চলাকালীন ৫০ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের জরিমাণা ও ৫০ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রির ভয়ে দোকান বন্ধ করে পালিয়ে যায় অনেক দোকানি। বুধবার ১৬ অক্টোবর সন্ধ্যায় কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁও বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষকারীদের কয়েকজন জানান,
বুধবার সন্ধ্যা নাগাত কক্সবাজার সদরের
সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নিবার্হী ম্যাজিষ্ট্রেট শাহরিয়ার মোক্তারের নেতৃত্বে বৃহত্তর ঈদগাঁও বাজারে পেঁয়াজ এর আড়ত ও দোকান গুলোতে অভিযান চালানো হয়।
এসময় অভিযান চলাকালীন পেঁয়াজ কেজি প্রতি ৫০টাকা বিক্রির খবর ছড়িয়ে পড়ে। এতে করে শত শত সাধারণ ক্রেতা ৫০টাকা দামে পেঁয়াজ কিনতে ভিড় করে দোকান গুলোতে।
অভিযান চলাকালীন দোকান বন্ধ করে পালিয়ে যাওয়ায়, রাসেল এন্টারপ্রাইজ নামে একটি দোকান সীলগালা করে দেয়া হয়।
এ ছাড়াও পেঁয়াজ এর দাম বাড়িয়ে রাখায় বার আউলিয়া বানিজ্যলয় ও নুরুল হক ট্রেডিং নামের দুই প্রতিষ্ঠানকে ৫০ হাজার করে একলাখটাকা জরিমাণা আদায় করা হয়।একই অভিযোগে আরোও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে ভিন্ন ভিন্ন ভাবে জরিমাণা সতর্ক করা হয়।
অভিযানের সময় উপস্থিত স্থানীয়
গণমাধ্যমকর্মী মিসবাহ উদ্দীন জানান, মোবাইল কোর্ট যে দোকানে যাচ্ছে সে দোকানে পেঁয়াজ ন্যায্য মূল্যে বিক্রি হতে দেখাগেছে। এটি সাধারণ মানুষ আচঁ করতে পেরে পেঁয়াজ এর দোকান গুলোতে ভিড় করেন। এবং শত শত সাধারণ ক্রেতারা ৫০থেকে ৫৫টাকার দামে পেঁয়াজ কিনতে পেয়ে খুশি মনে বাড়ি ফিরেছেন বলে জানান তিনি।
ভ্রাম্যমাণ অভিযান পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহারিয়ার মোক্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।তিনি জানান, অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান থাকবে। তিনি সাধারণ ক্রেতাদের বেশি দামে পেঁয়াজ কেনা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানান।এবং বাড়তি দামে পেঁয়াজ বিক্রি করলে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে খবর দেয়ার অনুরোধ জানান।
একই ভাবে কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বাজার গুলোতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। বাজার নিয়ন্ত্রণ না আসা পর্যন্ত এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসন। মিয়ানমার থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াছ ৫০টাকা ও ভারত থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজ ৭০ টাকা করে মূল্য নির্ধারণ করা হলেও এটি মানা হচ্ছে না।
তবে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের অনেকের দাবি যে দামে পেঁয়াজ বিক্রি করতে প্রশাসন থেকে বলা হচ্ছে, তার থেকে বেশি দামে তারা নিজেরাই পেঁয়াজ ক্রয় করছেন