• মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৬:৫৪ অপরাহ্ন

পরিবহণ হেলফার থেকে মাদক সম্রাট মহিউদ্দীন

বার্তা কক্ষ / ৩০৩ ভিউ টাইম
আপডেট : সোমবার, ২১ অক্টোবর, ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক

কক্সবাজার পৌরসভার সিটি কলেজ এলাকার মহিউদ্দীন পরিবহণের হেলফার থেকে হঠাৎ
আঙুল ফুঁলে কলাগাছ বনে যাওয়া তথ্য বের হতে শুরু করেছে। ইয়াবা,হিরোইন,মদ গাঁজাসহ ধ্বংসাত্মকমূলক বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা মাধ্যমে সে কোটি টাকার মালিক হয়েছেন।


অনুসন্ধান করে জানা যায়, গত ২০০৯ সালের দিকে মহিউদ্দীন খালি হাতে সৌদি থেকে দেশে ফিরে আসেন। পরে অভাবের তাড়নায় শ্যামলি পরিবহণে হেলফারের চাকরি নেন। একসময় জড়িয়ে পড়েন মাদকের ব্যবসার সঙ্গে। পরিবন সেক্টরে গড়ে তুলেন দেশব্যাপী মাদক সেন্ডিকেট।

মাদকের ব্যবসায় গড়ে তুললেন নিজেই বাড়ি গাড়ি ও বাড়াবাসাসহ কোটি টাকার সম্পদ। তা ছাড়াও দুই তিনটি সিএনজিসহ নামে বেনামে একাধিক গাড়ি রয়েছে বলে সূত্রে জানাগেছে। এর পরও লোভি মহিউদ্দীন এখনো ইয়াবা ব্যবসা করেই চলছেন। প্রতি সপ্তহে তার ইয়াবা যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়।

বহালতবিয়তে থাকা মহিউদ্দীন বিভিন্নসময় মদ গাজা হিরোইন নিয়ে একাধিকবার পুলিশের হাতে আটক হলেও ইয়াবা নিয়ে কখনো আটক হতে হয়নি।

স্থানীয়দের দাবি মহিউদ্দীনকে আটক করা হলে সাহিত্যিকা পল্লীর এলাকার মাদকের গ্রাস অনেকটাই কমে আসবে। সে সঙ্গে তাকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞেসাবাদ করা হলে পরিবহণ সেক্টরের অনেক ইয়াবা কারবারিদের নাগাল পাওয়া যাবে।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে মহিউদ্দীনের এক আত্মীয় দাবি করে তার বাড়িতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালালে ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য পাওয়া যাবে। তিনি আরোও দাবি করেন, মহিউদ্দীন, বর্তমানে নিজ এলাকায় ইয়াবার একটি সেন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন। যার মাধ্যমে পর্যটন শহরে বিভিন্ন স্থানে ইয়াবা বিস্তার করেই চলছে।

সচেতন মহলের দাবি মাদকমুক্ত করতে হলে মহিউদ্দীনের মত চিহৃত মাদক কারবারিদের আইনের আওয়াতায় আনা জরুরি। না হয় এদেশের যুবসমাজ ধ্বংস হতে বেশি সময় লাগবে না বলে তাদের অভিমত।


আরো বিভন্ন বিভাগের নিউজ