• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৫১ অপরাহ্ন

মোটা অঙ্কের চাঁদার দাবিতে মাতারবাড়ীতে আনছার মেম্বারের চিংড়িঘেরে সন্ত্রাসীদের তান্ডবঃ আহত-২

নিউজ রুম / ১৬৫ ভিউ টাইম
আপডেট : রবিবার, ২৭ অক্টোবর, ২০১৯

নিজস্ব সংবাদদাতা,মহেশখালীঃ

মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী ইউনিয়নের উত্তর প্রান্তের ১২০০ একর সিঙ্গাপুর প্রজেক্টের আওয়াতার বাহিরে বান্ডি সিকদার পাড়া এলাকার প্রচ্ছদ খোলা প্রকাশ ভেঙ ঘোনার মালিকের কাছ থেকে অবৈধ পন্থায় পানি বাহির ও ডুকার জন্য মোটা অঙ্কের চাঁদার দাবিতে স্থানিয় প্রভাবশালীরা হামলা চালিয়েছে।

জানাযায়, ২৭ অক্টোবর শনিবার গভীর রাত দেড়টার দিকে উপজেলার মাতারবাড়ী ইউনিয়নের সাবেক এমইউপি সদস্য আনছারের মালিকানাধীন ভেঙ ঘোনা চিংড়ি ঘেরে হামলা করে তান্ডব চালিয়েছেন মাতারবাড়ী সিকদার পাড়া গ্রামের বাসিন্দা জাফর আলম ও একই এলাকার কাসেমের নেতৃত্বে একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী। এসময় তারা অস্ত্রের মূখে ঘের কর্মচারীদের জিম্মী করে ঘের কামারের মূল্যবান জিনিস পত্র ভেঙ্গে তচনছ করে দেয়। বাঁধা দিতে গেলে হামলাকারীরা ঘের কর্মচারিদের মারাত্মক আঘাত করে হাত তেঁতলিয়ে দিয়েছেন।

আহত ঘের কর্মচারিরা হলেন, স্থানিয় বান্ডি সিকদার পাড়া গ্রামের বাসিন্দা জকির আহমদের ছেলে কামরুল হাসান (২৮), গিয়াস উদ্দিনের পুত্র মোঃ নাজির হোসাইন (২৪)।

ভেঙ ঘোনার ইজারাদার আনছারের মেম্বারের ভাষ্যমতে, জমির মালিকদের হালসনের টাকা দিয়ে তিনি চিংড়ি প্রকল্পটি করে আসছিলেন। তবে তার চিংড়ি প্রকল্পে পলব্রোট দিয়ে সাগরের পানি চলাচল করতে টাকা দাবি করে আসছিলেন প্রভাবশালী চক্রটি।

তিনি আরও জানান, টাকা না দেওয়ায় চক্রটি আমার চিংড়ি ঘেরে এসে পানি চলাচলের পলব্রোট বন্ধ করে দেয়। ফলে চিংড়ি ঘেরের আশ-পাশের ঘরবাড়ি পানিতে প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়। পানি চলাচলের পলব্রোটটির দরজা খুলে দিলে তাঁরা তৈলে বেগুনে জ্বলে উঠে আমার ঘেরের কর্মচারিদের হামলা চালায়।

জানাগেছে, সরকারের মেগা প্রকল্পের মধ্যে সিঙ্গাপুর প্রজেক্টের ভিতরে মাতারবাড়ী কোহেলিয়া নদীর সাথে লাগায়ো ফার্ম ঘোনাটি অধিগ্রহণ করা হয়। কিন্তু অধিগ্রহন করার পর একটি অশুভ চক্র সংশ্লিষ্টদের বষে এনে ফার্ম ঘোনাটি করে আসছিল। তবে উক্ত ঘোনা সাগরের সন্নৈকটে হওয়ায় অন্যান্য চিংড়ি প্রকল্পে পানি চলাচলের রাস্তার ফার্ম ঘোনার পানি চলাচলের একই রাস্তার উপর দিয়ে। সে সুবাধে ফার্ম ঘোনার চক্রটি ভেঙ ঘোনার মালিকের কাছ থেকে চাঁদা দাবি করে আসছে। যা সম্পূর্ণ আইনের পরিপন্থি। এছাড়া অভিযোগ রয়েছে ফার্ম ঘোনার উপর দিয়ে লবণ চাষিরা লবন পরিবন করতে গেলে প্রতিমন ৩০ টাকা করে দাবি করে ফার্মঘোনার গংটি বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানাগেছে। যদি তাদের উপযুক্ত টাকা না দেয় শারিরীকভাবে নির্যাতন করা হয় লবণ চাষিদের এমনও অভিযোগ রয়েছে।

মাতারবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দু রহিম বলেন, ভেঙ ঘোনায় চাঁদার দাবিতে হামলার বিষয়টি অতন্ত দুঃখজনক। সরকারের অধিগ্রহণকৃত প্রকল্পের ভিতর যদি কেউ অবৈধ ভাবে যদি চিংড়ি ঘের করলে তাও অবৈধ। তারা পানি চলাচল করলে চাঁদাদাবি করার প্রশ্ন উঠেনা।

কোল পাওয়ার মাতারবাড়ী সাইড অফিসের প্রধান প্রকৌশলি মোঃ মনির বলেন, এ বিষয়ে আমি অবগত নই। তবে এব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরো বিভন্ন বিভাগের নিউজ