• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:০৪ অপরাহ্ন

বাবার লাশ বাড়িতে রেখে পরিক্ষায় অংশগ্রণকারী সে তাওসিফ পেল জিপিএ-৫

নিউজ রুম / ২৮১ ভিউ টাইম
আপডেট : মঙ্গলবার, ৭ মে, ২০১৯

জসীম উদ্দীন : শিক্ষক বাবার লাশ বাড়িতে রেখে পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন তাওসিফ। সেদিন বাবার লাশ একটি পলক দেখে দু’চোক মুছতে মুছতে পরিক্ষা কেন্দ্রে উপস্থিত হয় এ মেধাবী ছাত্র। গত৭ফ্রেব্রুয়ারী তাওসিফের ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের পরিক্ষার দিন ভোরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার বাবার মৃত্যু হয়।

সেদিন পরিক্ষ কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে শিক্ষকদের প্রশ্নের জবাবে তাওসিফ বলেছিলেন, যখন প্রাইমারিতে পড়ি তখন বাবা ক্লাসে সব সময় বলতেন, বাড়িতে কেউ মারা গেলেও তার লাশ এক পাশে রেখে ক্লাসে যেতে হবে, পরীক্ষা দিতে হবে। তাই আমি বাবার আদেশ পালন করছি।

সোমবার ৬মে তাওসিফের এসএসসি
পরিক্ষার ঘোষিত ফলাফলে জিপিএ-৫ পেয়েছেন তাওসিফ। তাওসিফের চাচি শাকেরা বেগম জানান,ফলাফল শুনে কান্নায় ভেঙ্গা পড়েন তাওসিফ। কান্নাজড়িত কণ্ঠে সে বার বার বলছে, বাবা তোমার ছেলের জিপিএ-৫ পেয়েছে তুমি মিষ্টি নিয়ে বাড়িতে আসো।

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায় গোঁয়াখালী এলাকায় তাওসিফদের বাড়ি। তার বাবা নাজিম উদ্দিন পূর্ব গোঁয়াখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন।পরিক্ষার ফলাফলের অনুভূতি জানাতে গিয়ে তাওসিফ বলেন, জীবিত বাবার চেয়ে মৃত বাবা আমাকে অনুপ্রাণিত করেছেন বেশি। পরীক্ষা দিয়ে আমি কাঙ্ক্ষিত ফল পেয়েছি। এ জন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া।

তাওসিফের চাচা পরিচয়ে মুইনুল হক জানান, তাওসিফের বাবার এই এলাকায় শিক্ষা ক্ষেত্রে অনেক অবদান। তিনি সবসময় শিক্ষা বঞ্চিত শিক্ষার্থীদের পাশে তাড়াতেন।এবং তাদের পড়াশোনার প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা করে দিতেন। ঠি বাবার মতই হয়েছে তাওসিফ। আগামী প্রজন্ম তাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।


আরো বিভন্ন বিভাগের নিউজ