ডেস্ক রিপোর্ট: ভোলার চরফ্যাশন থেকে মনপুরায় স্পিডবোটযোগে শ্বশুরবাড়ি ফেরার পথে গৃধবধুকে ধর্ষণ করছিলেন ৪ যুবক। চালক তখন ফোন করেন স্পিডবোটের মালিককে। মালিক এসে ওই ৪ ধর্ষককে মারধর করে তাড়িয়ে দিয়ে আড়াই মাসের সন্তানের সামনে নিজেই আবার ধর্ষণ করেন ওই গৃহবধুকে।

শনিবার ২৬ অক্টোবর উপজেলার মনপুরার দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়ন শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম (৩০) এ কাণ্ড ঘটিয়েছেন। রবিবার ২৭ অক্টোবর এ ঘটনা প্রকাশ পায়।

স্থানীয়রা জানান, দুপুরে নিজের শিশু সন্তান নিয়ে বেতুয়া লঞ্চঘাট থেকে স্প্রিডবোটে করে ওই গৃহবধূ শ্বশুরবাড়ি ফিরছিলেন। ওই স্পিডবোর্ডে ছিলেন সাকুচিয়ার রহমানপুর গ্রামের বেলাল পাটোয়ারী (৩৫), মো. রাসেদ পালোয়ান (২৫), শাহীন খান (২২) ও কিরণ (২৬)। স্প্রিডবোটটি কিছুদূর যাওয়ার পর চরের মধ্যে জোর করে নামিয়ে তাকে ধর্ষণ করে চার পুরুষ যাত্রী। স্পিডবোটের চালক রিয়াজ বিষয়টি স্পিডবোটের মালিক সাকুচিয়া ইউনিয়নের সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি নজরুলকে জানালে তিনি অপর একটি স্পিডবোট নিয়ে ঘটনাস্থলে আসেন। এ সময় তিনি ওই ৪ ধর্ষককে মারধর করে তাদের কাছে থাকা ৩ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেন। এরপর নজরুল নিজে ওই গৃহবধূকে চরের ভেতরে নিয়ে ধর্ষণ করেন।

ঘটনাটি চরের বাতাইন্নারা (মহিষের রাখালরা) দেখে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান অলি উল্লাহ কাজলকে জানান। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তিনি (চেয়ারম্যান) চরপিয়াল থেকে ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে মনপুরায় নিয়ে আসার ব্যবস্থা করেন।

মনপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাখাওয়াত হোসেন জানান, গণধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষিতা বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন। স্পিডবোটটি জব্দ করা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।