• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০১:১৬ পূর্বাহ্ন

দৈনিক কক্সবাজার এ প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা

নিউজ রুম / ১৯১ ভিউ টাইম
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর, ২০১৯

[বার্তা পরিবেশক]
মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের ভুঁয়া কাগজ দেখিয়ে ২কোটি টাকা ১১লাখ টাকা আত্মসাৎ
এ সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এটি সত্য নয়। বরং আমার কাগজপত্র যিনি ভুয়া বলে ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে গণমাধ্যমকে দিয়ে বিভ্রান্তমূল সংবাদ পরিবেশন করিয়েছেন তার কাগজপত্র ও দলিল গুলো মাদার দলিল নয়। সে কেনা দলিল দেখিয়ে একটি আমার জন্য অভিযোগ দিয়েছে অথচ একেইদিন ফেরৎ নেয়া কোন দলিল বাদী দেখাননি। একই ভাবে প্রশাসনকে বিভ্রান্তমূল তথ্য দিয়ে আমাকে অযথা হয়রানি করে যাচ্ছেন তিনি। গত এক মিছিল ধার্য তারিখে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা উভয়কে মূল কাগজপত্র ও দলিল নিয়ে উপস্থিত থাকতে বলেন, কিন্তু অভিযোগকারী ব্যাক্তি কোন সঠিক দলিল না থাকায় তিনি উপস্থিত হননি। আর আমার নিজের জমি ক্ষতিপূরণের কাজ নিজে করছি বলে কি আমি দালাল। এর জবাব আদালতের মাধ্যমে দেয়া হবে।

অথচ মূল সত্য এই যে মাতারবাড়ি মৌজার বিএস ২১৭৩ নম্বর খতিয়ানের বি এস দাগ ১২৯, ১৪০, ১৪৪ যাহার আর এস দাগ ৩২২, ৩২৩, ২৪৮, ৩২৮, ২৯৬, ২২২ ও ২২৮ হয় এবং ২১৭৫ নং বি,এস, ১৩৮ দাগ বা আর,এস, ৩২১, ৩২২ দাগ হয়। বর্ণিত তাগাদি এম,আর,আর,খতিয়ান নং ৭২৬ নম্বর খতিয়ানের জনাব নুরুল হক গং পিতা আব্দুল জলিলের সহ শতাধিক ব্যক্তি ৩৩৩.৬২ একর জমির মালিক মর্মে প্রচারিত আছে।

১৯৭৭ সন পর্যন্ত তপসীলোক্ত জমি নুরুল হক পিতা আব্দুল জলিলের নামে দখল আমল ছিল উক্ত নুরুল হক টাকার জন্য জনাব হাজী মোহাম্মদ ইদ্রিসকে তখনকার প্রচলিত নিয়মে একটা সাফ কবলা নম্বর ৬৩১ এবং ৩.২০ একর জমি বন্ধক প্রদান করায় ফেরত দানের অঙ্গীকার পত্র বা এগ্রিমেন্ট মূলক অপর একটা রেজিস্ট্রি দলিল নম্বর ৬৩৩ একই তারিখ তথা ২৬/০৫/৭৭ সনে রেজিস্ট্রি হয়।

পরবর্তী উভয়ের মধ্যে ২৮/০৫/৭৭ সনে বন্ধক দলিল ঘন্যে ৬৪০ নং সাফ কবলা এবং ৬৪১নং ফেরত কবলার আরও ৩.২০ একর জমি নুরুল হক জনাব হাজী ইদ্রিস কে বন্ধক দেন।
তৎপরবর্তী উক্ত সময় জরীপ কার্য চলমান থাকায় ৬৩১নং ও ৬৪০নং কবলা দলিলের অনুবলে বর্ণিজ জমি বি,এস, ২১৭৩ ও ২১৭৫ নং খতিয়ানের ইদ্রিস মিয়ার নাম মালিক হিসেবে আসে। সেই সুযোগে ইদ্রিস মিয়া বিভিন্ন জনের নামে বি,এস, করে নেন। যাহা আইনে স্বত্ব প্রতিষ্ঠিত হয় না।

P.O ৮৮/১৯৭২ মতে যদি কোন সাফ কবলা দলিলের সাথে ফেরত দেওয়ার অঙ্গীকার মূলক তথ্য লিপিবদ্ধ থাকিলে বা পৃথক কবলা রেজিস্টার ভুক্ত হইলে তাহা বন্ধক দলিল হিসেবে গণ্য হইবে মর্মে সরকারি নির্দেশনা আছে, রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইনের ৯৫ (ক) ধারা মতে বা P.O ২৪/১৯৭৩ মতে বন্ধকী দলিল, বন্ধক দাতা গনের টাকা ফেরত দানের অপারগ হইলেও তাহা ৭ বছর পর পুনরায় বন্ধক দাতার স্বত্ব প্রতিষ্ঠিত হয়। তৎ হিসাবে নুরুল হকের শর্ত যথাযথ হয়।
সুতারাং অভিযোগকারী দুর্বল দলিল নিয়ে কোনধরনের কুল কিনারা না পেয়ে মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছেন।

প্রতিবাদকারী
আবদু রহমান
পিতা,মৃত নুরুল হক,
ঠিকানাঃ মাতারবাড়ি, মহেশখালী।


আরো বিভন্ন বিভাগের নিউজ