বাংলাদেশের উপকূলের দিকে এগোতে থাকা ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ এরই মধ্যে প্রবল আকার ধারণ করেছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা থেকে ৫৫০ কিলোমিটারের বেশি দূরে অবস্থান করছে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ ঘণ্টায় ১২৫ কিলোমিটার বেগের বাতাসের শক্তি নিয়ে ধেয়ে আসছে উপকূলের দিকে, আপাতত এর গতিমুখ সুন্দরবনের দিকে।
দুপুর আড়াইটার দিকে আবহাওয়া অধিদফতরের কর্মকর্তারা জানান, ঘূর্ণিঝড়টি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিম, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিম, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিম এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে।
আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বিবিসিকে জানান, ঘূর্ণিঝড়টির বর্তমান গতি এবং দিক যদি বজায় থাকে তাহলে রোববার দিবাগত রাত এবং সোমবার সকালের মধ্যে বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে। তবে গতি বৃদ্ধি পেলে এর আগেও ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি কখনও বেশি গতি পাচ্ছে, আবার কখনও থেমে যাচ্ছে। গতিবেগ কখনও বেশি হচ্ছে, কখনও কম হচ্ছে।”
তবে বঙ্গোপসাগরে যেসব ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি হয়, উপকূলে আঘাত করার আগে সাধারণত সেগুলোর শক্তি বৃদ্ধি পায়। আবার কখনও কখনও দুর্বল হওয়ার নজিরও রয়েছে তিনি জানান।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার, যেটি দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে।
বর্তমান গতিপথ অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের খুলনা-বরিশাল অঞ্চলে আঘাত করার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান আবহাওয়াবিদ মল্লিক।
এদিকে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা এবং পায়রা সমুদ্রবন্দরের জন্য চার নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত জারি করা হয়েছে।
সূত্রঃ জাগো নিউজ।