অনলাইন ডেস্ক
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, চাঁদাবাজ, মাদক ব্যবসায়ী, লুটেরা, সন্ত্রাসী ও দুর্নীতিবাজরা সাবধান। আওয়ামী লীগে এদের ঠাঁই হবে না। বসন্তের কোকিলদের এনে দল ভারী করার চেষ্টা করবেন না। দল দুঃসময়ের কর্মী চায়, বসন্তের কোকিল চায় না। স্পষ্টভাবে বলতে চাই, আওয়ামী লীগে দূষিত রক্ত আর চাই না। দূষিত রক্ত বের করে দিতে হবে, বিশুদ্ধ রক্ত সঞ্চালন করতে হবে।
সোমবার রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে স্বেচ্ছাসেবক লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। এ সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে কাদের বলেন, মনে রাখবেন, ক্ষমতা কারও চিরদিন থাকে না। ক্ষমতার দাপট দেখাবেন না।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, এমন নেতাকর্মী চাই না, দুঃসময় এলে যাদের হাজার পাওয়ারের বাতি জ্বালিয়েও খুঁজে পাওয়া যাবে না। যাদের সাহস ও ক্লিন ইমেজ আছে, আশা করি স্বেচ্ছাসেবক লীগ মহানগরের সম্মেলনে তাদের নেতৃত্বের দ্বার উদ্ঘাটন হবে।
এক পর্যায়ে ওবায়দুল কাদের নেতাকর্মীদের মাদক, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, ভূমি দখল ও অন্যের বাড়ি দখলকে ‘না’ বলার ঘোষণার দেন। তিনি বলেন, মেসেজ পরিস্কার- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই মেসেজ সম্মেলনের কর্মী-নেতাদের কাছে দিয়ে গেলাম। এ সময় নেতাকর্মীরা সমস্বরে এসব থেকে দূরে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, মনে রাখবেন, খারাপ আচরণের কারণে এতসব সোনালি অর্জন যেন ম্লান হয়ে না যায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশিত চলমান শুদ্ধি অভিযান সব রাজনৈতিক দল ও সেক্টরে চালানো হবে। প্রধানমন্ত্রী বারবার জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। এখনও তাকে বুলেট তাড়া করে ফিরছে, পিতা বঙ্গবন্ধুর মতো তিনিও আছেন ঝুঁকিপূর্ণ পথচলায়।
সোমবার স্বেচ্ছাসেবক লীগের নগর দক্ষিণের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হলেও ১৬ নভেম্বর সংগঠনের জাতীয় সম্মেলনের সঙ্গে মহানগর নেতৃত্ব ঘোষণা করা হবে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।
মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি দেবাশীষ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও বক্তৃতা দেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুস সবুর, উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের জাতীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক নির্মল রঞ্জন গুহ, সদস্য সচিব গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু, মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান টিটু প্রমুখ।
সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। এতে মহানগর দক্ষিণের নেতৃত্বে আসতে প্রার্থিতার আহ্বান করা হয় ও কাউন্সিলরদের মতামত নেওয়া হয়।