• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৩৭ অপরাহ্ন

তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশের গড়ি-মসি মহেশখালীতে সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী অপহরনের পর যৌন হয়রানির শিকার ১ ঘন্টার পর উদ্ধার

নিউজ রুম / ২৫৬ ভিউ টাইম
আপডেট : মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর, ২০১৯

নিজস্ব সংবাদদাতা,মহেশখালীঃ
মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের’ সপ্তম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে অপহরনের ১ ঘন্টার পর স্থানীয় জনতার সহযোগীতায় উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানাগেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত ৭ নভেম্বর বুধবার দুপুর ১টার দিকে হোয়ানক আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফেরার পথে আগে থেকে উৎপেতে থাকা (পূর্ব মাঝের পাড়া) নামক স্থানে পৌঁছা মাত্রই পূর্ব মাঝের পাড়া এলাকার বাসিন্দা ইলিয়াছ প্রকাশ মোখলেছের পুত্র বখাটে ছেলে মোস্তফা ও সরওয়ার (সংগত কারণে ছাত্রীর নাম প্রকাশ করা হলনা) ছাত্রীটিকে টানা হেচড়া (বিবস্ত্র) করে অপহরণ করে পূর্বদিকের পাহাড়ে নিয়ে যাওয়ার সময় তার স্পর্শ কাতর স্থানে হাত দিয়ে যৌন হয়রানির চেষ্টা করে।

বিষয়টি তাক্ষনিক এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীয় জনতার সহযোগিতায় ছাত্রীটিকে উদ্ধার করে বাড়ীতে পৌঁছে দেয়। নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের বড় ছড়া পূর্ব মাঝের পাড়া গ্রামের মৃত হোছাইনের কন্যা । সে হোয়ানক বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেনীর ছাত্রী। তার বয়স আনুমানিক (১২) বছর।

খোঁজ নিয়ে জানাযায়, বিষয়টি তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ গড়িমসি করতেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অপহরণ হওয়া মেয়েটির চাচা শাহাজাহান আক্ষেপ করে বলেন, অপহরন করে নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় জনতার সহযোগীতায় উদ্ধারের ৭ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরেও অপহরণকারী মোস্তফা ও সরওয়ার এখনো গ্রেপ্তার হয়নি ও তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। আমরা সু-বিচারের আশায় প্রশাসনের ধারে ধারে ঘুরে বেড়াচ্ছি।

এ ব্যাপারে হোয়ানক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোস্তফা কামাল জানান, ৭ম শ্রেণীর ছাত্রীকে অপহরনের বিয়ষটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমাকে অবগত করেছে তখন আমি প্রধান শিক্ষককে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি।

হোয়ানক বহুমখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আবু তাহের জানান, আমার স্কুলের ছাত্রীকে অপহরনের বিষয়টি আমি শুনার পর প্রশাসনকে অবগত করেছি। অপহরনকারী মোস্তফা ছাত্রটিকে টানাহেচড়াঁ করে পরনের কাপড় ছোপড় ছিড়ে ফেলেছে বিষয়টি অতন্ত দুঃখজনক। এব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তেক্ষেপ কামনা করছি।

মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ জামিরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি মেয়ের অভিবাবক আমাকে জানানোর পর আমি দ্রুত থানা পুলিশকে অপহরণকারীর বিরোদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পরমার্শ দিয়েছি।


আরো বিভন্ন বিভাগের নিউজ