• মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৮:০৩ অপরাহ্ন

খরুলিয়া’য় শিবির ক্যাডারের নেতৃত্বে কৃষক পরিবারের উপর হামলা, আহত ৫

নিউজ রুম / ১৩৫৭ ভিউ টাইম
আপডেট : রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০১৯

রামু সংবাদদাতাঃ

পূর্ব খরুলিয়া নয়াপাড়া এলাকায় অসহায় কৃষকের জায়গা দখল করার জন্য দেশীয় তৈয়ারি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ডেইংগা পাড়ার সাবেক শিবির ক্যাডারের নেতৃত্বে দিন দুপুরে এক অসহায় কৃষক পরিবারের উপর বর্বর নির্যাতন চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে। সন্ত্রাসীদের আক্রমণে আহাত হয়েছ ৫ জন। অসহায় কৃষক পরিবারের ৩ সদস্য মুক্তার, আজিজুর রহমান, মুজাম্মেলহককে উল্টো ধরে নিয়ে গেছে কক্সবাজার সদর থানার পুলিশ। এই ঘটনায় এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। ২৩ নভেম্বর শনিবার সকাল ৯ টায় কক্সবাজার সদর উপজেলা খরুলিয়া নয়াপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। অসহায় কৃষক মকবুল আহমদ জানান তার পৈতৃক সূত্রে প্রাপ্ত একমাত্র সম্বল ১০ শতক জায়গা দখল করার জন্য সন্ত্রাসীরা দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এতে নিরুপায় হইয়ে অসহায় কৃষক মকবুল আহাম্মদ স্থানীয় চেয়ারম্যান টিপু সুলতান ও মেম্বার আবদু রশিদ কে বিচার দে। কিন্তু তারা বিচার নামানায় চেয়ারম্যানের পরামর্শে অসহায় কৃষক মকবুল আহাম্মদ কক্সবাজার সদর থানায় লেখিত অভিযোগ দে। থানার বিচার ও অমান্য করে বিভিন্ন সময় কৃষক মকবুল আহাম্মদ কে প্রকাশ্য প্রাণনাশের হুমকি দেয় সন্ত্রাসীরা। পরবর্তীতে রামু-কক্সবাজার আসনের এমপি সাইমুম সরওয়ার কমলকে জায়গা দখলের বিষয় নিয়ে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অবহিত করে কৃষক মকবুল আহাম্মদ। সাংসদ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে কৃষক মকবুল আহাম্মদের ঘটনাটি সমধান করে দেওয়ার জন্য দায়িত্ব প্রদান করে। এলাকার সালিশ কারগন ঘটনাটি সমধান করার জন্য বার বার ডাকলেও তারা সাড়া দেয়নি। কৃষক মকবুল আহাম্মদ জানান ঘটনার দিন সাবেক শিবির ক্যাডার ও সাবেক মেম্বার আব্দুল হামিদ প্রকাশ মুনিয়ার নেতৃত্বে শামসুল হুদা, তারই ছেলে পারভেজ, রায়হান, রাইয়ান, ফারেস, আবদু শুক্কুরের ছেলে আব্দুল্লাহ,সহ বহিরাগত ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা আমার জায়গা দখল করার জন্য চেষ্টা করে, এতে আমি বাধা প্রদান করায় আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে তারা দেশীয় তৈরি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমাদের উপর হামলা করে। এই সময় মকবুল আহাম্মদ,তারায় স্ত্রী রুপিয়া আক্তার, ছেলে মোহাম্মদ শিরুয়ান,ভাই মোজাম্মেলহক,এবং পাড়ার সরদার মোহাম্মদ উল্লা গুরুতর আহত হয়। ঘটনার খবর শুনে এলাকার লোকজন আহাতদের উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করে, বর্তমানে রুপিয়া আক্তার, ও শিরুয়ানের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। বাকীদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা করে ছেড়ে দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কৃষকের জমি দখল করা কে কেন্দ্র করে বর্তমানে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে, যেকোনো সময় অপ্রীতিকর ঘটনা সংঘটিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এলাকাবাসী জানান অন্যায় ভাবে মকবুল আহাম্মদের পরিবারের উপর হামলা চালিয়েছে তারা। দেশের প্রচলিত আইন কানুন কিছু মানেনা তারা। সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান এলাকাবাসী। সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিয়েছে বলে মকবুল আহমদের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।


আরো বিভন্ন বিভাগের নিউজ

সোমালিয়া উপকূলে ২৩ নাবিকসহ জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’ তিনদিন ধরে একই অবস্থানে রয়েছে। তবে দস্যুদের সাথে জাহাজ মালিকপক্ষের কোনো যোগাযোগ হয়নি এখনও। ফলে নাবিকদের মুক্তির অপেক্ষা বাড়ছে। আজ মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) জিম্মিদশার ৮ দিন চলছে। নাবিকদের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে পরিবারের। এতে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় দিন কাটছে তাদের স্বজনদের। জানা গেছে, জাহাজটি বর্তমানে গ্যারাকাদ উপকূল থেকে ৪০/৪৫ নটিক্যাল মাইল উত্তরে অবস্থান করছে। যেটি সোমালীয় জলদস্যুদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রিত এলাকা হিসেবে চিহ্নিত। মুক্তিপণ বা দাবি-দাওয়া নিয়ে দস্যুদের যোগাযোগের অপেক্ষায় রয়েছে জাহাজ মালিকপক্ষ। তবে নাবিকরা সবাই সুস্থ রয়েছে বলে দাবি করছে মালিকপক্ষ। কেএসআরএম’র মিডিয়া এডভাইজার মিজানুল ইসলাম বলেন, সবশেষ তথ্য অনুযায়ী নাবিকরা সবাই ভালো আছেন, সুস্থ্য এবং নিরাপদে আছেন। জিম্মিদের অক্ষত অবস্থায় তাদের স্বজনদের কাছে ফিরিয়ে দিতে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এদিকে, সোমবার (১৮ মার্চ) গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার হয়, জিম্মি ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে উদ্ধার করতে সোমায়িলার পুলিশ ও বিভিন্ন দেশের নৌবাহিনীর সদস্যরা অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সোমালিয়ার আধা স্বায়ত্তশাসিত পান্টল্যান্ড অঞ্চলের পুলিশের বরাত দিয়ে এ খবর প্রকাশ করে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। তবে জাহাজটির মালিকপক্ষ বলেছে, এ ধরনের অভিযানের বিষয়ে তারা কিছু জানেন না। উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে সোমালীয় জলদস্যুদের কবলে পড়ে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ।