• মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৫৫ অপরাহ্ন

ইয়াবার বদৌলতে পিএমখালীতে টোকাই মনছুরের কোটি টাকার ‘প্রাসাদ’

নিউজ রুম / ২০৮ ভিউ টাইম
আপডেট : শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১৯

প্রধান প্রতিবেদকঃ

কক্সবাজার পৌরসভার এসএম পাড়ায় মাত্র ৩শ টাকার ভাড়া বাসায় থাকতেন মনছুরের পরিবার। তবে বর্তমানে কোটি টাকায় ব্যয়ে রাজপ্রসাদ নির্মাণ করে বসবাস শুরু করেছে পরিবারটি। বিলাসবহুল বাড়িটি নিমার্ণ করা হয়েছে সদরের পিএমখালী ইউনিয়নের পাতলী দিঘীর পাড় নামক গ্রামে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দীর্ঘ বছর ধরে মনছুরদের বসবাস ছিলো পৌর শহরের এসএম পাড়ায়। সেখানে তারা ৩শত টাকা দামের একটি ভাঙাচোরা বাসায় ভাড়া থাকতেন। ওই এলাকায় মনছুরের নানার বাড়ি। মনছুরের বাবা মমতাজ একজন দিনমজুর। তার বড় ভাই একজন মটর মেকানিক। আর মনছুর সর্বত্র বেকার টোকাই হিসেবে পরিচিত।

মনছুর দীর্ঘদিন ধরে বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে পর্যটন শহরের হোটেল মোটেল জোন এলাকায় খুচরা ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পড়েন। তবে বিভিন্ন হোটেল জোনে দৈনিক ২শ থেকে ৩শ পর্যন্ত ইয়াবা বিক্রি করেন কমিশনে। একটি সেন্ডিকেট চক্র দ্বারা অন্য কয়েকজন পথহারা যুবকের মত সেও পরিচালিত হতো।

কিন্তু এখন কমিশনে নয়, সে নিজেই একটি ইয়াবার সিন্ডিকেট গড়ে তুলে। মনছুরের নিয়ন্ত্রিত উক্ত সিন্ডিকেটের সদস্যরা কৌশলে বেপরোয়া ইয়াবা বানিজ্য করে যাচ্ছে পিএমখালীর সর্বত্রে। তারা পূর্বে বিভিন্ন ব্যবসায় জড়িত থাকলেও ইয়াবা ব্যবসায় অধিক লাভের কারণে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে কৌশলে পিএমখালীসহ বিভিন্ন এলাকায় ইয়াবা পাচার করে আসছে।

অল্প ব্যয়ে বেশী লাভের কারনে এই সিন্ডিকেট জড়িয়ে পড়ছে মরণ নেশা খ্যাত ইয়াবা ব্যবসায়। মনছুর ও তার সিন্ডিকেটেরর সদস্যরা নিজেদের অবস্থান ধরে রাখতে প্রশাসনের প্রতি এক প্রকার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে এমন মন্তব্য সচেতন মহলের। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে অনেকটা চ্যালেঞ্জ করে এই অবৈধ কারবার অব্যাহত রেখেছেন তারা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে মনছুরের এক আত্মীয় জানায়, গত ২০১৬ সালে বড় একটি ইয়াবা চালান গায়েব করার মধ্যামে সে প্রায় দুইকোটি টাকার মালিক বনে যায়। সে টাকা দিয়ে এ বাড়ি নির্মাণ করেছে।

এক সঙ্গে দুই’কোটি টাকার মালিক হলেও চালাকচতুর পরিবারটি ধিরে ধিরে বাড়ি নির্মাণ করেন। হঠাৎ পরিবারটি এমন উত্তান নিয়ে হৈচৈ পড়েগেছে সর্বত্রে। পরিবারটির পক্ষথেকে বিভিন্ন সময় গায়েবি মাল পাওয়া গেছে এমনটা প্রচার করা হয় এলাকায়।

মনছুরের কাছ থেকে জানতে চাইলে, মনছুর কোটি টাকায় বাড়ি নির্মাণের বিষয়টি স্বীকার করে সে ইয়াবা ব্যবসায়ী নয় বলে দাবি করেন। তবে এতো টাকা তার পরিবার কোথায় পেলো এমন প্রশ্নের জবাবে নীরব থাকেন মনছুর।

স্থানীয়রা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি মনছুর এবং তার পরিবারকে আইনের আওয়াতায় আনার দাবি জানিয়েছে। অপরাধের শাস্তি নিশ্চিত করা না গেলে মনছুরে মত আরো হাজারও যুবক মরণ নেশা ইয়াবার ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হবে বলে মনে করেন সচেতন মহল।


আরো বিভন্ন বিভাগের নিউজ