• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:২১ পূর্বাহ্ন

রামুতে বিচারাধীন মামলা প্রত্যাহারে আসামী কর্তৃক বাদীর ছেলে ও জামাইকে হত্যা প্রচেষ্টা।

নিউজ রুম / ১১৫ ভিউ টাইম
আপডেট : শনিবার, ৩০ নভেম্বর, ২০১৯

ক্রাইম রিপোর্ট :

বসতভিটের জায়গাজমি ও চলাচলের রাস্তার বিরোধকে কেন্দ্র করে আসামীগনের ছুরির আঘাতে গুরতর আহত হয়ে মমুর্ষ অবস্থায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বাদীর ছেলে ও মেয়ে জামাইকে।

৩০ নভেম্বর ২০১৯ ইং সকাল ৭ ঘটিকার সময় কক্সবাজার জেলাধীন রামু থানার কাউয়ারকুপ, ৬ নং ওয়ার্ডের বইলতলি পশ্চিমপাড়া গ্রামে এই লোমহর্ষক মর্মান্তিক ঘটনাটি সংগঠিত হয়।

সরজমিন প্রাপ্তসংবাদে জানা যায় – গত ২০১৪ সালে থেকে জায়গাজমি ও চলাচলের রাস্তা নিয়ে স্থানীয় মৃত গুন মিয়ার পুত্র মো: কাশেম (৪৫) এবং একই এলাকার মোহাম্মদ হোছনের পরিবারের সাথে বিরোধ চলে আসছিল। মো: হোছনের স্ত্রী বাদী হয়ে তখন রামু থানায় জিআর -১৬৭/১৪ দায়ের করেন। মামলাটি বর্তমানে সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১, রামু, কক্সবাজারে বিচারাধীন আছে।

সেখানে মো: হাশেম ও তার স্ত্রী হামিদা বেগমকে আসামি করা হয়। সম্প্রতি উক্ত মামলায় স্বাক্ষি পর্ব শেষ হয়েছে বলে জানা গেছে। সম্প্রতি সামনে ধার্য্য তারিখ আছে। এমতাবস্থায় আসামী পক্ষ উক্ত মামলা প্রত্যাহারে শুরু থেকে বিভিন্ন ভাবে চাপ দিয়ে আসছে বাদি পক্ষকে।

এরই ধারাবাহিকতায় ঘটনার তারিখ, সময়,স্থানে বাদীর মেয়ে জামাই ও একই এলাকার আব্দুল নুরের ছেলে ফজলুল কাদের ভুট্টো (৩৫) শ্বাশুর বাড়ী যাওয়ার সময় পথরোধ করে আসামি পক্ষ। ফজলুল কাদের অভিযোগ করেন মো: হাসেম তাকে পথরোধ করে তার শ্বাশুড়ীকে চাপদিয়ে মামলা প্রত্যাহারের জন্য বলে। সে অপারগতা প্রকাশ করিলে কিছুক্ষণ বাড়াবাড়ির পর মো: হাশেমের স্ত্রী হামিদা বেগম ও মেয়ে আসমা খানম কাঠের বাটাম দিয়ে এলোপাথাড়ি মারধর করে। একপর্যায়ে মো: হাসেম লম্বা একটি ধারালো ছুরি দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে গলায় স্বজোরে আঘাত করে, এতে গলা কেটে রক্তাক্ত জখম হয়,পরবর্তিতে ডান হাত দিয়ে ঠেকাতে চেষ্টা করলে উক্ত আঘাতে ডানহাতের বৃদ্বাআঙ্গুলির সংলগ্ন প্রচুর রক্তক্ষরণ সহ জখম হয়ে হাতকেটে যায়।

এদিকে ফজলুল কাদেরের চিৎকারে শালা রাহমত উল্লাহ দুলাভাইকে উদ্বারে এগিয়ে গেলে একইভাবে আসামিগন রাহামত উল্লাহকে এলোপাথাড়ি মারধর এক পর্যায়ে মো:হাশেমের ছুরির আঘাতে দুই বাহু, বুকে ও পিঠে রক্তাক্ত জখম হয়ে বলে সুত্রে জানা যায়।

পরবর্তীতে স্থানীয়দের সহযোগীতায় ভিকটিমদের প্রথমে রামু স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরে অবস্থার বেগতিক দেখে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসার ভর্তি করা হয়। রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত মামলা হয়নি। মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানাগেছে।


আরো বিভন্ন বিভাগের নিউজ