• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:০২ পূর্বাহ্ন

একর প্রতি আড়াই কোটি টাকা ন্যায্য মূল্যের দাবীতে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়-কালারমারছড়ায়

নিউজ রুম / ৫৩৩ ভিউ টাইম
আপডেট : শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৯

এ.এম হোবাইব সজীবঃ

মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া, ঝাপুয়া, কালিগন্জ এবং ইউনুছখালীর চারটি জমির মৌজায় সরকারী মেগা প্রকল্প স্থাপন করতে চিংড়ি প্রজেক্ট, লবণের মাঠ,ধান চাষের জমির অধিকগ্রহনের নোটিশ দেয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে দেখা দিয়েছে উদ্বেগ উৎকন্ঠা। ইতিমধ্যে জমির মালিকদের ৪ ধারা নোটিশ ইস্যু করেছে কোল পাওয়ার কর্তৃপক্ষ। জমির মালিকদের দাবি জমি দিবে কিন্তু নায্যমূল্য আড়াই কোটি টাকা নির্ধারণ করতে হবে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে। মহেশখালী উপজেলা ‘ন্যায্য মূল্য উদ্ধৃতি পরিষদ’ এর আয়োজনে, অধিকগ্রহনের জমির ক্ষতিপূরণের টাকা ন্যায্য মূল্যের দাবিতে উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ ঝাপুয়া আল জামেয়াতুল আশরাফিয়া ঝাপুয়া মাদরাসার মাঠ প্রাঙ্গণে উক্ত সভা (১৩ ডিসেম্বর) শুক্রবার বিকাল ৪ ঘটিকার সময় অনুষ্ঠিত হয়।

অধিকগ্রহণকৃত জমির মালিকদের মধ্যে সঞ্চালনা করেন সাবেক জেলা ছাত্রলীগ নেতা ও কক্সবাজার জেলা কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জনাব রিয়াজ মোরশেদ এবং সভাপতিত্ব করেন জনাব আবু তাহের চৌধুরী।

উক্ত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, কালারমারছড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মীর কাসেম চৌধুরী ও আলহাজ্ব জাবের আহমদ চৌধুরী, রাজনৈতিক নেতা আলহাজ্ব এখলাছুর রহমান চৌধুরী, মৌলভী সোলাইমান, আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ ইসহাক, নূরী হাসান আজাদ, আওয়ামী লীগ নেতা জাকের হোসাইন ও মোরশেদুল আলম, মৌলভী বদিউল আলম, মোঃ মহিম, আমান উল্লাহ, মেম্বার ইয়াছিন, বদরুল আলম ছাদেক, মোস্তাফিজুর রহমান, আলী হোছাইন, নাজেম উদ্দিন প্রমূখ। উক্ত আলোচনা সভায় অধিকগ্রহনকৃত জমির বিপুল সংখ্যাক মালিক উপস্থিত ছিলেন।

এতে বক্তরা বলেন, এদেশে উন্নয়ন দরকার আছে, তবে আমরা জমি দিতে রাজি আছি, কিন্তু আমাদের ন্যায্য মূল্য দিতে হবে। একর প্রতি আড়াই কোটি টাকা নির্ধারণ করতে হবে। একরপ্রতি যা আমাদের দেওয়া হচ্ছে তা অতি নগণ্য। যেই মূল্য আমাদের দেওয়া হচ্ছে, তা আমাদের এক বিঘা জমির মৌজা রেইটের এক চতুর্থাংশের মূল্যের চাইতেও কম। আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবী জানাচ্ছি আমাদের জমির সঠিক মূল্য প্রদান এবং সরকারের উন্নয়নমূলক কাজকে তরান্বীত করতে। একরপ্রতি কমপক্ষে আড়াই কোটি টাকা করে প্রদান করতে হবে। যা আমাদের সঠিক মৌজা রেইট। এটা আমাদের প্রাণের দাবী। দাবী না মানলে নায্যমূল্যের দাবিতে সড়কে নেমে মানববন্ধনসহ আন্দোলনের হুমকি দেন বক্তারা।

জানাগেছে, কালারমারছড়া ইউনিয়নের কালি গঞ্জ মৌজা ৬ লাখ টাকা একর প্রতি, ঝাপুয়া মৌজা ১২ লাখ টাকা, ইউনুছখালী মৌজা ১২ লাখ ও কালারমারছড়া মৌজার একাংশ ১২ লাখ টাকা। চার মৌজার ১৩শ ৯২ একর জমি অধিকগ্রহন করা হয়েছে ইতিমধ্যে। এসব জমি খতিয়ান ভুক্ত নাল জমি, লবণ, চিংড়ি ঘের ও ধান চাষের জমি। যেখান থেকে বছরের কোটি কোটি টাকা আয় করে আসছেন অত্র এলাকার বাসিন্দারা।

জমির মালিকদের দাবী সোনাদিয়া-ঘটি ভাঙ্গা খাসজমি বন্দোবস্তকৃত জমি ২ কোটি ৭০ লাখ একর প্রতি নির্ধারন করা হয়েছে। যার নাম দেওয়া হয়েছে সমুদ্র বিলাস। তবে আমাদের বাপ-দাদার খতিয়ানভুক্ত জমি কেন এত কম মূল্যে। তা একরে আড়াই কোটি টাকা করার দাবী জানিয়েছেন জমির মালিকরা।

সভার শেষে কর্মসূচী বাস্তবায়নের সুবিধার্থে কালারমারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জনাব মীর কাসেম চৌধুরীকে সভাপতি, কালারমারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জনাব জাবের চৌধুরীকে সহ সভাপতি, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সরোয়ার আজিমকে সহ সভাপতি, সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও জেলা কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জনাব রিয়াজ মোরশেদকে সাধারণ সম্পাদক, নূরে হাসান আজাদকে সহ সাধারণ সম্পাদক,মোরশেদুল ইসলামকে সাংগঠনিক সম্পাদক এবং মো: ইসহাককে প্রচার সম্পাদক এবং ঘোনা কমিটির সকল সদস্যদের কার্যকরী সদস্য করে একটি কার্যকরী কমিটি এবং জনাব আবু তাহের চৌধুরী, কালারমারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জনাব গোলাম কুদ্দুস চৌধুরী, জনাব এখলাসুর রহমান,এবং জনাব আবু তাহের চৌধুরী দুই প্রমুখ। এদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়। এবং পরবর্তী কর্মসূচীর নির্দেশের জন্য সবাইকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। পরিশেষে আলোচনা সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন জনাব আবু তাহের চৌধুরী।


আরো বিভন্ন বিভাগের নিউজ