• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৩:২০ পূর্বাহ্ন

মহেশখালীতে জমির মালিকদের মতবিনিময় সভায় “অধিগ্রহনকৃত জমির মূল্য আড়াই কোটি টাকা করার দাবি”

নিউজ রুম / ১৫০ ভিউ টাইম
আপডেট : শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০১৯

নিজস্ব সংবাদদাতা, মহেশখালীঃ

মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নে অধিগ্রহনকৃত ৪টি মৌজার জমির মুল্য বৃদ্ধি নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত জনতা ন্যায্য দাবী আদায় পরিষদের উদ্যাগে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্টিত হয়েছে ।

(১৯ ডিসেম্বর) বৃহস্পতিবার বিকাল ৫ ঘটিকার সময় কালারমারছড়া উত্তর ঝাপুয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও জেলা কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজ মুরর্শেদের পরিচালনায় আলহাজ্ব মোক্তার আহমদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে উক্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্টিত হয় ‘ক্ষতিগ্রস্থ জনতার ন্যায্যদাবী আদায় পরিষদ’ -এর দ্বিতীয় পর্বের মহা সমাবেশ।

এতে বক্তব্য রাখেন, কালারমারছড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম কুদ্দুস চৌধুরী, মীর কাসেম চৌধুরী ও জাবের আহমদ চৌধুরী, রাজনৈতিক নেতা আলহাজ্ব এখলাছুর রহমান ও আবু তাহের চৌধুরী, মৌলভী সোলাইমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সরওয়ার আজিম, মাস্টার ছিদ্দিক আহমদ, জাহাঙ্গীর আলম, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি বেলাল হোসাইন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মোঃ জাকারিয়া, জাহাঙ্গীর আলম মনি, মৌলভী মোস্তাফিজুল হক, এমইউপি সদস্য ইয়াছিন আরাফাত ও মোশতাক আহমদ, কালারমারছড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি বেলাল উদ্দিন, সাবেক এমইউপি রশিদ আহমদ, ছদর আমিন প্রমূখ।

অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, হাজী ইসলাম, মোজাম্মেল হক, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি মুরর্শেদ আলম, সাবেক ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি তমিম গোলাম, রিদোয়ানুল হক পুতুল মৌলভী বদিউল আলম, গোলাম আজম, শেখাব উদ্দিন, নাজিম উদ্দিন, আব্দুল মালেক, মমতাজুল হক, আলী হোছাইন, আওয়ামী লীগ নেতা ছদর আমিন, আব্বাস উদ্দিন। এছাড়া ও অধিকগ্রহনকৃত জমির হাজার জনতাসহ স্থানিয় লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

এতে বক্তরা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধীকার ভিত্তিতে মহেশখালীতে মেঘা মেঘা উন্নয়ন প্রকল্পে পাল্টে যাচ্ছে এতদাঞ্চল । যে মহেশখালীর কালারমারছড়ার জমি অধিগ্রহন করে উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে আলোকিত হবে পুরো দেশবাসি । আর সে জমির মালিকরা তাদের জমির ন্যায্য মুল্য পাবে না তা কখনো হয় না ।

তারা আরও বলেন, এদেশে উন্নয়ন দরকার আছে, তবে আমরা জমি দিতে রাজি আছি, কিন্তু আমাদের ন্যায্য মূল্য দিতে হবে। একর প্রতি আড়াই কোটি টাকা নির্ধারণ করতে হবে। একরপ্রতি যা আমাদের জন্য নির্ধারণ করা হচ্ছে তা অতি নগণ্য। তা আমাদের এক বিঘা জমির মৌজা রেইটের এক চতুর্থাংশের মূল্যের চাইতেও কম। আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবী জানাচ্ছি আমাদের জমির সঠিক মূল্য প্রদান এবং সরকারের উন্নয়নমূলক কাজকে তরান্বীত করতে। একরপ্রতি কমপক্ষে আড়াই কোটি টাকা করে প্রদান করতে হবে। যা আমাদের সঠিক মৌজা রেইট। এটা আমাদের প্রাণের দাবী।

এছাড়া ও ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকরা কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আফসারুল আফসারের সাথে সম্প্রতি সাক্ষাতকালে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আগামীতে ৭ ধারায় নোটিশ দেওয়ার আগে নায্যমূল্য নির্ধারন করা হবে বলে জমির মালিকদের আশ্বস্থ করেছেন। তাই ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকরা কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কামাল হোসেন,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আফসারুল আফসার, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এড. সিরাজুল মোস্তফা ও আশেক উল্লাহ রফিক এমপিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকরা বলেন, কালারমারছড়া ইউনিয়নের কালি গঞ্জ মৌজা ৬ লাখ টাকা একর প্রতি, ঝাপুয়া মৌজা ১২ লাখ টাকা, ইউনুছখালী মৌজা ১২ লাখ ও কালারমারছড়া মৌজার একাংশ ১২ লাখ টাকা। চার মৌজার ১৩শ ৯২ একর জমি অধিকগ্রহন করা হয়েছে ইতিমধ্যে। এসব জমি খতিয়ান ভুক্ত নাল জমি, লবণ, চিংড়ি ঘের ও ধান চাষের জমি। যেখান থেকে বছরের কোটি কোটি টাকা আয় করে আসছি আমরা। এছাড়াও জমির শ্রেণী বৃদ্ধি না করে লবণ উৎপাদনশীল শিল্প জমিকে আড়াই কোটি টাকা দিতে হবে। এছাড়া ও বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে চিংড়ি প্রকল্প, লবণ মাঠ ও ধান চাষের জমির হাজার হাজার শ্রমিক, বর্গা চাষি, বেকার হয়ে মানবতার জীবন যাপন করবে। তাদের জন্য ন্যায্য মূল্য নির্ধারণ করতে হবে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে।

জমির মালিকদের দাবী সোনাদিয়া-ঘটি ভাঙ্গা খাসজমি বন্দোবস্তকৃত জমি ২ কোটি ৭০ লাখ একর প্রতি নির্ধারন করা হয়েছে। যার নাম দেওয়া হয়েছে সমুদ্র বিলাস। তবে আমাদের বাপ-দাদার খতিয়ানভুক্ত জমি কেন এত কম মূল্যে। তা একরে আড়াই কোটি টাকা করার দাবী জানিয়েছেন জমির মালিকরা।

অবশেষে সমাবেশের সমাপ্তি ঘোষণা করেন আলহাজ্ব মোক্তার আহমদ চৌধুরী।


আরো বিভন্ন বিভাগের নিউজ