• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৫:২৬ পূর্বাহ্ন

মাদক কে না বলুন সাবেক এমপি বদি

নিউজ রুম / ১১৫ ভিউ টাইম
আপডেট : মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী, ২০২০

[জসীম উদ্দীন]

বিভিন্ন সূত্রমতে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে প্রথম ইয়াবা এনেছিলেন সাইফুল করিম (ওরফে) হাজী সাইফুল। আটক থাকাকালীন তিনি বদিসহ অর্ধশতাধিক গডফাদারের নাম বলেছিলেন আইনশৃংঙ্খলা বাহিনীর কাছে।এমন খবর প্রকাশিত হয় দেশের প্রায় সব গণমাধ্যমে।

গত ২০১৯ সালের ৩০মে রাতে টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয় বাংলাদেশের এক নাম্বার ইয়াবা কারবারি খ্যাত ৪ বার সিআইপি খেতাব পাওয়া সাইফুল করিম (ওরফে) হাজি সাইফুল।

এর পরই গুঞ্জন ওঠে যে-কোন মুহুর্তে আটক হতে যাচ্ছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের এক নাম্বারে থাকা আলোচিত ও সমালোচিত সাবেক এমপি আবদু রহমান বদি। স্থানীয়রা ধরে নিয়েছিলেন মাদকের বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর নীতির কারনে বদিসহ ভয়াবহ পরিণতি হতে পারে অনেকের। এর পর দীর্ঘ সময় পার হয়ে গেলেও মানুষের ধারনা বাস্তবে রূপ পাইনি এখনো।

তবে দীর্ঘদিন আলোচনার বাইরে থাকলেও ফের আলোচনায় ফিরেছেন বদি।কক্সবাজারের টেকনাফের দেয়ালে-দেয়ালে সর্বত্র মাদক কে না বলুন বদির ছবিযুক্ত চিকা মেরে তিনি এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। অর্থাৎ সাবেক এমপি আবদু রহমান বদি নিজে অভিযুক্ত হলেও মাদক কে না বলার জন্য সবার প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত কয়েকদিন ধরে টেকনাফের পৌরসভার অলিগলির দেয়ালের সর্বত্র বদির ছবিযুক্ত মাদক কে না বলুন চিকা ও পোস্টারে ছেয়ে গেছে। তার মধ্যে টেকনাফ মডেল থানার ঢোকার মুখে দেয়ালের পাশে লেখা আছে বদির মাদক কে না বলুন চিকা মারার একটি ছবি ভাইরাল হয়ে যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ছবিটি থানার দেয়াল মনে করে এ নিয়ে তুমুল সমালোচনা চলছে সর্বত্র।

তবে এটি টেকনাফ মডেল থানার দেয়াল নয় বলে নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন। তিনি জানান এটি থানার এরিয়ার বাইরে পৌরসভার একটি দেয়াল। যেখানে টেকনাফ মডেল থানা লেখা আছে এবং তার পাশেই সাবেক এমপির ছবিযুক্ত চিকা মারা হয়েছে।

মাদকের বিরুদ্ধে যারা সবসময় বলে আসছেন এবং লিখছেন তাদের চোখে বদির মাদক কে না বলুন চিকা একধরনের তামাশা। একজন তালিকাভুক্ত ব্যাক্তির ছবিযুক্ত চিকার সয়লাব মাদক কারবারিরা অনুপ্রেরিত হবে বলে মনে করেন অনেকেই।

সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা বলছেন, এধরনের প্রচার এক প্রকার বিভ্রান্তমূলক। তবে নিজের দোষ স্বীকার করে অন্যদের সচেতন করলে সেক্ষেত্রে অাপত্তি নেই। আবার সাজা ভোগের পর অনুশোচনা করে এ ধরনের প্রচারে গ্রহণযোগ্যতা থাকতো বলে মনে করেন অনেকেই।

কক্সবাজার পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন বলেন, যে কেউ মাদকের বিরুদ্ধে জনগণকে সচেতন করতে পারেন। আর খারাপ কেউ যদি ভালো হতে চায়, তাকে ভালো হবার সুযোগ দেয়া ভালো।

এ ব্যাপরে সাবেক এমপি আবদু রহমান বদির প্রতিক্রিয়া জানা সম্ভব হয়নি।

উল্লেখ্য বহু আলোচিত সমালোচিত সাবেক এমপি আবদু রহমান বদি গডফাদার হিসেবে দেশ ব্যাপী এক নামে পরিচিত। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের তালিকাতেও বদির নাম রয়েছে সবার উপরে। সমালোচনার মুখে একাদ্বশ সাংসদ নির্বাচনে আ’লীগ থেকে মনোনয়নও দেয়া হয়নি তাকে। এ কারনে অনেকদিন ধরে আলোচনার বাইরে আছেন সাবেক প্রভাবশালী এই এমপি।


আরো বিভন্ন বিভাগের নিউজ