• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৪৮ অপরাহ্ন

ইসরাইল থেকে সিরিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা

নিউজ রুম / ১৯৬ ভিউ টাইম
আপডেট : শনিবার, ১৮ মে, ২০১৯

সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন শনিবার জানিয়েছে, ইসরায়েলের ভূখণ্ড থেকে জঙ্গিগোষ্ঠীদের নিক্ষেপ করা ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোনের জবাব দেয়া হয়েছে রাশিয়ার পরিচালিত সিরিয়ার মেইমিম বিমানঘাঁটি থেকে। এতে এক ব্যক্তি নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলেও জানিয়েছে দেশটির গণমাধ্যম।

সিরিয়ার রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদসংস্থা সানা জানিয়েছে, বিমানঘাঁটিটির আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘‘অধিকৃত অঞ্চল (ইসরায়েল) থেকে ছোড়া উজ্জ্বল বস্তু প্রতিরোধ করেছে।”

সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কেও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে যা ইসরায়েলের দিক থেকে এসেছে বলে জানিয়েছে সিরিয়ার গণমাধ্যম।

ব্রিটেনভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস-এর প্রধান রামি আব্দেল রহমান জানিয়েছেন, জারামানার কাছে এবং দামেস্কের দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।

নিজস্ব সূত্রের বরাতে রেহমান জানিয়েছেন যে, ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্রের লক্ষ্য ছিল কেসা অঞ্চলে অবস্থিত ইরানের রেভ্যুলেশনারি গার্ডস এবং লেবাননের হিজবুল্লাহর ঘাঁটি এবং অস্ত্রের গুদাম রয়েছে।

প্রসঙ্গত, এর আগে সিরিয়ার বিভিন্ন স্থানে কয়েকশতবার বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। সেসব হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল দেশটির শত্রু হিসেবে বিবেচিত ইরান এবং হিজবুল্লাহর বিভিন্ন স্থাপনা।

তবে, ইসরায়েল দুশমন বিবেচনা করলেও সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে বিবেচিত এই দুই শক্তি সিরিয়ায় ২০১১ সালে আসাদবিরোধী আন্দোলন শুরুর পর থেকেই সেখানে সক্রিয় অবস্থান নিয়েছে।

ইসরায়েলের উদ্বেগ হচ্ছে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধের মাঝে ইরান সম্ভবত হিজবুল্লাহকে এমন সব অস্ত্র এবং দক্ষতা সরবরাহ করছে যা ভবিষ্যতে ইসরায়েলে বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হতে পারে।

সিরিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের এই ঘটনা এমন এক সময়ে ঘটলো যখন ইরান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার উত্তেজনার পারদ ক্রমশ তুঙ্গে উঠছে। ইতোমধ্যে পারস্য উপসাগরে একটি বিমানবাহী রণতরী পাঠিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ডয়েচে ভেলে।


আরো বিভন্ন বিভাগের নিউজ