দীর্ঘদিন সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরার পর রোববার থেকে সচিবালয়ে অফিস করবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এদিন সকাল ১০টায় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি বিষয়ক সভা এবং গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময়ও করার কথা রয়েছে তার। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা আবু নাসের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আবু নাসের বলেন, আগামীকাল রোববার সকাল ১০ টায় সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সভাকক্ষে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি বিষয়ক সভা এবং গণমাধ্যমের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।
সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা শেষে গত বুধবার ২ মাস ১১ দিন পর দেশে ফিরেন ওবায়দুল কাদের। ওইদিন সন্ধ্যা ৬টার দিকে তাকে বহনকারী বিজি-০৮৫ ফ্লাইটটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
বাইপাস সার্জারির পর সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতাল থেকে ওবায়দুল কাদের গত ৫ এপ্রিল ছাড়পত্র পান। তিনি হাসপাতালের কাছেই একটি ভাড়া বাসায় ছিলেন। ২০ মার্চ মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ওবায়দুল কাদেরের বাইপাস সার্জারি হয়। গত ৩ মার্চ সকালে বুকে প্রচণ্ড ব্যথা নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ভর্তি হন ওবায়দুল কাদের। সেখানে এনজিওগ্রাম করার পর তার করোনারি ধমনিতে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। সেদিন তাকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে যান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে উপমহাদেশের বিখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. দেবী শেঠির পরামর্শে উন্নত চিকিৎসার জন্য ৪ মার্চ তাকে সিঙ্গাপুর নেয়া হয়। ওই রাতেই মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ডা. ফিলিপ কোহ’র নেতৃত্বে ওবায়দুল কাদেরের চিকিৎসায় একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। পরে গত ২০ মার্চ ওই হাসপাতালে তার বাইপাস সার্জারি করেন মেডিকেল বোর্ডের সিনিয়র সদস্য কার্ডিওথোরাসিক সার্জন ডা. সিবাস্টিন কুমার সামি। শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে গত ২৬ মার্চ ওবায়দুল কাদেরকে হাসপাতালের আইসিইউ থেকে কেবিনে নেয়া হয়।