• বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৪৮ পূর্বাহ্ন

হুমকির মুখে লবণ শিল্প হতাশার মধ্যেই মহেশখালীতে লবণ উৎপাদন শুরু

নিউজ রুম / ৬৪৫ ভিউ টাইম
আপডেট : সোমবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০২০

এ.এম হোবাইব সজীব,মহেশখালী:

হতাশা নিয়েই সাদাসোনাখ্যাত লবণ উৎপাদন শুরু করেছেন মহেশখালী উপজেলার লবণ চাষীরা। খবর নিয়ে জানাগেছে, বাজারে চাষীদের অপরিশোধিত লবণের দাম নেই। তাই উপকূলের চাষীদের দুঃসময়ে দিন কাটছে। অপরদিকে মহেশখালীতে বিভিন্ন মেগা প্রকল্প স্থাপন হওয়ায় চাষাবাদের জমির পরিমাণ কমে যাওয়ায় চলতি লবণ মৌসুমে বেকার হয়ে পড়েছে উপজেলার হাজার হাজার প্রান্তিক লবণ চাষী। ইতিমধ্যে এসব পরিবার মানবেতর জীবনযাপন করছে।
হঠাৎ আয়ের উৎস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এসব চাষীদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। বিকল্প আয়ের উৎস সৃষ্টি না হলে জীবিকা নির্বাহ দুর্বিসহ হয়ে পড়বে এবং এলাকাছাড়া হতে হবে তাদের এমনটা জানালেন কালারমারছড়ার লবণ ব্যবসায়ী মোঃ আমান উল্লাহ।

উন্নয়নের মহাযজ্ঞের কারণেই খুব অল্প সময়ে হারিয়ে যাবে মহেশখালীর লবণ শিল্প এমনটা মনে করেন সচেতন মহল। এ অবস্থায় খুবই করুণ দিন কাটাচ্ছে এলাকার লবণ চাষিরা। লবণের ন্যায্যা মূল্য না পেয়ে লবণ চাষের প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছে চাষীরা। এই অবস্থা চলতে থাকলে দেশীয় এ শিল্পী ধ্বংস হয়ে যাবে। অনাহারে অর্ধাহারে মানবেতার জীবন যাপন করবে এই পেশার লোকজন।


অথচ দেশের লবণ চাহিদার সিংহভাগ পূরণ হয় এই মহেশখালী থেকে।

মহেশখালীর লবণ চাষীরা জানান,গত বছরের এমন সময় দেশীয় অপরিশোধিত লবণ বিক্রি হয়েছে প্রতি মণ ৩০০ টাকারও বেশি দামে, এখন তা ১৭০ থেকে ১৬০ নেমেছে। অথচ দেশের মানুষকে বছর জুড়ে বেশ চড়া দামে লবণ কিনে খেতে হচ্ছে।

আবার মহেশখালীতে সরকারের বড় বড় মেগা প্রকল্প হওয়ার সুবাধে লবণের ব্যাপক সংকট দেখা দিতে পারে বলে জানালেন বাংলাদেশ লবণচাষি বাঁচাও পরিষদের সদস্য সচিব এহছানুল করিমসহ অনেকে। অপরদিকে লবণের ন্যায্যামূল্যের দাবিতে সম্প্রতি চাষিদের মানবন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছেন।

বিসিক সূত্রে জানাগেছে, দেশে যে পরিমাণ লবণ উৎপাদিত হয়, তার প্রায় পুরোটাই আসে কক্সবাজারের চকরিয়া, পেকুয়া, কক্সবাজার সদর, উখিয়া, কুতুবদিয়া ও মহেশখালী উপজেলা থেকে। বিসিক মহেশখালী চালিয়াতলী লবণ প্রর্দশন কেন্দ্রের প্রধান মনিরুজ্জামান বলেন, মহেশখালীতে চলতি মাস থেকে পুরোদমে লবণ উৎপাদন শুরু হয়েছে। তবে লক্ষ মাত্রার এখনোও তালিকা করা হয়নি।


আরো বিভন্ন বিভাগের নিউজ