• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:২২ পূর্বাহ্ন

জমির বিরোধ নিয়ে মহেশখালীতে অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে কুপিয়ে জখম

নিউজ রুম / ১০৭ ভিউ টাইম
আপডেট : বুধবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০২০

নিউজ ডেক্স:

মহেশখালীর শাপলাপুরে জায়গা জমির বিরোধে নার্গিস আক্তার নামের এক গর্ভবতী  (অন্তঃসত্ত্বা) মহিলাকে কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষ গ্রুপ। এ ঘটনায় একই পরিবারের আরো কয়কেজন গুরুতর আহত হয়। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারী) সকালে মহেশখালীর শাপলাপুর ইউনিয়নের বারিয়াপাড়া কামালের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, রেহেনা আক্তার, নার্গিস আক্তার, মো. বেলাল হোসেন, মোস্তাক আহমদ বাবুল, মো. নুরুল আলম এবং  কলেজ ছাত্রী রুমি আক্তারসহ পরিবারের আরো কয়েকজন। এ ব্যাপারে রেহেনা আক্তার বাদী হয়ে মহেশখালী থানায় এজহার দায়ের করেছে। অভিযুক্তরা হলেন- মো. কাইছার,  আমির হোছেন, জেবল হোছন, আক্তার হোছন, মোক্তার হোছন, কাউছার জান্নাত, শওকত হোছন, লিয়াকত হোছন, মো. কাছিম, রিয়াজ উদ্দিন, সেফায়েত উল্লাহ, আবদুল মজিদসহ অজ্ঞাতনামা ১৫/২০ জন।


এজহার সূত্রে জানা যায়, মহেশখালীর বারিয়াপাড়ার  মো. কাইছার গং কর্তৃক বাদী রেহেনা আক্তারের বসত ভিটার জমি সংক্রান্ত বিষয়ে বিরোধ থাকায় তার সাঙ্গপাঙ্গরা প্রায় সময় রেহেনা আক্তারের বসত ভিটা ও জমি জমা জবর দখল করতে রেহেনা আক্তারকে দীর্ঘদিন ধরে অত্যাচার, নির্যাতনসহ নানাভাবে হয়রানী করে আসছিল। এই বিষয়ে রেহেনা আক্তার স্থানীয়ভাবে বিচার প্রার্থী হলে অভিযুক্তরা গায়ের জোরে প্রভাব কাটিয়ে স্থানীয় বিচার সালিশকে অমান্য করে রেহেনা আক্তারের বসত ভিটা বেদখল করার চেষ্টা করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আনজু মিয়ার পুত্র বাশির প্ররোচনায় সন্ত্রাসী চক্র বারবার এই হামলা করে যাচেছ। এর জের ধরে গতকাল মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারী) সকালে স্থানীয় সন্ত্রাসী ও জমি দখলদার মো. কাইছার গং দা, লোহার রড, লাঠিসোটা ইত্যাদি মাারাত্মক অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বে-আইনী জনতা গঠন পূর্বক রেহেনা আক্তারের বসত ঘরে অনধিকার প্রবেশ করে দরজা, জানালা, ঘরের চাল ও আসবাবপত্র এবং নতুন ঘরের অবকাঠামো ভেঙ্গে তছনছ করে ফেলে।
এমতাবস্থায় ঘরে থাকা রেহেনা আক্তারের মেয়ে নার্গিস আক্তার তাদের বাধা দিলে কাইছার বাহিনীর আমির হোছন ধারালো দা দিয়ে নার্গিস আক্তারকে হত্যার উদ্দেশ্য স্বজোরে মাথার উপর কোপ মারে। উক্ত কোপে গর্ভবতী নার্গিস আক্তারের মাথা রক্তাক্তভাবে জখম করে পরে পায়ের রানে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে এবং তার মুখের সামনের পাটির দুইটি দাঁত ভেঙ্গে ফেলে। হত্যার উদ্দেশ্যে পুনরায় জখম করতে থাকে এবং চুল ও শরীরের কাপড় চোপড় ধরে টানাটানি করতে থাকলে নার্গিস আক্তার চিৎকার করলে তার স্বামী বেলাল হোসেন সন্ত্রাসীদের কবল থেকে স্ত্রীকে উদ্ধারের জন্য আসলে তাকেও বেদড়ক মারধর করে। কাইছার বাহিনী কর্তৃক অসহায় পরিবারের সদস্যদের একের পর এক ধারালো অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। এমন পৈশাচিক নির্যাতনে পরিবারের অন্যান্য লোকজনের চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসী গ্রুপের কয়েকজন বাড়ির কাঠের আলমারি হতে নগদ টাকা ও স্বর্ণ এবং জমির মূল্যবান কাগজপত্র ছিনিয়ে নিয়ে যায়। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে মহেশখালী হাসপাতালে ভর্তি করে পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করে। এব্যপারে ভূক্তভোগীরা প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্টমন্ত্রী ও জেলা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।


আরো বিভন্ন বিভাগের নিউজ