• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৫৪ পূর্বাহ্ন

পর্যটন নগরীর বিভিন্ন অপরাধের হোতা কাজী রাসেল পতিতা ও ইয়াবাসহ আটক

নিউজ রুম / ২৪৪ ভিউ টাইম
আপডেট : সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

কক্সবাজার প্রতিনিধি:

পর্যটন নগরী কক্সবাজারের হোটেল মোটেল ও পর্যটন জোনের বিভিন্ন অপরাধের নিয়ন্ত্রক কক্সবাজার জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য কক্সবাজার পৌরসভার ১২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কাজী মোর্শেদ আহমেদ বাবুর ভাই কাজী রাসেল আহমদ কে পতিতা ও ইয়াবাসহ আটক করেছে সদর মডেল থানা পুলিশ।

সূত্রে জানা যায়, কক্সবাজার পর্যটন জোনের কলাতলী হোটেল মোটেল জোনে দীর্ঘদিন ধরে হোটেল মোটেলে পর্যটকদের গোপনে ইয়াবা ও পতিতা সাপ্লাই করে আসছিল। তার নিজস্ব গড়ে তোলা সংঘবদ্ধ ছিনতাই কারী দিয়ে শহরের বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাই করা, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী লালন করে ফাতের ঘোনা, লাইট হাউজ পাড়া, বাদশা ঘোনা, হালিমা পাড়ার সরকারী খাস জায়গা দখল করা, প্রবাসীদের ক্রয় করা রেজিস্ট্রি জায়গায় নির্মাণ কাজে বাঁধা দিয়ে চাঁদা আদায় করা সহ নানা অপরাধমূলক ঘটনা ঘটানোর অন্যতম কুশীলব কাজী রাসেল আহমদ বলে ভুক্তভোগী অনেকে জানিয়েছেন।   

তাকে সবসময় আশ্রয় প্রশ্রয় দেবার অভিযোগ রয়েছে জেলার একজন শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক নেতা ও কিছু অসাধু পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, ঐ শীর্ষ নেতা ও জেলায় বিভিন্ন শাখায় কর্মরত অসাধু পুলিশের ছত্রছায়ায় পর্যটন এলাকায় নিজেকে অপ্রতিদ্বন্দ্বী গডফাদার হিসাবে গড়ে তুলে। তার অপরাধী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করলে প্রতিবাদ কারীকে ছিনতাইকারী সাজিয়ে গ্রেফতার করে এবং অনেক প্রতিবাদকারীদের পিটিয়ে মারাত্মক জখম করার অভিযোগও রয়েছে কাজী রাসেলের বিরুদ্ধে। 

কক্সবাজার সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ আবু মোঃ শাহজাহান কবির বলেন, সোমবার ভোররাতে কাজী রাসেলকে এক তরুণীসহ আপত্তিকর অবস্থায় আটক করা হয়। তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা রয়েছে বলে জানান।

সম্প্রতি সময়ে মোরশেদ নামের এক যুবককে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে কাজী রাসেল। ওই ঘটনায় মডেল থানায় তাকে এক নাম্বার আসামি করে মামলাও হয়। তারই ধারাবাহিকতায় সোমবার ভোরে অভিযান চালিয়ে মিম নামের এক স্থানীয় কণ্ঠশিল্পীসহ তাকে আটক করতে সক্ষম হয় সদর মডেল থানা পুলিশ।

তাকে আটকের পর অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। সব কিছু আমলে নিয়ে তদন্তপূর্বক পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

কক্সবাজার জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান খায়সারুল হক জুয়েল বলেন, কোনো অপরাধী দলের হতে পারে না। অপরাধ করলেই তাকে শাস্তি পেতে হবে। তরুণী এবং ইয়াবাসহ কাজী রাসেল যদি আটক হয়ে থাকে, তা হলে তার বিরুদ্ধে দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে জানিয়েছেন।

সদর মডেল থানা পুলিশ কাজী রাসেল আহমদকে গ্রেফতার করায় বিভিন্ন সময় তার নির্যাতন নিপীড়নের শিকার ভুক্তভোগীদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে এমনটাই জানিয়েছেন এবং তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তার অবৈধ অস্ত্র ভান্ডারের তথ্য পাওয়া যাবে বলে অনেকে মনে করেন।


আরো বিভন্ন বিভাগের নিউজ