• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৫৪ পূর্বাহ্ন

আবাসিক এলাকায় লাশকাটা ঘর অপসারণের দাবী

নিউজ রুম / ১২৬ ভিউ টাইম
আপডেট : মঙ্গলবার, ৩ মার্চ, ২০২০

ঝালকাঠি প্রতিনিধি:

শহরের আবাসিক এলাকায় লাশকাটা ঘর অপসারণের দাবী জানিয়েছে ঝালকাঠি নাগরিক ফোরাম। জনবসতিপূর্ণ এলাকায় অবস্থিত লাশকাটা ঘরটি সদর হাসপাতালের অভ্যন্তরে চালুর দাবী করেছে ঝালকাঠি নাগরিক ফোরাম।

দীর্ঘ প্রায় তিন যুগ ধরে পৌর শহরের পূর্ব চাদকাঠির ব্র্যাক মোড় সংলগ্ন এলাকায় মূল সড়কের পাশেই এ লাশকাটা ঘরটির কার্যক্রম চলছে। এই সড়কটিতে বসবাসরত বাসিন্দা ও চলাচলকারী পথচারীরা অজানা আতঙ্কে থাকে। সন্ধ্যার পর রিকসাচালকরা ঐ সড়কে যেতে চায় না। এমনকি ঐ এলাকায় বসবাসরতদের সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক ও আত্মীয়তা সৃষ্টি করতে অনাগ্রহ দেখা যায়। কোন ভাড়াটিয়া বাসা ভাড়া নিতে কিংবা জমি ক্রয় করতে চায় না। এ কারণে এলাকাটি সকলের কাছে অবহেলিত ও তুচ্ছ তাচ্ছিল্যে পরিণত হয়েছে।

ঝালকাঠি নাগরিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আবু জাফর বলেন, বাংলাদেশের ৯৫ ভাগ লাশকাটা ঘর হাসপাতালের অভ্যন্তরে অবস্থিত আছে। যেমন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, নরসিংদী সদর হাসপাতাল, গাজীপুর হাসপাতাল, বরিশাল শেবাচিম হাসপাতাল সমূহে লাশকাটা ঘর হাসাপাতালের অভ্যন্তরে স্থাপন করা হয়েছে। কিন্তু ঝালকাঠির ব্যস্ততম পূর্বচাঁদকাঠির জনবহুল এলাকায় লাশকাটা ঘরটি থাকায় মানুষ নানা রকম সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। এছাড়া সদর হাসপাতালের অভ্যন্তরে অনুরুপ একটি লাশকাটা ঘর নির্মিত করা হয় বহুপূর্বে। কিন্তু ওখানে হাসপাতালের ষ্টাফরা বসবাস করছে।

আশা করা যায় বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন গুরুত্বসহকারে দেখে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহন করবেন। এদিকে হাসপাতাল থেকে লাশকাটা ঘরটির দূরত্ব বেশি হওয়ায় যথাসময়ে লাশের পোষ্টমর্টেম করাতে বিড়ম্বনায়ও পড়ছে ভুক্তভোগিরা। এছাড়া পঁচা, দূর্গন্ধ, কাটা, ছেড়া রক্তাক্ত লাশ দেখে শিশুরা মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হচ্ছে। পোষ্টমর্টেম করাতে আসা পক্ষের মাঝে সামনের রাস্তায় পুনরায় বিরোধ, মারামারির ঘটনাও ঘটছে অহরহ। ঝালকাঠি নাগরিক ফোরামের পক্ষ থেকে আরো বলা হয়েছে, অবিলম্বে লাশকাটা ঘরটি স্থানান্তর করা না হলে স্থানীয়দের সমন্বয়ে আন্দোলনের মাধ্যমে অপসারনে বাধ্য করা হবে।

স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর হাফিজ আল মাহমুদ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এলাকাবাসি লাশকাটা ঘরটি অপসারনের দাবি করে আসছে। লাশকাটা ঘরটি আবাসিক এলাকায় অবস্থানের ফলে অনেকে ভয় পেয়ে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে রোগে ভুগছে। এটি অবিলম্বে অপসারনের পক্ষে তিনিও মত প্রকাশ করেন।

লাশকাটা ঘরটি দ্রুত সদর হাসপাতালের অভ্যন্তরে স্থানান্তরের বিষয়ে উক্ত এলাকার বাসিন্দা উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাসরিন আক্তার সাংবাদিকদের জানান, ৩০/৩৫ বছর পূর্বে অত্র এলাকায় কোন জনবসতি ছিল না। তখন পরিত্যক্ত এলাকায় লাশকাটা ঘরটি স্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে বহুল জনবসতিপূর্ণ এলাকায় পরিণত হয়েছে। মানুষ এ রাস্তা দিয়ে চলতে ভয় এবং কোন ভাড়াটিয়া বাসা ভাড়া নিতে চায় না।


আরো বিভন্ন বিভাগের নিউজ