• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০:২৮ পূর্বাহ্ন

রামুতে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন, পুড়ে ছাই ৩ বাড়ি

নিউজ রুম / ৬১ ভিউ টাইম
আপডেট : শনিবার, ২১ মার্চ, ২০২০

শাহীন মাহমুদ রাসেল:

কক্সবাজারের রামুতে অগ্নিকাণ্ডে ৩টি বাড়ি নগদ টাকা, কৃষি পণ্য, গবাদি পশু সহ সব কিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

শুক্রবার (২০ মার্চ) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে রামু উপজেলার চাকমারকুল ইউনিয়নের পূর্ব মোহাম্মাদ পুরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে পৌঁছে গ্রামবাসী ও ফায়ার ব্রিগেড সদস্যরা প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টায় আগুন নিভিয়ে ফেলে। তবে ততক্ষণে সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে বলে জানা গেছে।

এলাকাবাসী জানায়, ওই গ্রামের মোহাম্মদ রফিক প্রকাশ লফুর ঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তেই আগুন সব কয়টি ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। পরে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে খবর দেওয়ার পর তারা বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করলে ফায়ার ব্রিগেড সদস্যরা ও গ্রামবাসী মিলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

কিন্তু ততক্ষণে ঘরগুলোতে থাকা পরিধেয় বস্ত্র, টেলিভিশন, আসবাবপত্র, চাল, ধান দুইটি ছাগল ও নগদ টাকাসহ সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আগুনে মৃত নুর মোহাম্মদ এর ছেলে রুস্তম আলী, আলী আহাম্মদ ও মোহাম্মদ রফিক প্রকাশ লফুর বাড়িসহ ৩টি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

লফু নামের ক্ষতিগ্রস্ত এক ব্যক্তি বলেন, ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়লে তাঁর একটি টেলিভিশনসহ পুরো ঘর পুড়ে যায়। একইভাবে অগ্নিকাণ্ডে ফ্রিজ, টেলিভিশন, কম্পিউটার, নগদ টাকা, চাল-ডালসহ ৩টি পরিবারের অন্তত ১৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা।

ভুক্তভোগীরা জানান, অগ্নিকাণ্ডে তাদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়েছে। ফায়ার ব্রিগেড কর্মকর্তারা জানান, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকেই এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে তারা ধারনা করেছে।

চাকমারকুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সিকদার জানান, ক্ষয়ক্ষতি অনেক। বিস্ফরণের কারণ ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে। সরকারিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনকে সহযোগিতা দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।


আরো বিভন্ন বিভাগের নিউজ