• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১২:২১ পূর্বাহ্ন

বনের পাহাড় কেটে নির্মিত হচ্ছে অবৈধ ঘরবাড়ি!

নিউজ রুম / ৬৫ ভিউ টাইম
আপডেট : বুধবার, ২৫ মার্চ, ২০২০

নিউজ ডেক্স:ক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের ফুলছড়ি রেঞ্জের অধিন খুটাখালী নয়াপাড়া এলাকায় সংরক্ষিত বনাঞ্চলে নির্বিচারে পাহাড় কেটে নির্মিত হচ্ছে অবৈধ ঘরবাড়ি। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পাশেই সংরক্ষিত বনাঞ্চলের বনভূমি অবৈধ দখলে নিয়ে ভূমিদস্যুরা একের পর এক অবৈধভাবে বসতি নির্মাণ করে গেলেও সংশ্লিষ্ঠ বনবিভাগের লোকজন রহস্যজনকভাবে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে চলেছেন। অভিযোগ উঠেছে, ফুলছড়ি বন বিভাগের লোকজন অবৈধ বসতি নির্মাণকারীদের কাছ থেকে ঘরপ্রতি মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে বৃক্ষ নিধন ও বসতি নির্মানের সুযোগ করে দিচ্ছেন। ফলে একদিকে সংরক্ষিত বনাঞ্চল যেমন বৃক্ষশূণ্য হয়ে ন্যাড়া পাহাড়ে পরিণত হচ্ছে, অপরদিকে সংরক্ষিত বনভূমিও দিন দিন অবৈধ দখলদারদের অধিনে চলে যাচ্ছে। স্থাণীয় লোকজন জানায়, কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের ফুলছড়ি রেঞ্জের অধিন সংরক্ষিত বনাঞ্চলের খুটাখালী নয়াপাড়া এলাকায় স্থানীয় প্রভাবশালী একটি ভুমিদস্যূ চক্র প্রথমে বেশকিছু বনভুমি জবর দখলে নেয়। পরে ওই বনভূমিতে গত একপক্ষকাল থেকে ১০/১৫জন শ্রমিক দিয়ে রাতের আঁধারে পাহাড় কেটে অবৈধ বসতি নির্মানের জন্য সমান করেন। পরে বনবিভাগের লোকজনকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করার পর গত শুক্রবার ওই জায়গায় টিনের বেড়া দিয়ে বসতি নির্মাণ করে অবৈধ দখলদাররা। বিষয়টি নিয়ে এলাকার লোকজনের মাঝে নানান প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হলেও সংশ্লিষ্ট বনবিভাগের লোকজন নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে চলেছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় বেশ কয়েকজন লোক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ভূমিদস্যু চক্রের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে বন বিভাগের লোকজনের নির্লিপ্ততার কারণে সংরক্ষিত বনাঞ্চলে একের পর এক নির্মিত হচ্ছে অবৈধ বসতি। ফলে দিন দিন অবৈধ দখলদারদের নিয়ন্ত্রণে চলে যাচ্ছে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের বনভূমি। যে কারণে একদিকে সংরক্ষিত বনাঞ্চল যেমন বৃক্ষশূণ্য হয়ে ন্যাড়া পাহাড়ে পরিণত হচ্ছে, অপরদিকে সংরক্ষিত বনভূমিও দিন দিন অবৈধ দখলদারদের অধিনে চলে যাচ্ছে। ফুলছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা সৈয়দ আবু জাকরিয়া বলেন, নয়াপাড়া এলাকায় সংরক্ষিত বনে নির্মিত একাধিক অবৈধ বসতি ইতোপূর্বে উচ্ছেদ করা হয়েছিল। বর্তমানে ওই জায়গায় কোন অবৈধ দখলদার সংরক্ষিত বনভূমি জবর দখলে নিয়ে নতুন করে বসতি নির্মাণ করে থাকলে ওইসব বসতি উচ্ছেদ করে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরো বিভন্ন বিভাগের নিউজ