• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৬:১৫ অপরাহ্ন

কমিনিউটি পুলিশিং সদস্যের কান কেটে দিলো দুর্বৃত্তরা

নিউজ রুম / ১৬৭ ভিউ টাইম
আপডেট : শনিবার, ২৮ মার্চ, ২০২০
জোরপূর্বকবাস্তুচ্যুত মায়ানমার নাগরিক ক্যাম্প এলাকায় করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে বন্ধকৃত মার্কেট এলাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক,
কক্সবাজার সদরের এক কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সদস্যের পরিবারের উপর হামলা করেছে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। ওই সময় মোহাম্মদ আলম নামের ওই কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সদস্যের কানও কেটে দিয়েছে তারা। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সদরের পিএমখালী ইউনিয়নের মাছুয়াখালী বাজার পাড়ায় এই ঘটনা ঘটে। গুরুত্বর আহত নুরুল আলম ওই এলাকার নুরুল কবিরের ছেলে ও কমিনিউটি পুলিশিংয়ের পিএমখালী ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।
সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও ভূমিদস্যুতা করে আসছিলেন ওই এলাকার চিহ্নিত কিছু সন্ত্রাসী। প্রায় সময় সন্তাসীদের আইনশৃঙ্খলা বিগ্ন ঘটে এমন ঘটনায় এলাকায় বাধা দিতেন নুরুল আলম। তারই ধারাবাহিকতায় গত ২৬ মার্চ রাতের প্রথম প্রহরে তার বাড়ির পাশে শাহাআলম নামের এক প্রবাসির বাড়িতে ডাকাতি করতে যায় একদল শসস্ত্র সন্ত্রাসী। চিৎকার শুনে ওই সময় বাড়ি থেকে ডাকাতির শিকার বাড়িতে গেলে ডাকাতদল অতর্কিত ভাবে নুরুল আলমকে ব্যাপক মারধর শুরু করে। ওই সময় প্রবাসী শাহআলমের ঘরে সব দরজা-জানালা সম্পূর্ণ ভেঙ্গে ফেলে সন্ত্রাসীরা। পুরুষ শূন্য ওই প্রবাসীর বাড়িতে মহিলাদের রক্ষাথে্ সন্ত্রাসীদের বাধা দিলে নুরুল আলমসহ তার পরিবারের সদস্যদের লম্বা কিরিচ, ধারালো দা ও বিভিন্ন অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। এক পর্যায়ে নুরুল আলমের মাথায় আঘাত করলে তা ডান কানে এসে পড়ে। ওই সময় সন্ত্রাসীদের ধারো অস্ত্রের আঘাতে ডান কান কেটে গিয়ে রক্তাক্ত হয়ে প্রায় জুলে থাকে। ওই ঘটনায় তার পরিবারের সদস্য এগিয়ে আসলে ছোট বোন নুরুন নাহার (২৫), ও তার মা মোতাহেরা বেগম, ছোট ভাই নুরুল হাকিম (২০)কেও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এই ঘটনার পর প্রতিবেশীরা গুরুত্বর রক্তাক্ত আহতদের উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছেন আহতদের মধ্যে নুরুল আলম,নুরুন্নাহার গুরত্বর কাটা জখম রয়েছে। এদিকে গুরতর আহত নুরুল আলম জানান, যারা হামলা করেছেন তারা এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তাদের দেশীও অস্ত্র ও বিদেশী অস্ত্র রয়েছে। তাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের বিষয়ে এলাকায় কেউ মুখ খুলতে চাইছে না। অনেকটা জিম্মি হয়ে আছেন এলাকাবাসী।
এদিকে গুরতর আহত নুরুল বাদি হয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় ১১ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। তারা হলেন, মাইজ পাড়া, মাছুয়াখালী এলাকার কবির আহমদের ছেলে আব্দুল মালেক প্রকাশ কেতা মালেক (৪২), পোকপাড়া এলাকার মাহমুদুর রহমানের ছেলে মৌলভী মুজিব প্রকাশ লম্বা মুজিব (৫০), কাটালিয়া মোড়া এলাকার মৃত শফিউল আলমের ছেলে আবু তাহের (৪০), মাইজ পাড়া এলাকার কবির আহমদের ছেলে কলিম উল্লাহ (২৭), মৃত শফিউল আলমের ছেলে মতিউর রহমান (২৫), চৌধুরী পাড়া এলাকার মৃত ফজল আহমদের ছেলে মোঃ মঞ্জুর (২৮, ঘোানার পাড়া এলাকার মনির আহমদের ছেলে ওসমান (২৮), শফিউল আলমের ছেলে শেকু (৩৫), আজাহার (২৪, মাইজ পাড়া এলাকা মৃত ফোরকানের ছেলে খোরশেদ (২৩), সাইফুলসহ অজ্ঞাত ৩/৪জন শসস্ত্র সন্ত্রাসী।
এ বিষয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহজাহান কবির জানান, এ ঘটনায় মামলা রেকর্ড হয়েছে। জড়িতদের প্রত্যেককে অভিযান চালিয়ে দ্রুত গ্রেফতার করা হবে।


আরো বিভন্ন বিভাগের নিউজ