সিলেটের গোয়াইনঘাট থানা পুলিশের সহকারী পুলিশ পরিদর্শকের (এসআই) আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। রোববার বিকেলে থানার অভ্যন্তরের পুলিশ কোয়ার্টারে এ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে। নিহত এসআই এর নাম সুদীপ বড়ুয়া।
তিনি চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থানার সুনাইচরি গ্রামের রবীন্দ্রনাথ বড়ুয়ার ছেলে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রোববার দুপুরের দিকে এসআই সুদীপের স্ত্রী তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে বারবার ফোন দিয়েও কোন সাড়া পাননি। কয়েক বার ফোন দেওয়ার পরও ফোন রিসিভ নাকরায় এক পর্যায়ে থানার কম্পিউটার অপারেটর অজয়কে ফোন দেন তিনি। অজয় মোবাইল ফোন নিয়ে থানা কোয়ার্টারের দোতলায় এসআই সুদীপের কক্ষে গেলে তিনি সেখানে এসআই সুদীপকে জানালার গ্রীলের সাথে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় দেখতে পান।
খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ভাবে সিলেটের পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান (পিপিএম), গোয়াইনঘাটের ইউএনও বিশ্বজিত কুমারপাল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহবুব আলম, গোয়াইনঘাটের সার্কেল এএসপি নজরুল ইসলাম ও থানার ওসি আব্দুল জলিল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
পরে তাদের উপস্থিতিতেই লাশের প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরী করে ময়না তদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উত্তর ও মিডিয়া অফিসার মাহবুব আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের বলেন, লাশের প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে ময়না তদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে আত্মহত্যার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ। তবে ঠিক কি কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন সে বিষয়টি এখনও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হবে বলে তিনি জানান।
সুদীপ বড়ুয়া প্রায় ২৮ বছর ধরে পুলিশে চাকরী করছেন। চলতি বছরের ১৬ ফেব্রেুয়ারি তিনি গোয়াইনঘাট থানায় যোগদান করেন। এর আগে তিনি বালাগঞ্জ থানায় কর্মরত ছিলেন। সুদীপ বড়ুয়ার এক ছেলে অভি বড়ুয়া নৌবাহিনীর স্কুলে দশম শ্রেণীতে এবং মেয়ে মুন্না বড়ুয়া চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে পড়াশোনা করছে
উপদেষ্টা সম্পাদক : সরোয়ার আজম মানিক, সম্পাদক ও প্রকাশক : মনছুর আলম,
অফিস : হোটেল আল-আমিন কমপ্লেক্স, ৩য় তলা (দৈনিক মেহেদী ) মেইন রোড,, কক্সবাজার।