• মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:২৫ অপরাহ্ন

ঝালকাঠিতে এক সাংবাদিকের প্রধানমন্ত্রীর নিকট ফেসবুকে হৃদয়বিদারক ষ্ট্যাটাস

নিউজ রুম / ৬২ ভিউ টাইম
আপডেট : মঙ্গলবার, ৭ এপ্রিল, ২০২০

ঝালকাঠি প্রতিনিধি:

ঝালকাঠি ৭ এপ্রিল ২০২০: ঝালকাঠিতে এক সাংবাদিকের প্রধানমন্ত্রীর নিকট ফেসবুকে হৃদয়বিদারক ষ্ট্যাটাস দিয়েছেন।
নিম্মে হুবাহু ষ্ট্যাটাসটি তুলে ধরা হলো:

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,
আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন সৈনিক। আওয়ামীলীগের একনিষ্ঠ কর্মি। আপনার সদয় দৃষ্টি আকর্ষন করছি। সারা দেশে করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে মানুষ দিশেহারা।সারা পৃথিবী যখন মৃত্যুপুরীতে পরিণত হচ্ছে। ঠিক সেই মুহূর্তে হিন্দু – মুসলমানের সংমিশ্রণে জন্ম নেয়া জামায়াত, বিএনপি’র দোসর, সরকারী দলের পাচাটা সুবিধাবাদী কুত্তা, কুখ্যাত মামলাবাজ টোকাই আক্কাস শিকদার প্রকাশ্য দিবালোকে আমাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে মিথ্যা মামলা দিয়েছে।

মাননীয় জননেত্রী,
আজ প্রায় ৭ দিন হল টোকাই আক্কাসের মিথ্যা ষড়যন্ত্রমূলক মামলার আসামি হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছি পথে ঘাটে বিভিন্ন জায়গায়। আদালতসমূহ বন্ধ থাকায় জামিনের আবেদন‌ও করতে পারছি না। পরিবারের সদস্যরা কেমন আছে কোথায় আছে কিভাবে আছে তার খোঁজ খবর নিতে পারছিনা। আমার সাথে থাকা সকলকে কল করার জন্য মোবাইল ফোনটি, আমার পত্রিকার আইডি কার্ড, নগদ টাকা-পয়সা যা ছিল তা সবই এই সন্ত্রাসী আক্কাস শিকদার ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এখন কারোও সাথে যোগাযোগ করতে পারছি না। শুধু অন্যের সহায়তায় ফেসবুক টি চালাতে পারছি। অনাহারে-অর্ধাহারে রাস্তাঘাটে বাসস্থানে রাত্রি যাপন করছি। স্ত্রী, ছেলে মেয়েরা কি খাচ্ছে কি করছে আল্লাহই ভালো জানেন।

বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা আপনি। আপনি দেশের গোয়েন্দা সংস্থা ডিবি, এসবি, এনএসআই, ডিজিএফআই দিয়ে ঝালকাঠির চাঞ্চল্যকর ৩০ মার্চ এর টোকাই আক্কাস শিকদারের পূর্বপরিকল্পিত ঘটনাটি সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিচারের ব্যবস্থা করুন। এ বিষয়ে আমার বক্তব্য স্পষ্ট, ৩০ শে মার্চ কাঠপট্টিতে আমি কোন চাঁদা আদায়ের জন্য যাইনি। ঐদিন আমাকে কুখ্যাত আক্কাস সিকদার রিংকুর মাধ্যমে ডেকে নিয়ে প্রকাশ্যে আমাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে লাঞ্ছিত করে ভিডিও ধারণ করে ফেসবুকসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় ছেড়ে দেয়। এতে আমি সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হয়েছি এবং মিথ্যা মামলার শিকার হয়েছি। ফলে আমার ছেলে মেয়ে সহ পরবর্তী প্রজন্মের বিয়ে সাদীতে ইফেক্ট পড়বে। তা কোন দিন কোনভাবে লাঘব করার মত নয়।

সেদিন চা বিক্রেতার ছেলে বাদাম বিক্রেতা আক্কাস সিকদার পূর্বপরিকল্পিতভাবে আমাকে ডেকে নিয়ে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে উহার ভিডিও করে ফেসবুকসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিয়ে আমার মান-সম্মান ধূলায় মিশিয়ে দিয়ে প্রচার করেছে চাদা আনতে গিয়ে গণধোলাইয়ের শিকার তিন সাংবাদিক। অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য এই আক্কাস শিকদারের কিছু পা চাটা কুত্তা সাংবাদিক তারাও তার সাথে তাল মিলিয়ে ঢালাওভাবে এই মিথ্যা সংবাদ ফেসবুকসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচার করেছে। আর ঝালকাঠির কিছু সাংবাদিক নীরব দর্শকের ভূমিকায় রয়েছিল। সন্ত্রাসী আক্কাস শিকদার এর ভয়ে কেহ মুখ খোলেননি। দুঃখের বিষয় হল ৩০ মার্চ আমি শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হয়ে রাতে ঝালকাঠি থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছিলাম কিন্তু ঝালকাঠি থানা পুলিশ আমার এজাহার গ্রহণ না করে উল্টো কুখ্যাত আক্কাস শিকদারের বানোয়াট মিথ্যা পূর্বপরিকল্পিতভাবে বাদী সাজিয়ে দায়েরকৃত এজাহার পুলিশ ঘটনার ২ দিন পর গ্রহণ করেছে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,
আপনার কাছে সবিনয়ে আরো জানাতে চাই, আমাদের সাথে একজন নিরীহ সুশিক্ষিত, মার্জিত ও ভদ্রলোক একটি কলেজের উপাধ্যক্ষকেও এই মামলায় প্রতিহিংসামূলকভাবে ৩ নাম্বার আসামি করেছে যা খুবই দুঃখজনক ও নিন্দনীয়।

আজ ৭ দিন অতিবাহিত হল আমাদের ছেলে মেয়েরা কোথায় কি অবস্থায় আছে জানিনা। কোন আত্মীয় স্বজনরা করোনা ভাইরাসের কারনে আমাদেরকে তাদের বাড়ি ঘরে রাখতে চায়না। আবার আমাদের নিজেদের বাসায়‌ও থাকতে পারছিনা। জানিনা আমাদের মৃত্যু কখন কোথায় কি অবস্থায় হবে। আমরা ক্লান্ত, অসুস্থ, ঠান্ডা কাশিতে ভুগছি, আর মনে মনে ভাবছি করোনা আক্রান্ত হয়ে কখন মারা যাই। আপনাকে জানিয়ে রাখলাম আমাদের কারোনা ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে বা কোন কারনে অকাল মৃত্যু হয় এজন্য সম্পূর্ণ ও এককভাবে এই আক্কাস সিকদার দায়ী থাকবে।

আমরা তিন সাংবাদিক ঝালকাঠি সদরে বসবাস করি। তাই আপনার যদি দয়া হয় তা হলে আমাদের এই মিথ্যা মামলা হয়তে পুলিশ হয়রানী থেকে রক্ষা করুন। আমাদের মা, বাবা, স্ত্রী ও ছেলে মেয়েদের সাথে থাকার সুযোগ করে দিন।

আমার এ বক্তব্যে কোন ভুল ত্রুটি থাকলে আমাকে ক্ষমা করে দিবেন। বিপদের সময় সঠিক জ্ঞান থাকে না।

পরিশেষে পরম করুণাময় সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের দরবারে ফরিয়াদ করছি এই ঝালকাঠির চা বিক্রেতার ছেলে বাদাম বিক্রেতা টোকাই আক্কাইসসার জুলুম, ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা, হামলার দৃষ্টান্তমূলক বিচার করিও। আমীন।

নিবেদক,

সাংবাদিক বশির আহম্মেদ খলিফা
* জাতীয় দৈনিক ভোরের সময় জেলা প্রতিনিধি, ঝালকাঠি।
* দৈনিক আমাদের বরিশাল জেলা প্রতিনিধি, ঝালকাঠি।
* নির্বাহী সদস্য, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম ঝালকাঠি জেলা শাখা।
* সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ঝালকাঠি নাগরিক ফোরাম ঝালকাঠি।
* নির্বাহী সদস্য, ধ্রুবতারা ঝালকাঠি জেলা শাখা।
* ব্যবস্থাপনা পরিচালক “বসুমতি” পার্সেল এন্ড কুরিয়ার সার্ভিস ১২ কোর্ট রোড ঝালকাঠি।


আরো বিভন্ন বিভাগের নিউজ