• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৫২ পূর্বাহ্ন

দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদের সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা নেয়নি চকরিয়া থানা!

নিউজ রুম / ২০১ ভিউ টাইম
আপডেট : বুধবার, ৮ এপ্রিল, ২০২০

চ্যানেল কক্স ডেস্ক:

দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ আতঙ্কের মাঝে এবার হামলার শিকার হয়েছেন দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদ এর চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি নাজমুল সাঈদ সোহেল।গত শুক্রবার রাতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। তাকে এলাকাবাসী উদ্ধার করে চকরিয়া হাসপাতালে ভর্তি করেন।

এঘটনায় আহত সাংবাদিক নাজমুল গত ৭ এপ্রিল একটি এজাহার দায়ের করলেও চকরিয়া থানার ওসি এজাহারটি গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ।

অভিযোগ রয়েছে, আহত সাংবাদিক নাজমুল সাঈদ সোহেলের এজাহার জমা দেওয়ার আগে উল্টো আহত সাংবাদিক নাজমুলের বিরুদ্ধে রহস্যজনক ভাবে প্রতিপক্ষের একটি এজাহার গ্রহণ করেন চকরিয়া থানার সাংবাদিক বিদ্বেষী ওসি হাবিব।

শুক্রবার রাতে পারিবারিক কলহের জের ধরে নাজমুলের ছোট ২ ভাই সাইফুল ইসলাম, তারেকুল ইসলামসহ তাদের ৪/৫ জন বন্ধু মিলে নিজ বাড়িতে এই হামলা চালায়। বন্ধুদের মধ্যে মগবাজার ৬ নং ওয়ার্ডের সাইফুল ছিলেন বলে জানা গেছে।

হামলার সময় প্রতিবেশিরা এগিয়ে এসে আহত নাজমুলকে উদ্ধার করে দ্রুত চকরিয়া হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন।
আহত সাংবাদিক নাজমুল জানান, আমি হাসপাতাল থেকে রিলিজ হওয়ার পর থেকে ঘরে ডুকতে পারছি না। হামলাকারীরা তার বাড়ীর চারদিকে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। এখন ঘরেও ডুকতে না পেরে বাইরে দিনাতিপাত করতে হচ্ছে।

এছাড়া নাজমুলের বড় মেয়েকে ঘরের ভেতর অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। তাকে খাবারও দিচ্ছে না। এমনকি পাশের ভাড়াটিয়া এক কাপ চা দিতে গেলেও তাকে তাড়িয়ে দেয়া হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, এবিষয়ে চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাবিব রহমানকে জানালে তিনি স্থানীয় কাউন্সিলর ও আত্নীয়স্বজনদের নিকট স্মরণাপন্ন হতে বলেন এবং তাকে বলে লাভ কি; একথা বলো ফোন কেটে দেন।

এদিকে, এলাকাবাসীর একটি সুত্র জানিয়েছেন, আহত সাংবাদিক নাজমুল সাঈদ সোহেলের এজাহার জমা দেওয়ার আগে উল্টো রহস্যজনক ভাবে প্রতিপক্ষের একটি এজাহার গ্রহণ করেন বলে জানা গেছে।

অপরদিকে, এবিষয়ে কথা বলার জন্য দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদের কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি শাহজাহান চৌধুরী শাহীন বুধবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাবিব রহমানকে সরকারী নাম্বারে ফোন দেন।

সাংবাদিক শাহজাহান চৌধুরী শাহীন জানান, আমি ফোন করলে তিনি বিষয়টি হালকা ভাবে নিয়ে বলেন, করোনা পরিস্থিতি নিয়ে ঝামেলায় আছি, এসব বিষয় নিয়ে কথা বলার সময় আমার নাই বলে ফোন কেটে দেন।

আমি দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদের কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি হিসেবে আমার দায়িত্ববোধ থেকে ফোনটা করেছিলাম বিষয়টি জানার জন্য। কিন্তু সাংবাদিক বিদ্বেষী চকরিয়া থানার ওসির এমন বক্তব্যে আমি হতাশ হলাম।

একইভাবে, সাংবাদিক নাজমুলের উপর হামলার বিষয়ে দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদ পত্রিকা অফিস থেকে পত্রিকার সাব-এডিটর রিহাব মাহমুদ চকরিয়া থানার ওসির ফোন করে বক্তব্য জানতে চাওয়ার পর ওসি আরো ক্ষুদ্ধ হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ।

গত ৭ এপ্রিল রাতে সাংবাদিক নাজমুল এ সংক্রান্ত একটি লিখিত এজাহার নিয়ে থানা গেলে তা গ্রহণ করা হয়নি।

এ বিষয়ে বুধবার সহকারী পুলিশ সুপার (চকরিয়া সার্কেল) মতিউল ইসলামের কাছেও অভিযোগটি জানাবেন বলে জানান সাংবাদিক নাজমুল।

এব্যাপারে আহত সাংবাদিক নাজমুল সাঈদ সোহেলের পরিবার উর্ধতন প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।


আরো বিভন্ন বিভাগের নিউজ