• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৬:১৮ অপরাহ্ন

চকরিয়ায় চেয়ারম্যানের কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ হয়ে জনরোশানলের শিকার হয়ে পালিয়ে বাঁচলেন ইউপি চেয়ারম্যান কাইছার।

নিউজ রুম / ৬২৯ ভিউ টাইম
আপডেট : শনিবার, ১১ এপ্রিল, ২০২০
উপরে লক্ষ্যারচর ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা কাইছার

উপরে লক্ষ্যারচর ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা কাইছার

চকরিয়া প্রতিনিধি:

চলমান করোনা সংক্রমণে সরকারের নির্দেশনায় অঘোষিত ভাবে চলছে লগডাউন। দেশের এ ক্লান্তিলগ্নে দুর্যোগ মুহূর্তে কক্সবাজারের চকরিয়ায় প্রকাশ্যে দিবালোকে একদল দূর্বৃত্ত নিয়ে জায়গা জবর দখলের চেষ্টা চালিয়ে বসতঘর ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে ইউপি চেয়ারম্যান বিরুদ্ধে।

শুক্রবার (১০এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার কাকারা ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ড বার আউলিয়া নগর এলাকায় এ ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।

অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার কাকারা ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডস্থ বার আউলিয়া নগর এলাকার মৃত ছৈয়দ করিমের স্ত্রী নছিমা খাতুন ও তার পুত্রদের নিয়ে ১৯৮৭ সাল থেকে তাদের দখলীয় জায়গায় বসতি নির্মাণ করে ৩৩ বছর ধরে ভোগদখলে বসবাস করে আসছে। নছিমা খাতুনের স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে তার ভোগদখলীয় জায়গায়টি দীর্ঘদিন ধরে জোরপূর্বক জবর দখলের চেষ্টা চালিয়ে আসছে লক্ষ্যার চর ইউপি চেয়ারম্যান কাইছার। তাদের বসতঘর জায়গা লাগোয়া রয়েছে চেয়ারম্যানের খামার ঘর ও বাউন্ডারি ওয়াল। এ জায়গা থেকে সরানোর জন্য চেয়ারম্যান বেশ কয়েকবার তাদের পরিবারকে হুমকি ও নানা ধরনের তাগাদাও নাকি দিয়েছিল। চেয়ারম্যান ক্ষমতা দাপটের কারণে আতঙ্ক ও অসহায়ত্ব অবস্থায় জীবন যাপন করে যাচ্ছে ভুক্তভোগী পরিবারটি।

উল্লেখিত জায়গায় চেয়ারম্যান কাইছারের জমি রয়েছে দাবী করে শুক্রবার সকালে তার নেতৃত্বে ১০-১৫ জনের একদল দুবৃর্ত্ত নিয়ে প্রকাশ্যে দিবালোকে জায়গা দখলের চেষ্টা চালিয়ে বসতঘরে ভাংচুর করে। এতে তাদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধন হয়। চেয়ারম্যান কাইছারের নেতৃত্বে এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে দাবী করেছেন জায়গার মালিক বিধবা নছিমা খাতুন ও স্থানীয় জনসাধারণ।

স্থানীয় ইউপি সদস্য এনামুল হক তার ওয়ার্ডের বিধবা এক অসহায় মহিলার জায়গা জবর দখলের চেষ্টা চালিয়ে বসতঘর ভাংচুর করার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে তিনি চেয়ারম্যান ও লোকজনকে বাধা দিলে এনামের সাথে চেয়ারম্যান তর্কে জড়িয়ে পড়ে। এসময় কাকারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শওকত ওসমানকে ঘটনার বিষয়ে অবগত করা হলে তিনি তাৎক্ষণিক ভাবে ঘটনাস্থলে পৌঁছে সৃষ্ট বিরোধটি প্রাথমিকভাবে সমাধান করেন। পরে চেয়ারম্যান কাইছার তার লোকজন নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেছেন বলে স্থানীয়রা জানায়। বিধবা অসহায় নছিমা খাতুনের পরিবারের উপর চেয়ারম্যান তার বাহিনী দিয়ে এ দুর্যোগের সময়ে বসতঘর ভাংচুর চালানো ঘটনার বিষয়ে চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সাংসদ আলহাজ জাফর আলম, উপজেলা চেয়ারম্যানসহ উর্ধ্বতন সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।

লক্ষ্যারচর ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা কাইছার কাছে বসতঘর ভাংচুর করে জায়গা জবর দখলের চেষ্টার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ঘটনার বিষয়ে অভিযোগটি সম্পূর্ণ বিপরীত বলে দাবী করেন, নছিমা খাতুনের জায়গাটি আমি তাদেরকে বসবাসের জন্য দিয়েছিলাম। এ জায়গাটি সম্পূর্ণ আমার খতিয়ানভুক্ত জায়গা। তারা যে ভাবে ভোগদখলীয় জায়গার মালিকানা দাবী করছে তা সম্পূর্ণ প্রতারণা।

তিনি আরো বলেন, সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে প্রকাশ্যে দিবালোকে জায়গা জবর দখল ও বসতঘর ভাংচুরের অভিযোগ সত্য নয় বলে দাবী করেন। নছিমা খাতুনের দুই ছেলের সাথে পরামর্শ করে আমার পুরাতন খামার ঘরের গোডাউন মেরামত করতে যায় শ্রমিকরা। এতে তাদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে বলে তিনি জানান।

ঘটনার ব্যাপারে কাকারা ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শওকত ওসমান বলেন, বসতঘর ভাংচুরের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ভাবে ঘটনাস্থলে পৌঁছি। ভাংচুর করার ঘটনাটি সত্য। তবে স্থানীয় মেম্বার এনাম ও চেয়ারম্যান মধ্যে দুপক্ষের বিষয় নিয়ে স্থানীয় ভাবে বসে তা আমরা সমাধান করবো বলে তিনি জানান।


আরো বিভন্ন বিভাগের নিউজ