• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:১৫ অপরাহ্ন

কুতুবদিয়ায় সামাজিক দুরত্বের কথা মাথায় রেখেই বসেছে বাজার৷

নিউজ রুম / ৭৫ ভিউ টাইম
আপডেট : সোমবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২০

কাইছার সিকদার:

নভেল করোনা ভাইরাস সংক্রমণ থেকে বাঁচার প্রথম শর্ত হিসেবে বিবেচিত একে অপরের কাছ থেকে কম পক্ষে ৩ ফুট দুরত্ব বজায় রেখে চলা৷ যাকে সমাজিক দুরত্ব বলে অবহিত করা হয়েছে৷

গবেষণায় দেখা গেছে মূলত করোনা ভাইরাসের জীবাণু অন্যান্য সব ভাইরাস বা জীবাণুর চাইতে বেশী দ্রুত ছড়ায় ও ছোঁয়াচে৷ সহজেই পারে এক ব্যাক্তির শরীর হতে অন্য ব্যাক্তি কিংবা অন্য যে কোন জিনিসে চলে যেতে৷ তাই কোন আক্রান্ত ব্যক্তি অন্যদের সংস্পর্শে আসলেই ঘটতে পারে বিপত্তি, মূহুর্তেই ছড়িয়ে যেতে পারে শত শত মানুষের শরীরে, পর্যায়ক্রমে পুরো গ্রাম কিংবা উপজেলায়, জন জীবন হয়ে উঠতে পারে বিপর্যস্ত৷

এই বিপর্যয় ঠেকাতে কুতুবদিয়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে সময়োপযোগী উদ্যোগ৷ এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে সরাসরি পদক্ষেপ নিয়েছেন কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব- জিয়াউল হক মীর৷

উপজেলার ২টি বৃহত্তম (বাজার/হাঁট) ধুরুং বাজার ও বড়ঘোপ বাজার হতে নিত্য প্রয়োজনীয় ও কাঁচা বাজারের সকল দোকান সাময়িক সময়ের জন্য ধুরুং বাজার সংলগ্ন ফুটবল খেলার মাঠে এবং বড়ঘোপ বাজার সংলগ্ন সমুদ্র সৈকতের পাশে খোলা জায়গায় ব্যাবসা চালিয়ে যাওয়ার জন্য নির্ধারণ করে দিয়েছেন৷ যেখানে প্রতিটি দোকান একটি অপরটির কাছ থেকে অন্তত ৮(আট) ফুট দুরত্বে বসানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়াউল হক মীর জানান কাঁচা বাজার ও নিত্য পণ্যের দোকানে মানুষের ভিড় বেশী থাকে বলে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিটা ওখানে সব চেয়ে বেশী তাই সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষ যাতে সংক্রমণের হাত থেকে নিজেকে নিরাপদে রেখে তাঁদের প্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয় করে বাড়ি ফিরতে পারে এবং নিজেকে, নিজের পরিবারকে নিরাপদে রাখতে পারে সে কথা মাথায় রেখেই সাময়িক এই বাজার ব্যাবস্থা চালু করা হয়েছে৷

তিনি আরো জানান, করোনা প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই আমরা অব্যাহত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি এ দ্বীপের মানুষকে সুস্থ ও নিরাপদে রাখতে এটা ও তার ব্যতিক্রম নয়৷

জানে আলম সিকদার নামে এক ক্রেতা বলেন, আমরা অত্যন্ত স্বচ্ছন্দে বাজার করতে পারছি এবং নিরাপত্তার দিক বিবেচনা করে এলাকার সকল শ্রেণীর মানুষ এ উদ্যোগ কে স্বাগত জানিয়েছেন৷

মাহমুদুল করিম নামে এক সবজি ব্যাবসায়ী জানান, স্থানান্তরের ফলে তাদের ব্যাবসায় কোন নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি বরং তারা ও নিজেদের নিরাপদে রেখে ব্যাবসা চালিয়ে যেতে পারছে বলে আনন্দিত৷

অন্য এক ব্যাবসায়ী মৌসুমী আবহাওয়ার কথা উল্লেখ করে বলেন-সামনে ঝড়ো হাওয়ার দিন, যখন তখন শুরু হতে পারে কাল বৈশাখী, নেমে আসতে পারে অঝোর ধারার বৃষ্টি, এমন টি হলে তারা অনাকাঙ্খিত ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেন৷ সাথে সাথে পরিবর্তনশীল মৌষুমের কথা চিন্তা করে উপযুক্ত ব্যাবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের প্রতি আবেদন জানিয়েছেন৷
এ ছাড়া উপজেলার সর্বস্থরের মানুষ নিরাপদ এই বাজার ব্যাবস্থায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন৷


আরো বিভন্ন বিভাগের নিউজ