কর্ম জীবনে এদুজন অভিনেতার অসংখ্য সিনেমা রয়েছে। দীর্ঘদিন যাবৎ তারা এক সাথে কাজ করেছেন। দর্শকদের উপহার দিয়েছেন অনেক জনপ্রিয় ছবি। ঈদে এই দিনে হাসপাতালে ইলিয়াস কাঞ্চনকে পাশে পেয়ে এটিএম যেন খুশীতে আত্মহারা হয়ে ওঠেন। দীর্ঘদিনের চলার সাথী অতি আপান জনকে বুকে জরিয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন।
এটিএম এর সাথে দেখা করে আসার পর ইলিয়াস কাঞ্চন জানান, উনি অসুস্থ্য হবার পর আমি নিয়মিত তাঁর খোঁজ খবর রাখছি। বেশ কয়েকবার এখানে তার সঙ্গে দেখা করতে এসেছি। আজ ঈদের এই দিনে আমাদের সকলের প্রিয় এই মানুষটি হাসপাতালে সুয়ে আছেন। আমি যতদুর জানি জীবনের এই প্রথম তিনি হাসপাতালে ঈদ করছেন। তাঁর সাথে আমার দীর্ঘ দিনের পরিচয়, এত স্মৃতি। যা বলে বোঝানো যাবেনা। ইলিয়াস কাঞ্চন নিরাপদ নিউজকে বলেন, এটিএম ভাই আমার মরহুমা স্ত্রী জাহানারার ভীষন প্রিয় একজন মানুষ ছিলেন। এটিএম ভাই আমার স্ত্রীকে ভীষন স্নেহ করতেন। যে কথাটি না বললেই নয়,আপনারা জানেন এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় আমার স্ত্রী মারা যায়। সেদিন আমার স্ত্রীর সাথে ঐ গাড়িতে এটিম ভাই ও ছিলেন। তিনি বলেন, সেদিন এটিএম ভাই এর কোন সিনেমার সুটিং ছিলোনা। এরপরও তিনি আমার স্ত্রীর সাথে আমার কাছে আসছিলেন দেখা করতে। একজন মানুষ কতটা আপন হলে সে সময় জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা একজন অভিনেতা কাজ ছাড়াই এভাবে আমাদের সময় দেন তা বলার অপেক্ষা রাখেনা।
ইলিয়াস কাঞ্চন দেশবাসী সকলের কাছে দোয়া কামনা করেন সবার প্রিয় এই মানুষটি যেন দ্রুত সুস্থ্য হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসেন। ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, এটি এম শামসুজ্জামান এখনো পুরোপুরি সুস্থ্য হয়ে উঠেননি। চিকিৎসা চলছে, এই অবস্থায় তাকে বাসায় রেখে চিকিৎসা করাটা ঠিক হবেনা। একারণে চিকিৎসকরা তাকে বাসায় যেতে বারণ করেছেন। আমরা চাই তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসুন। সবাই এটিএম শামসুজ্জামান এর জন্য দোয়া করবেন আল্লাহ যেন তাকে তাড়াতাড়ি সুস্থ করে দেন। ইলিয়াস কাঞ্চন আরো বলেন,হাসপাতালে থাকতে থাকতে উনি নিঃসঙ্গতায় ভুগছেন। এসময় তার পাশে সহকর্মিদের থাকাটা ভীষণ প্রয়োজন। ইলিয়াস কাঞ্চন সকল শিল্পীদের অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান এর পাশে থাকার জন্য আহবান জানান।