নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
উখিয়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সোলাতান মাহমুদ চৌধুরীর বাড়ীর আঙ্গিনা থেকে মাটি ভর্তি একটি ডাম্পার জব্দ করেছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। আজ সকাল ১১ টার দিকে জালিয়াপালং এর পাইন্নাশিয়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে ডাম্পারটি জব্দ করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক আরাফাত চৌধুরীকে জব্দ করা ডাম্পারটি চালিয়ে উপজেলা অফিসে যেতে নির্দেশ দেন ইউএনও। কিন্তু পথিমধ্যে গাড়ী থেকে নেমে পালিয়ে যান তিনি।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, দীর্ঘদিন দক্ষিণ পাইন্নাশিয়া এলাকার বনবিভাগের পাহাড় কেটে বিভিন্ন স্থানে মাটি বিক্রি করে আসছিলেন ছাত্রদল নেতা আরাফাতের নেতৃত্বে একটি সিন্ডিকেট। প্রতিদিন ২০ শ্রমিক ও ১০/১২ ডাম্পার মাটি কাটা ও মাটি টানায় নিয়োজিত রয়েছে। অসংখ্য বার উখিয়ার এসিল্যান্ড ও বনবিভাগ অভিযান পরিচালনা করলেও স্থানীয়ভাবে তারা প্রভাবশালী হওয়ায় বার বার অভিযান ব্যর্থ হয়েছে। বিশেষ করে এসবের দেখভাল করেন উপজলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সোলতান মাহমুদ চৌধুরী ও জালিয়াপালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন চৌধুরী। এ কারণেই এরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়।
আজ খবর পেয়ে সকালের দিকে অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নিকারুজ্জামান চৌধুরী। তার অভিযানে আসার খবর জেনে যায় ভূমিদস্যুরা। দ্রুত ৪/৫ টি ডাম্পার সরিয়ে ফেলা হয়। তবে মাটি ভর্তি একটি ডাম্পার পাওয়া যায় সোলতান মাহমুদ চৌধুরীর বাড়ীর আঙ্গিনায়।
ডাম্পার টি জব্দ করে তা চালিয়ে ইউএনও অফিসে নিতে ছাত্রদল নেতা আরাফাতকে নির্দেশ দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। ইউএনও 'র নির্দেশ মতো ডাম্পার টি চালিয়ে রেজু ব্রীজ পর্যন্ত গিয়ে ডাম্পারটি রেখে পালিয়ে যায় ছাত্রদল নেতা আরাফাত চৌধুরী।
তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নিকারুজ্জামান চৌধুরী। জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
উপদেষ্টা সম্পাদক : সরোয়ার আজম মানিক, সম্পাদক ও প্রকাশক : মনছুর আলম,
অফিস : হোটেল আল-আমিন কমপ্লেক্স, ৩য় তলা (দৈনিক মেহেদী ) মেইন রোড,, কক্সবাজার।