• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১০:৩৯ অপরাহ্ন

কারাগারে শাহাজান আনচারীর উপর একাধিক বার হামালার অভিযোগ:

নিউজ রুম / ৪৪ ভিউ টাইম
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

কক্সবাজার জেলা কারাগারে শাহাজান আনচারীর উপরে একাধিকবার হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন তার পরিবার। শাহাজানের পরিবারের দাবি, সে একা হওয়ায় মতের অমিল হলেই টেকনাফের আত্মসমপর্ণকারী ইয়াবা ব্যবসায়ীরা নানানভাবে তার উপরে মানুষিক চাপ প্রয়োগ করেন। তাতে কাজ না হলে হামলা ও অপপ্রচারের লিপ্ত হন।

শাহাজানের পিতা নুর মোহাম্মদ আনচারী জানান, তার ছেলে সরকারি প্রক্রিয়ায় মুক্ত হতে চাইছে। কারন তার ছেলে তালিকাভুক্ত ও জটিল কোন মামলার আসামী নয়। অন্যদিকে বাকিদের বেশির ভাগই একাধিক মামলার আসামী এবং তালিকাভুক্ত। সে কারনে তারা অন্যভাবে মোটা অংকের বিনিময়ে জামিনের চেষ্টা করে যাচ্ছে।

তাদের সিদ্ধান্তে তার ছেলে শাহাজান রাজি না হওয়ায় তাকে নাজেহাল করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত মারামারির খবর তারই অংশ বলে দাবি করেন শাহাজানের পিতা।

শাহাজানের পিতা নুর মোহাম্মদ এর দাবি, মামলা পরিচালনার দায়িত্ব দেয়ার যে খবর প্রকাশিত হয় তা সঠিক নয়। বরং টেকনাফের এক প্রভাবশালীর ভাইসহ তার ঘনিষ্টরাই জেল থেকে যে সিদ্ধান্ত নেয় শাহাজানকে তা মেনে নিতে বাধ্য করা হয়। কারন শাহাজান একা আর তারা একশ। এ পর্যন্ত জামিন শুনানির জন্য শাহাজানের নির্দেশ মত তাদের ফান্ডেই এ টাকা দেয়ার কথা জানান তিনি।

শাহাজানেরের পিতার দাবি, একরামরা কোন কিছু নিয়ে মতের অমিল হলে শাহাজানের বিরুদ্ধে অপ্রচার করেন। তারা সংখ্যায় বেশি হওয়ায় শাহাজানকে কোনঠাসা করতে তাদের সুবিধা হয়। তার মতে অভিযোগ করলে শাহাজানই করতে পারবে তাদের বিরুদ্ধে। তিনি খোঁজখবর নিয়ে সত্যটা তুলে ধরার জন্য সাংবাদিকদের প্রতি অনুরোধ জানান।

কারাগারের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রের দাবি, শাহাজানকে মূলতো কেউ কোন টাকা দেয়নি।
হাতাহাতির বিষয়টা অন্যকিছু নিয়ে।

কক্সবাজার জেলা কারাগারের জেল সুপার মো: মোকাম্মেল হোসেন জানান, মারামারি আসলে শাহাজান বা একরাম করেনি। তাদের দুইজনের সমর্থকদের মধ্যে হয়েছে। এর পর শাস্তিমূলক শাহাজান আনচারী ও একরামকে সেলে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।


আরো বিভন্ন বিভাগের নিউজ