• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৪:০৮ পূর্বাহ্ন

ত্রাণের ১৫ টন চাল আত্মসাত, টইটং ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা

নিউজ রুম / ৯ ভিউ টাইম
আপডেট : বুধবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২০

ইমাম খাইর, কক্সবাজার, 
পেকুয়ায় সরকারি বরাদ্দের ৩০০ বস্তা তথা ১৫ টন চাল আত্মসাতের অভিযোগে টইটং ইউপির চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের নেতা জাহেদুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) রাতে মামলাটি দায়ের করেন বলে নিশ্চিত করেছেন পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল আজম।
হতদরিদ্রদের মাঝে বিতরণের জন্য ৬ এপ্রিল ১৫ টন চাল খাদ্য গুদাম থেকে উত্তোলন করেন চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী।
কিন্তু মাষ্টাররোলসহ অন্যান্য কাগজপত্র জমা দেন নি। চালগুলো কোথায় আছে সে বিষয়েও কোন সুরহা দেন নি। যার কারণে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে বলে জানান পিআইও মো. আমিনুল ইসলাম।
সূত্রে জানা যায়, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ শাখা থেকে ২০১৯ সালের ২৯ জুলাই মানবিক সহায়তা হিসেবে ৪০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। ইতিমধ্যে ২৫ টন চাল বিলি করা হয়েছে। সম্প্রতি করোনা ভাইরাসের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত দিনমজুর, রিকশাচালক ও অসহায় দুঃস্থ পরিবারের মাঝে বিতরণের জন্য গত ৩১ মার্চ টৈটং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম চৌধুরী অনুকূলে ১৫ টন চাল উপ বরাদ্দ দেওয়া হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাঈকা সাহাদাত স্বাক্ষরিত ওই বরাদ্দকৃত চালের কোন হদিস মেলে নি এখনো। ত্রাণের চাল গায়েবের বিষয়টি তদন্ত করতে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ আশরাফুল আফসার পেকুয়ায় গিয়েছিলেন।
তদন্তের বিষয়ে তিনি জানিয়েছিলেন, পেকুয়ায় তদন্তে এসে সরকারী ভাবে বরাদ্দের কাগজ বা নথি পর্যালোচনা করেছেন। টৈটং চেয়ারম্যান দুই দফায় চাল উত্তোলন করেছেন। কিন্তু তিনি বিতরণের কোন তথ্য দেননি বা চাল গুলো কি করেছেন সে বিষয়ে এখনো কিছু জানাননি।
এদিকে, গত ২৬ এপ্রিল দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার বারবাকিয়া হোসনে আরা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ভবন থেকে ১৫ টন চালের বস্তাগুলো জব্দ করে পুলিশ। ওই সময় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়িছিল।
জব্দকৃত চাল নিয়ে ধূম্রজাল তৈরী হয়েছে। চলছে চালবাজি। এই চাল সেই চাল কিনা তা আদৌ নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না।
তবে, অভিযুক্ত চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী স্থানীয় ওই দিন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ইউএনও তার কাছ থেকে একটি স্বাক্ষর নিয়েছেন, এর বাইরে তিনি কিছুই জানেন না।


আরো বিভন্ন বিভাগের নিউজ