• বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৪৬ পূর্বাহ্ন

পঙ্গপাল নাকি ঘাসফড়িং, শনাক্ত করতে ঢাকা থেকে আসছে বিশেষজ্ঞ টিম

নিউজ রুম / ১২ ভিউ টাইম
আপডেট : শনিবার, ২ মে, ২০২০

ইমাম খাইর, কক্সবাজার
সীমান্ত উপজেলা টেকনাফে সম্প্রতি ঘাসফড়িংয়ের মতো ছোট ছোট কিছু পোকা দেখা মিলে। এই পোকার আক্রমণে অনেকের ক্ষেতের ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। খেয়ে ফেলছে গাছের সবুজ পাতা। যার প্রেক্ষিতে স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক তৈরি হয়। এগুলোকে পঙ্গপাল বলেও ধারণা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও অনলাইন পোর্টালগুলোতে বেশ লেখালেখি হয়েছে।

তবে, এতে আতঙ্কিত না হতে এবং আতঙ্ক ছড়াতে শুক্রবার (১ মে) দুপুরে ডিসির অফিসিয়াল আইডিতে স্ট্যাটাসে সতর্ক করেছেন জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন।

তিনি বলেন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞগণ পঙ্গপাল সদৃশ্য পোকাটি প্রাথমিকভাবে ফসলের জন্য ক্ষতিকর নয়। উপরন্তু বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের একটি উচ্চ পর্যায়ের বিজ্ঞানী দল সরেজমিন যাচাই করার জন্য ঢাকা থেকে টেকনাফের উদ্দ্যেশ্যে রওয়ানা হয়েছেন।

কৃষি মন্ত্রণালয় বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে পর্যবেক্ষণ ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন জেলা প্রশাসক।

এদিকে, শুক্রবার কৃষি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের কীটতত্ত্ববিদদের নিয়ে গঠিত উচ্চ পর্যায়ের ওই দলের কাজ হবে ‘ঘাসফড়িং সদৃশ লোকাস্ট গোত্রের স্থানীয় ওই পোকা’ শনাক্ত করা, আক্রমণ প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও ধ্বংস করা।

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকেও আলাদা বিশেষজ্ঞ দল টেকনাফ যাবে বলে জানানো হয়।

বলা হয়েছে, বেশ কিছুদিন আগে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার লম্বরী গ্রামের কয়েকটি গাছে ‘ঘাসফড়িংয়ের মতো কিছু ছোট পোকার’ আক্রমণ দেখা দিলে কক্সবাজারে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক এবং স্থানীয় কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা সেখানে গিয়ে কীটনাশক প্রয়োগ করে পোকাগুলো দমন করেন।

অতিসম্প্রতি ঘাসফড়িং সদৃশ এসব পোকা আবারও দেখা দিলে কৃষি মন্ত্রণালয় এটিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কক্সবাজারের উপপরিচালকের বরাত দিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার কীটনাশক স্প্রে করার পর গাছে থাকা পোকাগুলো মরে যায়। সেখানে আর কোনো জীবিত পোকা নেই। পোকাগুলো তেমন ক্ষতিকর নয় বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এসব পোকা মরুভূমির ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে আসা পঙ্গপাল জাতীয় কোনো পোকা নয়।

এসব পোকাকে পঙ্গপাল মনে করে এ নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে সরকারের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে।

গত বছরের শেষ দিক থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে পঙ্গপাল আফ্রিকার ইথিওপিয়া, কেনিয়া ও সোমালিয়াসহ মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশে আক্রমণ চালিয়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করে।

এ বছরের শুরুতে পাকিস্তানে পঙ্গপালের আক্রমণে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর জানা যায়। যার কারণে দেশটিতে জরুরি অবস্থা জারি করতে হয়।

ভারতের পাঞ্জাবে প্রদেশে এই পঙ্গপাল ঢুকে পড়লে আশপাশের কয়েকটি রাজ্যে সতর্কতা জারি করা হয়।

এছাড়া চীন এবং মিয়ানমারেও পঙ্গপালের উৎপাত দেখা দিয়েছে।

এমন কোন পোকা টেকনাফে ঢুকে পড়েছে কিনা, তা নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে রীতিমতো আতঙ্ক বিরাজ করছে।


আরো বিভন্ন বিভাগের নিউজ