কাইছার সিকদার:

কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়ায় এক কৃষকের বসতবাড়ির আঙ্গিনায় বসানো নলকূপে দেখা মিলল মাটির নিচ থেকে উঠে আসা প্রাকৃতিক গ্যাসের৷

কুতুবদিয়া উপজেলার আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের ফতেহ্ আলী সিকদার পাড়ায় আবুল কাসেম(৫৮) নামে ঐ কৃষকের বসবাস৷ তাঁর সাথে কথা বলে জানা যায় বেশ কয়েক বছর আগে মূলত খাওয়ার পানি আহরণের উদ্দেশ্যে নিজ বাড়ির আঙ্গিনায় একটি নলকূপ স্থাপন করেন জায়গাটির পূর্বের মালিক কামরুন নাহার৷পানি উঠে আসছিল বেশ স্বাচ্ছন্দ্যে, পানি খুব সুস্বাদু ও গন্ধহীন৷ বিগত ৪-৫ বছর হল পূর্বের মালিকের কাছ থেকে ঘরসহ বসতভীটা টি কিনে নেন আবুল কাসিম৷ কয়েক বছর পরে এসে বিগত ৭/৮ মাস আগে থেকে পানির প্রবাহ একটু কমে যায় এবং এক ধরণের বুদবুদ সহ আওয়াজ আসতে থাকে, আশেপাশের লোকজনকে ঘটনা অবহিত করেন তিনি, তাদের একজন সন্দেহ বশত নলকূপের নলের মুখে আগুন লাগিয়ে পরীক্ষা করেন নিশ্চিত হওয়ার জন্য আসলে জিনিসটা কি, দেখা গেল গ্যাসের প্রবাহের ন্যায় আগুনের শিখা ক্রমাগত জ্বলতে থাকে৷ এলাকাবাসি প্রাথমিক ভাবে ধারণা করছে এটা মাটির নিচ থেকে উঠে আসা প্রাকৃতিক গ্যাস৷

১লা মে ২০২০ইং শুক্রবার সন্ধ্যার পর আনুমানিক ৮ ঘটিকা নাগাদ আবারো ঐ নলকূপে আগুন দেয়া হয় গ্যাসের উপস্থিতি পর্যবেক্ষণ করার জন্য, প্রতিবেদক খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে উপস্থিত হলে ঘটনা স্বচক্ষে অবলোকন করে নলকূপে গ্যাসের ন্যায় দাহ্য পদার্থের উপস্থিতির বিষয়টি নিশ্চিত হন৷

তবে প্রাতিষ্টানিক ও কারিগরি কোন পরীক্ষা করে এখনো দেখা হয়নি৷ জনস্বাস্থ্য বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী জনাব-আশিকুর রহমান খান কে খবর দেওয়া হলে তিনি এসে ঘটনা স্থল পরিদর্শন ও প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ করেন৷ জনাব আশিকুর রহমান বলেন আপাততঃ গ্যাসের চাপ কম রয়েছে, বিশেষজ্ঞ দের নিয়ে যান্ত্রিক পরীক্ষণ ও গবেষণা করে দেখা সম্ভব হলে উঠে আসা পদার্থের ব্যাপারে ও তার মজুদের ব্যাপ্তি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যেত বলে জানান তিনি৷

এলাকাবাসির ভাষ্যমতে অতি মূল্যবান এই প্রাকৃতিক সম্পদের যদি বড় কোন মজুদ এখানে পাওয়া আর তা উত্তোলন যোগ্য হয় তবে তা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে৷