• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৪৪ অপরাহ্ন

রাজস্ব ছাড়া লুপাট করছে ১৪ কোটি টাকার বাঁকখালী নদীর বালু, জড়িত আছে অনেক প্রভাবশালী l সি কক্স নিউজ

নিউজ রুম / ১৩ ভিউ টাইম
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ৭ মে, ২০২০

বিশেষ প্রতিনিধিঃ
ড্রেজিং হওয়ার কারণে বাঁকখালী নদী যতটা না প্রাণ ফিরে পেয়েছে তার চেয়ে বেশি মোটাতাজা হয়েছে একটি বালুখেকো চক্র। চক্রটি এতই শক্তিশালী যে, করোনা সংকটের লকডাউনে সবকিছু বন্ধ থাকলেও প্রতিরাতে প্রকাশ্যে করছে বালু লুপাট।
বাঁকখালী নদীর কস্তুরাঘাট এলাকায় সরকারি জমিতে বছরখানেক আগে বাঁকখালী নদী ড্রেজিং করে একটি বালুর স্তুপ (ডায়েক) করা হয়। সেখানে প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ সিএফটি বালু জমানো হয়। বালিগুলো বাঁকখালী নদীর ওপর ব্রিজ নির্মাণের জন্য উত্তোলন করেছিল এমএম বিল্ডার্স। এমএম বিল্ডার্স এর মালিক মহিউদ্দিন চৌধুরী।


কিন্তু হঠাৎ ব্রিজ নির্মাণের কাজ থেকে সরে যায় এমএম বিল্ডার্স। এরপর বালুগুলো লুপাট করার জন্য একটি সিন্ডিকেট তৈরী হয়। চক্রটি বালুগুলো এমএম বিল্ডার্স এর কাছ থেকে বালু কেনার ক্রয় চুক্তিসহ নানা ভূয়া কাগজপত্র তৈরী করে। কোন ধরণের রাজস্ব ছাড়া সংশ্লিষ্ট কর্র্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে লকডাউন সময়ে ওই ডায়েক থেকে বালু বিক্রি করে যাচ্ছে। বালুর ডায়েকের পাশে অবস্থিত কক্সবাজার সদর মডেল থানা। থানার পাশে ডিসি অফিস ও পৌরসভা। কিন্তু অবৈধভাবে প্রতিরাতে শত শত ডাম্পারে করে বালু নিয়ে গেলেও রহস্যজনক কারণে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো চোখে কালো কাপড় পড়ে বসে আছে।
জানা গেছে, কস্তুরাঘাটের ওই ডায়েক থেকে বালুগুলো বিক্রি করা হচ্ছে বিমাবন্দর নির্মাণ, সড়ক নির্মাণ ও বিভিন্ন উন্নয়ন কাজে। প্রতি সিএফটি হিসাবে নূন্যতম ৬ টাকা করেও হলেও ওই বালুর মূল্য প্রায় ১২ কোটি থেকে ১৪ কোটি টাকা। কিন্তু সরকারের রাজস্ব ফান্ডে কোন ধরণের রাজস্বই জমা দেয়নি চক্রটি।
ডায়েক থেকে বালু উত্তোলনের সময় সেখানে উপস্থিত থাকেন বালু চক্রের অন্যতম সদস্য নুরুল ইসলাম। নুরুল ইসলাম বাঁকখালী ড্রেজিং এর বালু লুপাটের অন্যতম নায়ক। সব দপ্তরে টাকা পৌছানোর দায়িত্বও নুরুল ইসলামের। জনৈক ইশতিয়াক মতিনের হয়ে বালু লুপাটের সরাসরি নেতৃত্ব দেন তিনি। কস্তুরাঘাট এলাকার বালুর ডায়েক লুপাটে জনৈক শাহীনসহ অনেক রাজনৈতিক নেতা, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন ব্যক্তিরা জড়িত রয়েছেন।
বদরমোকাম এলাকার স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি আক্ষেপ করে জানান, লকডাউনে সবকিছু বন্ধ থাকলেও বালু লুপাট থেমে নেই। গত কয়েকদিন ধরে বন্ধ থাকলেও এখন আবার তৎপরতা চালাচ্ছে চক্রটি। প্রশাসনের ইন্ধন ছাড়া কস্তুরাঘাট থেকে বালু লুপাট করা কোনভাবেই সম্ভব নয়।
তারা আরও জানান, বালু উত্তোলনের কারণে চরম ঝুঁকির মুখে পড়েছে প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্পের বাঁকখালী নদীর সংযোগ সেতুটি। ইতোমধ্যে অনেক স্থাপনা ভেঙে গেছে।


আরো বিভন্ন বিভাগের নিউজ