রামু প্রতিনিধি
করোনার কাছে অসহায় হয়ে পড়েছে নানান পেশার মানুষের পাশাপাশি কৃষকও। কঠোর পরিশ্রমের ফলে অধিক ফসল ফলানোর পরও শ্রমিকের অভাবের সেই ফসল ঘরে তুলতে পারছেনা কৃষক। আর এই অসহায় কৃষকের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছে ঈদগড় ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নিবেদিত কর্মীরা।
শ্রমিকের অভাবে ৩০শতক জমির পাকা ধান ঘরে তুলতে পারছিলনা কক্সবাজারের রামু উপজেলার অন্তর্গত ঈদগড় ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের টুটারবিল এলাকায় শহিদুজ্জামান নামের একজন দরিদ্র কৃষক।পাকা ধান পড়ে আছে ফসলের মাঠে। করোনায় শ্রমিক ও অর্থ সংকটে। যে কারণে পাকা ধান ঘরে তোলা নিয়ে ছিলেন চরম দুশ্চিন্তায়। কারণ তার ভাই একটা রাজমিস্ত্রী কাজ করতে গিয়ে ৫তলা বিল্ডিং থেকে পড়ে পা ভেঙ্গে গেছে।তার পরিবার অসহায় হয়ে পড়েছে এমতাবস্থায় কৃষক শহিদুজ্জামান কক্সবাজার সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সিঃসহসভাপতি শাহীন আজাদকে বললে শাহীদ আজাদ ৮সদস্যের নেতাকর্মী নিয়ে অবশেষে ধান কেটে বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে দরিদ্র এই কৃষকের দুশ্চিন্তা দূর করে দিলেন। এবং উপস্থিত ছিলেন ঈদগাহ ফরিদ আহমদ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সহসভাপতি সরওয়ার হোসেন, ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা দিদারুল ইসলাম অনিক, ছাত্রলীগে আবদুল্লাহ, রাশেদ,প্রমুখ
মঙ্গলবার (০৭ মে) ধান কাটা শেষে ছাত্রলীগ নেতা শাহীন আজাদ জানান,কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ও কক্সবাজার জেলার ছাত্রলীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক নির্দেশে জননেত্রী দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আদেশ পালনে সারাদেশে জেলা,উপজেলা,ইউনিয়ন থেকে শুরু করে ওয়ার্ড পর্যায়ের ছাত্রলীগ বর্তমানে অসহায় কৃষকের পাশে দাঁড়িয়েছে।সেই হিসেবে আমি ব্যতিক্রম নয়। ইতোমধ্যে কৃষকের ধান ১ম বারের মতো ঘরে তুলে দিয়েছি।বর্তমানে অব্যাহতভাবে তা চালিয়ে যাচ্ছি।
অসহায় কৃষক ধান চাষী শহিদুল জামান জানান,ছাত্রলীগের নেতারা ৩০শতক ফসল কেটে ঘরে তুলে দিয়েছেন।তাতে আমার যেমন অর্থ সাশ্রয় হয়েছে।ঠিক তেমনি শ্রমিকের অভাব নিয়ে যে দুশ্চিন্তায় ছিলাম তাও দুর হয়েছে।আমি ছাত্রলীগের উপর খুবই খুশি।আপনারা আমার বড় ভাইয়ের জন্য দোয়া করবেন যেন সেই তারাতরি সুস্থ হয়।
উপদেষ্টা সম্পাদক : সরোয়ার আজম মানিক, সম্পাদক ও প্রকাশক : মনছুর আলম,
অফিস : হোটেল আল-আমিন কমপ্লেক্স, ৩য় তলা (দৈনিক মেহেদী ) মেইন রোড,, কক্সবাজার।