• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৫৯ পূর্বাহ্ন

চকরিয়ায় দোকানের ভেতরে ক্রেতা বাইরে তালা, ভোররাতে ইউএনও দিল জ্বালা ১লাখ ৪৯ হাজার টাকা জরিমানা | সি কক্স নিউজ

নিউজ রুম / ১৫ ভিউ টাইম
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ২১ মে, ২০২০

মোঃ নাজমুল সাঈদ সোহেল,চকরিয়া:

কক্সবাজারের চকরিয়ায় মার্কেটের দোকান ব্যবসায়ীরা বাহিরে তালা লাগিয়ে ভেতরে ক্রেতাদের রেখে নানা কৌশল করে ব্যবসা চালানো শুরু করলেও অবশেষে প্রশাসনের হাত ধরাশায়ী। এ লকডাউনে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে দোকান খোলা নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে দোকানীদের লুকোচুরি খেলা চলছে।

করোনা সংক্রমনের কবল থেকে জনগনের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতে প্রশাসনের নির্দেশনার আলোকে ঈদুল ফিতর পর্যন্ত খাদ্যপন্য, কাচাঁবাজার ও ঔষুধের দোকান ছাড়া অন্যসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্বান্ত হলেও বাস্তবে তা অমান্য করে চলছেন বেশিরভাগ দোকান ব্যবসায়ী। উপজেলার প্রতিটি জনপদে নিত্যদিন উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বিভিন্ন ভাগে ভাগ হয়ে প্রতিনিয়ত অভিযান পরিচালনা করছে। প্রশাসন একের পর এক অভিযান চালিয়ে বন্ধ করে দিচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ীদের ব্যবসা প্রতিষ্টান। এরপরও ঠেকানো যাচ্ছেনা না। সেহেরীর পর ভোর হলেই দলে দলে নারী-পুরুষরা বের হচ্ছে দোকানে ঈদের কেনাকাটা করতে।

বুধবার (২০ মে) ভোর রাত ৪টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত উপজেলার উপকুলীয় বদরখালী বাজারসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে অভিযান পরিচালনা করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ সামসুল তাবরীজ।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বুধবার ভোর রাত থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে দোকান খোলা রেখে ব্যবসা চালানোর অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ সামসুল তাবরীজের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয়। ওইদিন অভিযানে উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের বিভিন্ন বস্ত্রবিতান ও মার্কেট, হারবাং ইউনিয়নের হারবাং বাজার, বরইতলী ইউনিয়নের একতাবাজার ও কাকারা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে সরকারি নির্দেশনা অমান্যকারী দোকানদারকে ১৯টি মামলায় ১লক্ষ ৪৯ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করেন ভ্রাম্যমান আদালত। এসময় সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে অপ্রয়োজনীয জমায়েত ও আড্ডাও ছত্রভঙ্গ করা হয়েছে।

অভিযানের সময় উপস্থিত ছিলেন, বদরখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খাইরুল বশর, চকরিয়া থানা পুলিশের একটি ইউনিট, আনসার সদস্য ও উপজেলা টেকনিশিয়ান এরশাদুল হকসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ সামসুল তাবরীজ বলেন, দিন যত গড়াচ্ছে চকরিয়া উপজেলা করোনা হটস্পটে পরিণত হচ্ছে। বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এজন্য সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন নিয়মনীতি জারি করা হয়েছে। কিন্তু লক্ষ্য করা গেছে কিছু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সরকারের এই আদেশ অমান্য করে গ্রামে-গঞ্জে দোকান খুলে ব্যবসা করছে। কেউ কেউ অযথা বাইরে ঘুরাফেরা করছে। এতে মানা হচ্ছেনা কোন সামাজিক দুরত্ব। তাই বুধবার ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করে উপজেলার বদরখালী বাজার, হারবাং বাজার, বরইতলী বাজার, ডুলাহাজারা বাজারসহ আরো কয়েকটি ইউনিয়নের বাজারগুলোতে অভিযান চালিয়ে আইন অমান্যকারী দোকানদারকে ১৯টি মামলায় ১,৪৯,৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, অভিযানে গিয়ে দেখা গেছে পৌরশহরের কিছু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী গ্রামে গিয়ে দোকান খুলে বসেছে। তারা প্রতিদিন ভোর অর্থাৎ সেহেরি খাওয়ার পর থেকে দোকান খুলে ব্যবসায় চালাচ্ছে। ওইসব দোকানদাররা কাস্টমার ঢুকার পর ভিতর থেকে তালা লাগিয়ে দেয়। এভাবেই ব্যবসা করছিলো তারা। আমরা এধরনের তথ্য পাওয়ার পর ওইসব এলাকায় অভিযান চালায়। পরে এর সত্যতাও পায়। এজন্য ওইসব দোকানদারদের কাছ থেকে জরিমানা, মুচলেখা ছাড়াও বেশ কয়েকটি দোকান সিলগালা করে দিয়েছি। বর্তমানে প্রতিটি এলাকায় সাদা পোশাকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

Channel Cox News.


আরো বিভন্ন বিভাগের নিউজ