নিজস্ব সংবাদদাতাঃ
কক্সবাজার সদর উপজেলার ভারুয়াখালী ননামিয়াপাড়া চলছে পাহাড় কাটার উৎসব। পাহাড় কেটে সাবাড় করার স্পট দেখে, বনবিভাগ নীরব। পাহাড় খেকো স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তির মৌঃ ইউনুচ এর নেতৃত্বে ওই স্থানে ১৫/২০ জন লোক দিয়ে পাহাড়ে প্রতি দিন/রাতে মাটি কেটে সাবাড় করছে। ধলিরছড়া বনবিট অফিসার বশির আহমদ কিছু দিন আগে সরজমিনে গিয়েছিল বিট অফিসান পাহাড় কাটার দৃশ দেখে কেন নিরব স্থানীয়দের প্রশ্ন?
ঐ বিষয়ে জানতে বিট অফিসারের সাথে কথা বললে তিনি ব্যবস্থা নেবে বলে আশ্বাস দিয়ে নীরবতা পালন করছে। তাহলে নীরব কেন বিট অফিসার বুঝে নেয়া একদম সহজ।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ভারুয়াখালী ইউপির ৮ নম্বর ওয়ার্ডের আওতাধীন ননামিয়ার পাড়া কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি বসতবাড়ি নির্মাণের জন্য পাহাড়ের সর্বোচ্চ চওড়া সমতলে পরিণত করে এ মাটি কাটার কাজ অব্যাহত রাখে। মোহাম্মদ ইউনুচের নেতৃত্বে উচু পাহাড়ি জায়গায় কেটে বসতি স্থাপনের জন্য পাহাড় কাটছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কয়েক ব্যক্তি জানায়, ইউনুচ পাহাড়ের চওড়া বিলীন করে সমতল ভূমি তৈরির কাজ করছেন দির্ঘদিন ধরে। ১৫/২০ জন শ্রমিক দিয়ে মাটি কাটছে যেন চোখে পড়ার মত। দেখেও অন্ধ হয়ে থাকছে বন বিভাগ।
দেখা গেছে, ইউনুচের বাড়ির দক্ষিন পাশে সীমানার নিচের দিকে খননকৃত মাটিগুলি ফেলছে। নিঃসরিত ওই মাটি গড়িয়ে চলাচলের রাস্তায় বেঘাত করছে বলে সাধারন লোকজন জানায়। ওই ব্যক্তি প্রায় এক মাস যাবৎ পাহাড় কাটছে এবং পাহাড়ের চওড়া সমতল করেছে। আবার পূর্নরায় মাটি কাটছে। এইখানে মাটি নিঃসরণ হওয়ায় রাস্তাটি মধ্যে বৃষ্টি হলে কাদামাটি উপক্রম দেখা দিয়েছে।
এদিকে পাহাড় কাটা অব্যহত থাকলেও নেই ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোনো আইনগত ব্যবস্থা। স্থানীয় লোকজন এ পাহাড় কাটার জন্য বনবিভাগকে দায়ী করছেন। তারা দেখলেও না দেখার মত বান করে।
সরেজমিনে, এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পাহাড় কাটায় নিয়োজিত ইউনুচ ও তার ছেলে সংবাদ কর্মিকে হুমকির সূরে বলেন, ‘আমি বাড়ি করার জন্য মাটি কাটছি তোমরা কি এখানে? এ জায়গায় আমরা বসবাস করি, এখানে বন বিভাগ এসেছিল। তাদের সঙ্গে আমার বুঝাপড়া হয়েছে। তোমরা বনবিটকে কল করে দেখ।
আর এদিকে ভারুয়াখালী চলতি বছরে ৫০টিরও উপরে পাহাড় নিধন করা হয়ছে। প্রায় স্পটে বিট অফিসার গিয়ে ছিল, যাওয়ার ২/১ দিন পর আরো দিগুন গতিতে মাঠি কাটা হয়। প্রায় পাহাড় ডেম্পার/পিকাপ দিয়ে মাঠি কাটে। ভারুয়াখালীর জনমনে প্রশ্ন পাহাড় কাটলে পরিবেশের ক্ষতি হলে, পিকাপ/ডেম্পার দিয়ে এভাবে মাটি কাটে কেন পরিবেশ দূষন হয়না? গুপন তথ্যভিত্তিতে যতটুকু জানতে পারি পিকাপ/ডেম্পার মালিক ঐ অসাধু বনকর্মিকে মেনেজ করে মাটি কাঠতে থাকে। এভাবে ভারুয়াখালী আর কিছুদিন মাঠি কাটতে থাকলে এখানে পাড়া বলতে কিছু থাকবেনা।
এই বিষয়ে জনতে, মেহেরঘোনার রেঞ্জ কর্মকর্তা মামুনকে বারংবার কল দিলে মোবাইল রিসিভ না করাতে কথাবলা সম্ভব হয়নি।
স্থানীয় সচেতন মহলের অভিমত, উক্ত বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজ নিয়ে কক্সবাজার বন বিভাগ ও পরিবেশ অধিদপ্তরকে আইনানুক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
বিদ্রুঃ দ্বিতীয় পর্বে চোখ রাখুন।
Channel Cox News.