• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৬:১৮ অপরাহ্ন

দুই শীর্ষ সন্ত্রাসীর মাদকের রাজত্ব: অসহায় গর্জনিয়া-বাইশারীর মানুষ | সি কক্স নিউজ

নিউজ রুম / ১০ ভিউ টাইম
আপডেট : শনিবার, ৩০ মে, ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

রামু-নাইক্ষংছড়ি সীমান্তবর্তী গর্জনিয়া-বাইশারী ইউনিয়নের বনাঞ্চল ও পাহাড়ীজনপদে জননিরাপত্তার বালাই নেই। দিনদুপুরে একের পর এক মানুষ অপরহণ করে মুক্তিপণ আদায় করছে সন্ত্রাসীরা, এর পরও হত্যার হুমকিতে ভুক্তভোগী কেউ সহজে যাচ্ছে না আইনশৃংঙ্খলা বাহিনীর কাছে। এর ফলে অপরাধীরা রয়ে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।

স্থানীয়রা জানান, বহু আলোচিত শীর্ষ সন্ত্রাসী রবিউল ও জুনাইদ দুই ভাইয়ের নেতৃত্বে পৃথক দুই সন্ত্রাসী বাহিনীর কাছে তাঁরা অসহায়। সাধারণ মানুষকে চলতে ফিরতে অস্ত্রের মুখে ধরে নিয়ে ইয়াবা ব্যবসায়ী দাবি করে হত্যার হুমকি দিয়ে পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপণ নিচ্ছে, না হয় ইয়াবা দিয়ে পুলিশের কাছে ধরিয়ে দেয়ার হুমকি দিচ্ছে তাঁরা।

স্থানীয় শাহাব উদ্দীন, আলমসহ কয়েকজন জানান জুনাইদ ও রবিউল কয়েকটি ইয়াবার আস্তানা রয়েছে সেখানে পাইকারী ও খুচরা ইয়াবা বিক্রি করা হয়। সাম্প্রতিক একাধিকবার মাদকের রাজত্বের দখল নিয়ে জুনাইদ ও রবিউল বাহিনী এক হয়ে গোলাগুলির ঘটনাও ঘটে অন্য আরেকটি গ্রুপের সঙ্গে। এর ফলে সেখানে সবসময় স্থানীয়দের মাঝে আতংক বিরাজমান।

এলাকাবাসী জানান, এ দুই সন্ত্রাসীর বাড়ী গর্জনিয়া-বাইশারীর সীমান্তবর্তী হওয়া দুই ইউনিয়নেই চলছে তাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম।

বিভিন্ন থানায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রবিউলের নামে এক পুলিশ সুপারের ছেলে অপহরণ, ডাবল মার্ডার ডাকাতি, অস্ত্র, ছিন্তাইসহ ডজন খানিক মামলা রয়েছে। জেলও খেটেছেন একাধিকবার। ভাই জুনাইদেরও অবস্থা একই। জুনাইদ এক ঘন্টা পুলিশের সাথে যুদ্ধ করে এক পর্যায়ে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হয়েছিল এখন জেল থেকে বের হয়ে আবারও বেপরোয়া।

সাম্প্রতিক বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাক্তার নুরুল আবছার এর ছেলে তরুণ ইউটিবার সরওয়ারকে তাঁরা হত্যা চেষ্টা করেছিল। সরওয়ার এখনো কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে অপরাধ তাঁদের ইয়াবা ব্যবসা বন্ধে বাঁধা প্রদান করেছিলেন এই মুক্তিযোদ্ধা সন্তান এ বিষয়ে রামু থানায় একটি হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের হয়েছে। বিষযটি নিশ্চিত করেছে রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।

এর পরও ধরাছোঁয়ার বাইরে দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী ও মাদক কারবারি জুনাইদ ও রবিউল। তারা দুজনেই নাইক্ষংছড়ীর দক্ষিণ বাইশারী মঘেরখীল বাদশা মিয়ার ছেলে বলে জানাগেছে।

এ ব্যাপারে রামু থানা ও নাইক্ষংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে উভয় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, তাঁদের গ্রেফতার করতে অভিযান হচ্ছে নিয়মিত। আসামীরা গভীর জঙ্গলে অবস্থান করায় তাদের ধরতে একটু কষ্ট হচ্ছে। তবে পার পাবে না বলে জানান।

Channel Cox News.


আরো বিভন্ন বিভাগের নিউজ