একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির সময় মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নাতি-নাতনিদের আবেদন বাতিলের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি এ নির্দেশনা দিয়ে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের মুক্তিযোদ্ধা কোটায় আবেদনের সতর্কতা দিয়েছে।
> জাতীয়
মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নাতি-নাতনিদের ভর্তির সুযোগ নেই, আবেদন বাতিলের নির্দেশ
স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০: ২৬
একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির সময় মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নাতি-নাতনিদের আবেদন বাতিলের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি এ নির্দেশনা দিয়ে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের মুক্তিযোদ্ধা কোটায় আবেদনের সতর্কতা দিয়েছে।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি বরাত দিয়ে বোর্ড সূত্র জানিয়েছে, এ কোটায় কেবল বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান আবেদন করতে পারবেন। কিন্তু অনেক শিক্ষার্থী নাতি-নাতনি পরিচয়ে এই কোটায় আবেদন করেছে। তাদেরকে সংশোধনে নতুন করে আবেদন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় ভর্তি প্রক্রিয়ায় জটিলতা তৈরি হলে বোর্ড কোনো দায় নেবে না বলেও সতর্ক করা হয়েছে।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক ঢাকা শিক্ষা বোর্ড, ঢাকার চেয়ারম্যান ড. খন্দোকার এহসানুল কবিরের রোববার সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালা-২০২৫ এর ৩.২ উপধারা অনুযায়ী ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় কেবল মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানরাই আবেদন করতে পারবেন। এ কোটায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তির সময় সংশ্লিষ্ট প্রমাণপত্র জমা দিতে হবে। পাশাপাশি মূল কপিও দেখাতে হবে। সঠিক প্রমাণ জমা দিতে ব্যর্থ হলে ভর্তি কার্যক্রম বাতিল হবে।
এ ছাড়া অনেক শিক্ষার্থী মুক্তিযোদ্ধা কোটায় আবেদন করলেও তাদের মধ্যে কেউ কেউ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-নাতনি। নীতিমালা অনুযায়ী, তাদের এই কোটায় ভর্তির সুযোগ নেই। আন্তঃশিক্ষা বোর্ড জানিয়েছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আবেদন সংশোধন না করলে পরে ভর্তি প্রক্রিয়ায় জটিলতা তৈরি হতে পারে। এ জন্য বোর্ড কোনোভাবেই দায়ী থাকবে না।
গত ২৪ জুলাই বাংলাদেশের সব সরকারি ও বেসরকারি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির জন্য নতুন নীতিমালা প্রকাশ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ।
নীতিমালায় জানানো হয়, সরকারি ও বেসরকারি কলেজে মোট আসনের ৯৩ শতাংশ থাকবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত। বাকি ৭ শতাংশের মধ্যে ৫ শতাংশ বীর মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের জন্য, ১ শতাংশ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য এবং ১ শতাংশ অধীন দপ্তর সংস্থার কর্মকর্তাদের সন্তানদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে।