সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল থেকে সিআইডি পুলিশের কাছে একটা লা*শ আসে। লাশের মেয়েটা আত্মহ*ত্যা করেছিল কিছুদিন আগে।
পুলিশ লা*শের শরীর থেকে পাওয়া আলামত গুলো পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখছিল। দেখার সময় তারা একটা বিষয় লক্ষ্য করে যে –
লাশের মেয়েটার যৌ*নাঙ্গে পুরুষের শুক্রাণু পাওয়া পাওয়া গেছে। মানে মেয়েটাকে ধ*র্ষণ করা হয়েছে।
কিন্তু পুলিশ যে তথ্য পেয়েছিল সে তথ্য অনুযায়ী মেয়েটা অবিবাহিত এবং বাসাতেই আত্মহত্যা করেছিল। কেউ ধর্ষণ করার কথা না।
পুলিশ ডাক্তারদের আবারও ভালোমতো পরীক্ষা করতে বলে। ডাক্তাররা পুনরায় পরীক্ষা করে দেখে পুরুষের শুক্রাণুই সেটা।
মানে মেয়েটা যে ধ*র্ষণ হয়েছে সে ব্যাপারটা সুনিশ্চিত।
পুলিশরা কিছুটা দ্বিধায় পড়ে যোগাযোগ করে লা*শের পরিবারের সাথে। মেয়েটার পরিবারের সবাইকে জিজ্ঞেস করা হয়- মেয়েটাকে কি কোনভাবে ধ*র্ষণ করা হয়েছিল?
তারা সবাই না করে। সাথে বলে- ”মেয়েটা বাড়িতেই নিজ রুমে ফাঁ*সি দিয়ে আত্মহত্যা করেছিল। তারপর সবাই দরজা ভেঙে সেটা দেখতে পেয়েছে এবং মেয়েটা তখন মৃত ছিল।
তাহলে এরপর মেয়েটাকে ধর্ষণ করবে কে? আর আত্মহ*ত্যাও করেছিল পারিবারিক ইস্যু নিয়ে। অন্য কোন কারণে না।”
এবারে সিআইডি পুলিশ পুরোপুরি দ্বিধাদ্বন্দে পড়ে যায়। এভাবেই কেটে যায় আরও কয়েকটা দিন। পুলিশও তাদের অন্যান্য কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।
এর ঠিক কয়েকদিন পর আরও দুটো লা*শ আসে পুলিশের কাছে। দুটোই মেয়ের। একটা মেয়েকে হ*ত্যা করা হয়েছিল আর অন্য মেয়েটা আত্মহ*ত্যা করেছিল।
দুটো মেয়েই ভিন্ন ভিন্ন এলাকার।
কিন্তু ডাক্তাররা যখন মেডিকেল রিপোর্ট দেয় তখন পুলিশরা চমকে যায়। কেননা এ দুটো মেয়েকেও ধ*র্ষণ করা হয়েছে
এবং দুজনের যৌ*নাঙ্গ থেকেও একই পুরুষের শুক্রাণু পাওয়া গেছে।
পুলিশ আরও বেশি বিচলিত হয় যখন ডাক্তাররা এসে বলে- কিছুদিন আগে যে মেয়াটা আত্মহ*ত্যা করেছিল এবং পুলিশ যে মেয়ের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করেছিল সে মেয়ের যৌ*নাঙ্গে পাওয়া শুক্রাণু
এবং এ দুটো মেয়ের যৌ*নাঙ্গে পাওয়া পুরুষের শুক্রাণু একই। মানে একই ব্যক্তি ধ*র্ষণ করেছে তাদেরকে।
কিন্তু তিনটা লা*শ তো তিন জায়গার। সিআইডি পুলিশ এবার নড়েচড়ে বসে। তারা তদন্ত করার জন্যে রেডি হয়।
তারা প্রথমে মনে করেছিল কোন সিরিয়াল কিলারের কাজ এটা এবং সেভাবেই তদন্ত করেছিল। কিন্তু তদন্ত করার সময়ই তাদের কাছে আরও দুটো মেয়ের লা*শ আসে
যেগুলো পারিবারিক কলহে কিংবা অন্য কেইসে মারা গিয়েছিল।
কিন্তু তাদের যৌনা*ঙ্গেও পুরুষের শুক্রাণু পাওয়া যায় এবং এটাও আগের একই পুরুষের শুক্রাণু।
পুলিশের মাথায় এবার আকাশ ভেঙে পড়ে। তারা যেভাবে তদন্ত করছিল সেই নিয়ম বাদ দিয়ে এবারে ভিন্নভাবে শুরু করে।
তারা প্রথমে খোঁজ শুরু করে এ লাশগুলো কোন কোন থানা থেকে এসেছে।
খুঁজতে গিয়ে তারা দেখতে পায়- লাশগুলো মোহাম্মদপুর থানা এবং কাফরুল থানা থেকে এসেছে। এই থানার লা*শগুলো ডোম ঘরে থাকার সময় সেটার দায়িত্বে কে কে ছিল সেটা খুঁজতে থাকে পুলিশ।
তারা খুঁজতে খুঁজতে সন্ধান পায় লা*শগুলো অনেকদিন যাবত সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলের লা*শকাটা ঘরে রাখা হয়েছিল। পুলিশ এবারে আরও জোরালো তদন্ত শুরু করে।
কে কে এই ঘরের দায়িত্বে ছিল, কে কোন সময় ঢুকত, বের হতো সব ফাইল করা শুরু করে। যারা যারা ছিল তাদের গতিবিধি ফলো করতে থাকে সিআইডি।
এভাবে আরও বেশ কয়েকদিন কেটে যায়। তারপর একদিন পুলিশের এক লোক ইনভেস্টিগেট করার সময় দেখতে পায় –
মুন্না নামের একটা ছেলে লা*শকাটা ঘরে ঢুকে মেয়ে লা*শগুলোর কাপড় সরাচ্ছে। তারপর লা*শের সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করে সে।
যেহেতু মেয়েগুলো মৃত লা*শ তাই বাঁধা দিত না। এভাবে ধ*র্ষণ করার পর সিআইডি পুরো টিম নিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। তারপর তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়।
রিমান্ডে নেওয়ার পর সে শিকার করে ২০১৯ থেকে ২০২০ এর আগস্ট পর্যন্ত সে অনেকগুলো মেয়ের লা*শের সাথে শারীরিক সম্পর্ক করেছে, মানে ধ-র্ষণ করেছে।
তার জবানবন্দির জের ধরে ২০২০ সালেই তাকে জেলে পাঠানো হয়।
রিসার্চ এবং তথ্যমতে লা*শকাটা ঘরে মেয়ে লা*শের সাথে অনেক আগে থেকেই ধ*র্ষণের মত জঘন্য ব্যাপার ঘটে আসছে। এ ধ*র্ষণের আচরণ অন্যান্যগুলোর চেয়ে আলাদা।
যেহেতু মৃত লা*শ তাই ধ*র্ষক যা ইচ্ছা তাই করত। স্তনে ধারালো কাটার দিয়ে কাটত, খাঁজ কাটা ছুড়ি দিয়ে যৌনাঙ্গে ছিদ্র করত ।
তথ্যমতে এ ঘটনাগুলো দিনদিন বেড়েই চলছে।
গুটিকয়েক ঘটনা হয়ত আমাদের সামনে আসে। তবে বেশিরভাগই আসে না।
কেননা লা*শেরা কি আর ধ*র্ষণের বিচার চাইতে পারে.?
(এটা ২০২০ সালে বাংলাদেশে ঘটা একটা সত্যি ঘটনা)