• রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ১২:১৬ অপরাহ্ন

যৌন নীপিড়ন ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে চকরিয়ার ওসির বিরুদ্ধে মামলা, বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ

বিশেষ প্রতিবেদক: / ১৭৪ ভিউ টাইম
আপডেট : মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

মধ্যরাতে বসত ঘরে ঢুকে যৌন নিপীড়ন শ্লীলতাহানির অভিযোগে কক্সবাজারের চকরিয়া থানার ওসি মনজুর কাদের ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ভূক্তভোগী নারী। সোমবার ( ২৪ ফেব্রুয়ারী ) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল নং ১ কক্সবাজার এ মামলাটি দায়ের করেন ভিকটিম জাহেদা বেগম। তিনি চকরিয়া উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের কোরালখালী গ্রামের বাসিন্দা আবদুল গাফফারের স্ত্রী।
একই মামলায় চকরিয়া থানার এসআই মোঃ শফিকুল ইসলাম রাজাসহ মোট ৫ জনকে আসামী করা হয়েছে ।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী তৈয়বুল আলম জানান, বিচারক মামলাটি গ্রহন করে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার আরজিতে বাদী উল্লেখ করেন, ওসি মনজুর কাদের ভূঁইয়া চকরিয়া থানায় যোগদানের পর থেকে সাংবাদিকসহ বিভিন্ন স্তরের নীরিহ জনগনকে হয়রানি করে আসছেন। এর ধারাবাহিকতায় গত ১৭ ফেব্রুয়ারী তার দেবরকে আটক করে জামিনযোগ্য ধারায় চালান দেয়ার কথা বলে ১০ লাখ টাকা দাবী করেন। কিন্তু ভিকটিম টাকা না দেয়ায় গভীর রাতে বসত ঘরে তার ঢুকে যৌন হয়রানি ও শ্লীলতাহানি করেন ওসি।

অভিযুক্ত ওসি মনজুর কাদের ভূঁইয়া এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য করতে রাজী হননি।

ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামাবাদ ইউনিয়নের বোয়ালখালী গ্রামের বাসিন্দা আকতার হোছাইন বলেন, পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর ছিলেন তৎকালীন ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মনজুর কাদের ভূঁইয়া। বিগত ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারীতে মাওলানা দেলাওয়ার সাঈদীর বিরুদ্ধে সাজানো রায়ের প্রতিবাদে ঈদগাঁও বাজারে জনগন মিছিল বের করলে মিছিলে গুলিবর্ষন করেন মনজুর কাদের ভূইয়া। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন তার ভাই রশিদ আহমদ। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া হত্যা মামলার ২ নং আসামী মনজুর কাদের এখন চকরিয়া থানার ওসি।
আকতার হোছাইন আরো বলেন, ওসির চেয়ারে বসে মামলা প্রত্যাহার করতে বহুমুখী চাপ দিচ্ছেন আসামী মনজুর।

জাতীয় দৈনিক প্রতিদিনের কাগজের কক্সবাজারস্থ স্টাফ রিপোর্টার মনছুর আলম মুন্না বলেন, ওসি মনজুরের ঘুষ বাণিজ্য ও অনিয়মের ব্যাপারে সংবাদ প্রকাশ করায় ক্ষিপ্ত হন ওসি। এর জের ধরে গত ২৫ ডিসেম্বর রাতে ৬০ কিলোমিটার দুরবর্তী চকরিয়া থেকে কক্সবাজার এসে তাকে অপহরন করে চকরিয়া থানায় নিয়ে যান ওসি মনজুর। সারারাত মারধর ও নির্যাতনশেষে পরদিন ওসি নিজেই মামলা করে সাংবাদিক মনছুর আলম মুন্নাকে চালান দেন।
২১ দিন পর জামিনে কারামুক্ত হয়ে চকরিয়া থানার ওসি মনজুর, ৩ এসআই ও ৪ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু নিবারন আইনে আদালতে মামলা করেন সাংবাদিক মনছুর আলম মুন্না।
মামলাটি সিআইডি পুলিশের নিকট তদন্তাধীন রয়েছে। আসামীরা এ মামলাটিও প্রত্যাহার করতে বহুমুখী চাপ দিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
এ ছাড়াও ওসি মনজুর কাদেরের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া আরো বিভিন্ন অভিযোগ পুলিশ হেড কোয়ার্টার, পুলিশ মহা পরিদর্শক ও দুর্নীতি দমন কমিশনের নিকট তদন্তাধীন রয়েছে বলে জানা গেছে ।


আরো বিভন্ন বিভাগের নিউজ