• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১১:১১ পূর্বাহ্ন

চকরিয়ায় পৌর কাউন্সিলর রেজাউলের ওপর বিএনপি নেতা কর্তৃক সন্ত্রাসী হামলায় হাত বিচ্ছিন্ন | ChannelCox.com

নিউজ রুম / ১৭ ভিউ টাইম
আপডেট : শুক্রবার, ১৭ জুলাই, ২০২০

স্টাফ রিপোর্টারঃ

কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভার কাউন্সিলর রেজাউল করিমের উপর প্রকাশ্যে দিবালোকে চকরিয়া পৌরসভা বিএনপির ২নং ওয়ার্ডের যুব বিষয়ক সম্পাদক কফিল উদ্দিনের নেতৃত্বে একদল সস্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে। হামলায় কাউন্সিলর রেজাউল করিমের একটি হাত প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এসময় রেজাউল করিমকে বাঁচাতে গেলে কিরিচের আঘাতে তার ভাতিজা সাঈদী সাহেদ মিঠুর দুটি আঙ্গুল কেটে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে গুরুত্বর আহত কাউন্সিলর রেজাউল করিমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (১৭ জুলাই) বেলা ৩টার দিকে চকরিয়া পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডস্থ জনতা মার্কেট এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহত কাউন্সিলর রেজাউল করিম চকরিয়া পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও পৌরসভা আওয়ামীলীগের যুগ্ন-সম্পাদক।

এছাড়া আহত সাঈদী সাহেদ মিঠু একই এলাকার বাসিন্দা। স্থানীয় লোকজন সন্ত্রাসী কফিল উদ্দিনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। সন্ত্রাসী কফিল উদ্দিন ওই এলাকার বাদশার ছেলে। এবং চকরিয়া পৌরসভা বিএনপির ২নং ওয়ার্ডের যুব বিষয়ক সম্পাদক কফিল উদ্দিন হন।

এদিকে ঘটনার পরপরই গুরুতর আহত কাউন্সিলর রেজাউল করিমকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে যান চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব জাফর আলম, চকরিয়া পৌরসভার মেয়র মো.আলমগীর চৌধুরী, চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.হাবিবুর রহমানসহ রাজনৈতিক দলের নেতারা।

চকরিয়া উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কাউছার উদ্দিন কছির বলেন, গত কয়েকদিন ধরে পৌরসভার সড়ক নির্মাণের কাজ চলছিলো। এই সড়ক নির্মান কাজে বাঁধা প্রদান করে আসছে স্থানীয় সন্ত্রাসী কফিল উদ্দিনের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী। এক পর্যায়ে গত কয়েকদিন আগে কাউন্সিলর রেজাউল করিমের সাথে কফিল উদ্দিনের কথা কাটাকাটি হয়। এতে কফিল উদ্দিন ক্ষিপ্ত হয়ে শুক্রবার জুমার নামাজের পর ৩টার দিকে কাউন্সিলর রেজাউল করিমের বাসায় ফেরার পথে ধারালো কিরিচ ও দা দিয়ে হামলা চালায় কফিল উদ্দিনের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী। এতে কাউন্সিলর রেজাউল করিমের একটি হাত প্রায় বিচ্ছিন্ন অবস্থা। এসময় রেজাউল করিমকে বাঁচাতে গিয়ে তার ভাইপো সাঈদী সাহেদ মিঠুর হাতের দুটি আঙ্গুলও কেটে যায়।

চকরিয়া পৌরসভার মেয়র মো.আলমগীর চৌধুরী বলেন, এ ধরনের হামলা খুবই ন্যাক্কারজনক। একজন জনপ্রতিনিধির উপর হামলা কোন অবস্থাতেই মানা যায় না। যারা এ হামলার সাথে জড়িত তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।

কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব জাফর আলম বলেন, কাউন্সিলর রেজাউল এর ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। এ ধরনের হামলা কোন অবস্থাতেই মেনে নেয়া যায়না। যারা এঘটনার সাথে জড়িত থাকুক না কেন তাদের আইনের আওতায় আনার জন্য আমি পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছি। কাউন্সিলর রেজাউল করিমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.হাবিবুর রহমান কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এমপি ও মেয়রসহ আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। গুরুতর আহত কাউন্সিলর রেজাউল করিমকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, এঘটনার সাথে জড়িত অভিযোগে জনতার সহায়তা কফিল উদ্দিনকে আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আর কারা এই ঘটনার সাথে জড়িত।

Channel Cox News.


আরো বিভন্ন বিভাগের নিউজ