• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৩৭ পূর্বাহ্ন

স্ত্রীর মর্যদা না দেওয়ার অভিযোগে প্রাণ নাশের হুমকি স্বামীর

নিউজ রুম / ২২ ভিউ টাইম
আপডেট : মঙ্গলবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০

বার্তা পরিবেশক:

প্রবাস জীবনে দু’জনে প্রেম করে বিয়ে দেশে এসে স্ত্রীর মর্যদা না পেয়ে ইউনিযন পরিষদে নালিশ করাই স্ত্রীকে প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছে বলে গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। অসহায় এই নারী পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।

জানা যায় চট্রগ্রাম ডবলমুরীং থানা দারোগা হাট লেইন এলাকার মৃত আব্দুল জব্বরের মেয়ে বেবী বেগম (৩৫) বিগত ২০১৬ সালে নার্সের ভিসা নিয়ে সৌদি আরবের জিব্দা শহরে যান।সেখানে রামু উপজেলার ঈদগড় ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের চড়পাড়া (নতুন শিয়াপাড়া)গ্রামের আনোয়ার হোসনের পুত্র আকতার হোসনের সাথে দেখা স্বাক্ষাত পরিচয় অতপর প্রেমের সম্পর্ক থেকে ইসলামী শরিয়া মোতাবেক বিয়ে হয়।

বিয়ের পর ২ বছর উভয়ে প্রবাস জীবনে শান্তিতে ঘর সংসার করেছিল। এক সময় স্বামী আকতার হোসেন সৌদি পুলিশের হাতে ধৃত হয়ে জেলে চলে যাই। স্বামী আকতার হোসেন জেলে যাওয়াই স্ত্রী বেবী বেগম দেশে চলে আসে। ১ বছর জেল খাটার পর স্বামী আকতার হোসেন ও দেশে চলে আসে।স্বামী দেশে এসে স্ত্রী বেবী বেগমের সাথে যোগাযোগ করে পুনরায় চট্রগ্রাম ডবলমুরিং থানার দারোগা হাট লেইন এলাকার ভাড়াটিয়া বাসায় ঘর সংসার শুরু করতে চাইলে বেবী বেগমের মা মানচুরা খাতুন কাবিন নামা সম্পাদনের দাবী জানিয়ে সংসার করতে বাঁধা প্রদান করে।মায়ের দাবী মেনে নিয়ে তারা পুনরায় ৪ লক্ষ টাকা দেন মোহর ধার্য্য করে কাবিন নামা সম্পাদন করে ঘর সংসার শুরু করে।

কিছু দিন সুখে শান্তিতে সংসার করার পর হঠাৎ স্বামী আকতার হোসেন গোপনে পালিয়ে রামু উপজেলার ঈদগড় ইউনিয়নে পিতার বাড়ীতে চলে আসে।স্ত্রী বেবী বেগম স্বামীর খুঁজে ঈদগড়ে স্বামীর বাড়ীতে আসলে স্বামী আকতার হোসেন প্রেম কাবিন বিয়ে সব অস্বীকার করে এবং গালমন্দ করে বেবী বেগমকে তাড়িয়ে দেয়।

বেবী বেগম স্ত্রীর মর্যদা আদায়ের দাবীতে ঈদগড় ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম্য আদালতে লিখিত নালিশ দায়ের করে।গত ২ আগস্ট ১৬ আগস্ট ও ২৩ আগস্ট তিন ধার্য্য তারিখে বিবাদী আকতার হোসেন উপস্তিত হননি। ৩য় দপা ধার্য্য তারিখে বিবাদী আকতার হোসেন উপস্তিত না হওয়াই গ্রাম্য আদালত আইনগত ব্যাবস্তা গ্রহন করবে বলে জানা গেছে । বেবী বেগমক জানান তাকে আকতার হোসেন প্রতিনিয়ত প্রাণে মেরে পেলার হুমকি দিচ্ছে।

বেবী বেগম আরো জানান গত ২৩ আগস্ট পরিষদে বিচারের সর্বশেষ ধার্য্য তারিখ ছিল।আমি ঈদগড় ইউনিয়ন পরিষদে হাজির হয়ে মামলা মোকাবেলা করে ফিরে যাওয়ার সময় ঈদগড়-ঈদগাঁও সড়কের ঢালায় আমার স্বামী আকতার হোসেন আমাকে অপহরন করে প্রাণে হত্যা করতে চেস্টা করেছিল।তিনি পুলিশ প্রশাসনকে অবহিত করাতে তা করতে পারেনি বলে দাবী করেন বেবী বেগম।

তিনি আরো জানান গ্রাম্য আদালতে সোরহা না হলে তিনি আদালতে মামলা করবেন বলে জানান।
এই ব্যাপারে আকতার হোসনের মোবাইলে একাধিক বার কল দেওয়ার পর ও রিসিভ না করাই তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। এলাকাবাসী এই অসহায় নারী ন্যায় বিচার পাওয়ার স্বার্থে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।


আরো বিভন্ন বিভাগের নিউজ