• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০১:১৭ অপরাহ্ন

ছাত্রলীগ নেতা ইব্রাহিম আজাদ কতৃক ধর্ষিতা নারী’র অভিযোগ আমলে নিচ্ছেনা জেলা ছাত্রলীগ-বিচার না ফেলে আত্বহত্যার হুমকী দিয়েছেন এই নারী

নিজস্ব প্রতিবেদক / ২৬ ভিউ টাইম
আপডেট : শুক্রবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

উখিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম আজাদের যৌন লালসার শিকার হলেন চাকরি প্রত্যাশী অসংখ্য নারী। ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম আজাদ নিজেকে ক্ষমতাধর নেতা পরিচয় দিয়ে অসহায় নারীদের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে আবাসিক হোটেলে নিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করতেন। এ ভূক্তভোগী নারীদের একটি অংশ আশ্রিত রোহিঙ্গা।
গণমাধ্যমকর্মী হাতে আসা অসংখ্য ছবিতে উদুম গায়ে ইব্রাহীম আজাদ একাধিক নারীকে জড়িযে থাকার দৃশ্য দেখা গেছে। শুধু তাই নয় ইব্রাহিম আজাদ রোহিঙ্গা মেয়েদের সাথে অন্তরঙ্গভাবে ভিডিও কলে কথা বলার ছবিও রয়েছে।

সুত্রে জানা যায়, ইব্রাহিম আজাদ নিজের দলীয় পদ ব্যবহার করে কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন এলাকার মেয়েকে রোহিঙ্গাক্যাম্পে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কক্সবাজার বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে নিয়ে ধর্ষন করতেন। কেউ তার প্রতিবাদ করতে গেলে সে নিজের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পরিচয় দিয়ে হুমকি দেন। কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, কেন্দ্রীয় যুবলীগের নেতা ইশতিয়াক আহমেদ জয় ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজমুল আলম সিদ্দিকী ইব্রাহিম আজাদের কাছের মানুষ বলে এসব অপকর্ম করতে সে দিধা করতো না বলে মনে করছেন সাবেক ছাত্রলীগের নেতারা।

উখিয়া ছাত্রলীগের অনেক ত্যাগী নেতাকর্মীরা জানেন না, ইব্রাহীম আজাদ ছাত্রলীগের মত একটি ঐতিহ্যবাহী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কিভাবে হয়েছে। একনেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন অছাত্র ইব্রাহীম আজাদের যোগ্যতার সনদ নাকি ইশতিয়াক আহমদ জয়। ইশতিয়াক ভাই তা স্ট্যাটাস দিয়ে দেশবাসীকে জানিয়ে ছিলেন।
এদিকে চাকরি দেওয়ার নামে বিভিন্ন মেয়েকে আবাসিক হোটেলে নিয়ে যাওয়া, শপিংমলে নিয়ে যাওয়া ও বিভিন্ন অন্তরঙ্গ ছবি নিয়ে উখিয়া সহ পুরো দেশে সর্বত্র চলছে গুণজন।
অভিযোক্ত উখিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম আজাদ ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, ছবি গুলো আমার নয়। আমাকে সামাজিকভাবে হেয় করার জন্য একটি মহল সড়যন্ত্র করছে।

এই বিষয়ে কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগে সাধারণ সম্পাদক মারুফ আদনান জানান, কোন ব্যাক্তির ব্যক্তিগত অপরাধের দায় সংগঠন নেবে না। সংগঠনের কারো বিরুদ্ধে এ ধরণের কোন অভিযোগ আসলে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে তখন জানালেও সম্প্রতি জেলা ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই নেতার হঠাত অবস্থান পরিবর্তন সাধারণ মানুষের মাঝে নানান প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।

জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মারুফ আদনানের কাছে অসহায় চাকরি প্রত্যাশী ধর্ষিতা এক মেয়ের অভিযোগের অডিও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেইজবুকে ভাইরাল হওয়ার পর জেলা ছাত্রলীগের সুর পাল্টে গেছে।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেইজবুকে ভাইরাল হাওয়া এক অডিও রেকর্ডে  অসহায় চাকরি প্রত্যাশী ইব্রাহিম আজাদের হাতে প্রতারণার শিকার এক নারী জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মারুফ আদনান কে প্রতারণা ও ধর্ষণের বিস্তারিত বর্ণনা দিচ্ছে ও আসহায় মেয়েটি তার  ছবিগুলো ফেইজবুক থেকে সারিয়ে ফেলার অনুরোধ করছে ও জেলা ছাত্রলীগ এই বিষয়ে কোন ব্যবস্থা না নিলে আত্বহত্যার করবেন বলে জানানোর পরেও অডিও রেকর্ডে শুনা যাচ্ছে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মারুফ মেয়েটির কোন অভিযোগ বা মেয়েটির প্রতি সদয় না হয়ে মেয়েটি’কে বারবার ইব্রাহিম আজাদের সাথে বিয়ে দেওয়ার তামাশা করে যাচ্ছেন।

বর্তমান জেলা ছাত্রলীগের এমন কর্মকাণ্ডে কক্সবাজার জেলা সহ দেশ জুড়ে চলছে সমালোচনা। সাবেক ছাত্রলীগের সিনিয়র নেতারা জানান, জেলা ছাত্রলীগের বর্তমান কর্মকাণ্ড বঙ্গবন্ধু আদর্শের সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সুনাম নষ্ট করার পাশাপাশি প্রশ্ন বিদ্ধ করছে বঙ্গবন্ধু স্বপ্নকে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেইজবুকে ভাইরাল হওয়া বিভিন্ন ছবি প্রমাণ করে ইব্রাহিম আজাদ চরিত্রহীন, তাহলে কেন লিখিত অভিযোগের নামে ইব্রাহিম আজাদ’কে আশ্রয় দিচ্ছে জেলা ছাত্রলীগ? জেলা ছাত্রলীগের এমন কর্মকাণ্ড খতিয়ে দেখার জন্য কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ ও আওয়ামীগের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ।

এদিকে জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক মারুফ আদনানের বিরুদ্বে মোটা আংকের অর্থ লেনদেনের বিনিময়ে ইব্রাহিম আজাদ’কে অাশ্রয় দেওয়া ও এখনো সপদে বহার রাখার  অভিযোগ উঠেছে।


আরো বিভন্ন বিভাগের নিউজ