• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০২:৪৭ অপরাহ্ন

সন্ত্রাসী আশু আলী বাহিনীর হাতেই প্রাণ গেলো ২ সন্ত্রাসীর

এক্সক্লুসিভ প্রতিবেদন / ২২ ভিউ টাইম
আপডেট : সোমবার, ৩১ মে, ২০২১

কক্সবাজার শহরে আশু আলী বাহিনী ও রায়হান—রকি বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দুইজন নিহত হয়েছে। সোমবার (৩১ মে) বিকেল ৫টার দিকে শহরের দক্ষিণ রুমালিয়ার ছড়া সিকদার বাজারে এ ঘটনা ঘটে। নিহত দুইজন হলেন, টেকপাড়া এলাকার সাহেদ (২২) ও দক্ষিণ রুমালিয়ার ছড়ার রায়হান (২৩)। এ ঘটনায় হাসান নামে আরও একজন গুরুতর আহত অবস্থায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

সদর হাসপাতালে আহত হাসান জানান, তাকে অপরহরণ করে নিয়ে যায় আশু আলী বাহিনীর সদস্যরা। তাকে রায়হান ও রকি বাহিনী উদ্ধার করতে গেলে ঘটনার সূত্রপাত হয়।

স্থানীয়রা বলছেন, শহরের রুমালিয়ার ছড়া, এবিসি ঘোনা, চেয়ারম্যান ঘাটা, সমিতি বাজার, সিকদার বাজার, উপরের দোকান, সাহিত্যিকা পল্লী, বিজিবি ক্যাম্প ফরেস্ট অফিস সংলগ্ন এলাকা, পল্লাইন্না পাড়া, পাহাড়তলী, বাদশা ঘোনা, ফাতের ঘোনা, বৈদ্য ঘোনা ও জেল খানার মাটিয়াতলীসহ আশপাশে এলাকায় সক্রিয় রয়েছে রকি বাহিনী, আশু আলী বাহিনী, সাদ্দাম বাহিনী, আবছার বাহিনী, হাসনাত বাহিনী, রায়হান বাহিনী, তারেক বাহিনী, হামিদ—রায়হান বাহিনী, সালমান বাহিনী, রাদি বাহিনীসহ আরও একাধিক দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী বাহিনী। এসব সন্ত্রাসীরা জমি দখল, অপহরণ, চাঁদাবাজি, মাদক পাচার—ছিনতাইসহ নানা অপকর্ম করে যাচ্ছে। তাদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে লেগে রয়েছে দ্বন্দ্ব। সম্প্রতি পুলিশের অভিযানে সাদ্দাম বাহিনীর প্রধান সাদ্দাম অস্ত্রসহ আটক হলেও তার রাজত্ব চালাচ্ছে আশু আলী বাহিনী। এই আশু আলী বাহিনীর সাথেই রকি ও রায়হান বাহিনীর প্রায় সময় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষ হয়ে আসছে। সর্বশেষ আশু আলী বাহিনীর সাথে রায়হান—রকি গ্রুপের নিজেদের মধ্যে জমির ভাগভাটোয়ারা নিয়ে বিরোধের জের ধরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

এ ব্যাপারে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মুনিরুল গিয়াস জানান, দুইজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। গুলিবিদ্ধ হয়ে তারা মারা গেছেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, সন্ত্রাসীদের আটকে পুলিশের অভিযান শুরু হয়েছে। অচিরেই পর্যটন শহরকে সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত করা হবে। এ জন্য তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান বলেন, সবকিছু আমরা তদন্ত করছি। তদন্তের স্বার্থে অনেককিছু বলা যাচ্ছে না। তবে ঘটনা যারা ঘটিয়েছে তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে। অচিরেই তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন আমরা সন্ত্রাসী ও কিশোর গ্যাং ধরতে অভিযান চলছে। ইতোমধ্যে সাদ্দাম বাহিনীর প্রধান সাদ্দামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপরাধ করে কেউ পার পাবে না।


আরো বিভন্ন বিভাগের নিউজ