• শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ০৪:০৭ পূর্বাহ্ন

জেলা শ্রমিক লীগ নেতার মৃত্যুতে আড়াই ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ

বিশেষ প্রতিবেদক / ৮৩ ভিউ টাইম
আপডেট : সোমবার, ৮ নভেম্বর, ২০২১

জেলা শ্রমিক লীগ নেতা জহিরুল ইসলামের মৃত্যুতে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের লিংকরোডে টায়ার জ্বালিয়ে এবং পিলার ও গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ করেছেন দলীয় নেতাকর্মীরা।

রোববার (৭ নভেম্বর) দুপুর ২টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত সড়কে আওয়ামী লীগ, শ্রমিক লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অবরোধ করেন।

অন্যদিকে কক্সবাজার শহরের প্রধান সড়ক ও বিভিন্ন উপজেলা শহরে দলীয় নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় বাস চলাচল বন্ধ থাকলেও আন্তঃজেলা ক্ষুদ্র পরিবহন ও নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় কক্সবাজার আসা রোগী ও পর্যটকসহ পথচারীরা আটকে পড়েন। খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

৫ নভেম্বর রাত সোয়া ১০টার দিকে একদল দুর্বৃত্ত মোটরসাইকেল ও সিএনজিচালিত অটোরিকশাযোগে লিংকরোডের মেম্বার কুদরত উল্লাহর অফিসের সামনে এসে অতর্কিত গুলি করে পালিয়ে যায়। এতে গুলিবিদ্ধ হন জহির ও মেম্বার কুদরত। তাদের দুজনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় দুজনকেই রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার দুপুরে মারা যান জেলা শ্রমিক লীগ সভাপতি জহিরুল ইসলাম।

হামলায় নিহতের ছোট ভাই বর্তমান মেম্বার কুদরত উল্লাহ সিকদার ঝিলংজা ইউপি নির্বাচনের সদস্য প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন।

নিহত জহিরুল ভাগনে আলাউদ্দিন বলেন, মামার মারা যাওয়ার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ পরিবহন শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার (ভারপ্রাপ্ত) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, গুলির ঘটনায় এখনো কেউ অভিযোগ দেয়নি। তবে পুলিশ ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে এলাকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। গুলিবিদ্ধ একজনের মৃত্যুর খবরে সড়ক অবরোধের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীকে বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। অভিযোগ পেলে ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরো বিভন্ন বিভাগের নিউজ