• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৩৭ পূর্বাহ্ন

কক্সবাজার জেলার ছাত্রলীগের সভাপতি ইশতিয়াক আহমদ জয়ের ফেইজবুক স্ট্যাটাস

নিউজ রুম / ৫২৫ ভিউ টাইম
আপডেট : শুক্রবার, ৩ মে, ২০১৯
ছবি-ফেইজবুক থেকে সংগৃহীত

চ্যানেল কক্স : চকরিয়া উপজেলায় কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সদস্য তারেকুল ইসলাম রাহিত এর উপর সন্ত্রাসী হামলার বিষয় নিয়ে কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জনাব ইশতিয়াক আহমদ জয় তার ফেইজবুকে  ০৩-০৫-১৯ ইংরেজী একটি স্ট্যাটাস প্রকাশ করেন, নিচে তা হুবুহু দেওয়া হল :

সমালোচনা হলে তার জবাব দেওয়া যায়,সমালোচনার বিপরীতে আত্মপক্ষ সমর্থন ও করা যায়,কিন্তু কুৎসার বিরুদ্ধে
ঠি ক কি উত্তর দেওয়া যায় তা আমার জানা নাই।আর সত্যি বলতে কি এই ব্যাপারে জানার আগ্রহও আমার কম।

চকরিয়া উপজেলায় কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সদস্য তারেকুল ইসলাম রাহিত এর উপর যে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে সেই হামলার সাথে আমার প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষ সম্পৃক্ততা নিয়ে যারা বিপ্লবী স্ট্যাটাস প্রদান করছেন তাদের জ্ঞাতার্থেঃ

১)”গণআন্দোলন ছাড়া,গণবিপ্লব ছাড়া বিপ্লব হয় না।”
– বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান

পাঁচজন মিলে একইরকম স্ট্যাটাস দিয়ে,ওই স্ট্যাটাসে পাঁচজনই লাইক দিয়ে,পাঁচজন মিলে আলোচনা সমালোচনা করে বড় জোর পাঁচফোড়ন হয় কিন্তু বিপ্লব হয় না।

২) অভিযোগ কারো বিরুদ্ধে করলে এমন কোনকিছু সামনে আনা উচিৎ না,যাতে তাঁর সুনাম ও উৎকর্ষতা বৃদ্ধি পায়।

নৌকার পক্ষে কাজ করতে ছাত্রলীগের কোন জেলা ইউনিটের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক (তৎকালীন শহর ছাত্রলীগের সভাপতি) যদি প্রতিকূল কোন পরিস্থিতিতে কর্মীদের সামনে ঠেলে নিজেরা পিছপা না হয়ে বরং নিজেরাই পরিস্থিতি মোকাবিলায় সচেষ্ট থাকে,
তবে সেই পরিস্থিতিতে কাঙ্ক্ষিত বা অনাকাঙ্ক্ষিত যাই ঘটুক না কেন তাতে দলের প্রতি আনুগত্য যেমন প্রকাশ পায়, তেমনি প্রকাশ পায় নেতৃত্বের গুনাবলী। এরচেয়ে প্রশংসনীয় প্রচার একজন রাজনৈতিক নেতা বা কর্মীর জীবনে আর কিছু হতে পারে না।

অপপ্রচার করতে গিয়ে যারা নির্বুদ্ধিতার কারণে এই প্রচার করছেন তাদের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা।

৩) তারেকুল ইসলাম রাহিত কে?
রাহিত আমার ছাত্রলীগের সহযোদ্ধা।
বর্তমান কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সদস্য এবং চকরিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি।এই দুই পদবী তার রাজনৈতিক জীবনে কে যোগ করেছেন দয়া করে বলবেন কি?

এইবার ব্যক্তিগত কয়েকটা কথা বলিঃ
ছাত্রলীগ আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে।ছাত্রলীগ আমাকে দিয়েছে অনেক অনুভূতি,অনেক যন্ত্রনা,এমনকি অনেক অনেক ভাল লাগার মূহুর্ত ও….

প্রশাসনে নিয়োগ দুর্নীতির বিরুদ্ধে স্থান নিয়েছি।মাদক ব্যবসায়ী গডফাদারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছি।ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছি।

আমার অবস্থান নেওয়ার একটা দাম আছে কোন আজগুবি অভিযোগের বিরুদ্ধে তাই তেমন বিশেষ কোন আগ্রহ আমার নাই।

ও আর একটা কথা..
আমি ইশতিয়াক ছাত্রলীগের নেতা না হওয়ার বেদনা যেমন জানি তেমনি প্রার্থী হয়ে নেতা না হতে পারার দহন ও আমি বুঝি।আমার নেতা না হতে পারার করুন একটা ইতিহাস আছে।

আবার,
আমি এই ইশতিয়াক,
ছাত্রলীগের নেতা হয়ে দায়িত্বশীলতার ভার কতো বিশাল তাও খুব ভাল ভাবে জানি।

আমার হারানোর কিছু যেমন নাই আবার পাওয়ারও কিছু নাই।

কারণ,
অস্তিত্বময় সমুদ্রে যা কিছু আছে
তার কোন কিছুই আমার না।আবার যা কিছু আছে তার সবকিছু শুধুই আমার।এগুলোতেই আমি আমার অস্তিত্ব খুঁজে পাই।

সবশেষে,
সবার প্রতি অবিরাম ভালবাসা ও শ্রদ্ধা…


আরো বিভন্ন বিভাগের নিউজ