কক্সবাজারের এসপি মাহফুজুল ইসলাম বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্রজনতার আন্দোলনে কক্সবাজার জেলা পুলিশের ভূমিকা নেতিবাচক ছিলনা। এতে করে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কম হয়েছে। বুধবার নবগঠিত কক্সবাজার প্রেসক্লাব কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি একথা বলেন।
বুধবার দুপুরে প্রেসক্লাব কমিটির সদস্যরা পুলিশ সুপারের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করতে গেলে পুলিশ সুপার এসব কথা বলেন।
পুলিশ সুপার আরো বলেন, ৪ আগষ্ট রাতে ঈদগাঁও থানায় এবং ৫ আগষ্ট রাতে কক্সবাজার সদর থানায় কিছু দৃষ্কৃতিকারী আক্রমন করে। এসময় ২৫/৩০টি গাড়ি জ্বালিয়ে দেয় এবং মালামলের ক্ষতি সাধন করে। এর সাথে কোন নিরীহ ছাত্রজনতা জড়িত নেই। আর ওই সময় পুলিশ সংযত না হলে অনেক হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারত। কিন্তু কক্সবাজারের পুলিশ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্রজনতার আন্দোলনের প্রতি সম্মান জানিয়ে কোন একশনে যায়নি।
এসপি মাহফুজুল ইসলাম আরো বলেন, কক্সবাজার জেলা পুলিশে ১৭ শত সদস্য কর্মরত। এপর্যন্ত প্রায় ১৫ শত পুলিশ সদস্য কর্মস্থলে যোগদান করেছেন। আগামী কালের মধ্যে বাকি সদস্যরাও যোগদান করবেন বলে তিনি আশা করেন। এখন ফোর্স রান করার জন্য সদর থানায় এবং ঈদগাঁও থানায় কোন গাড়ি নেই। তিনি এবিষয়ে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন।
তিনি আরো বলেন, কক্সবাজারের আন্দোলনকারী ছাত্রজনতা পুলিশের প্রতিও সদাচরণ করেছেন। এজন্য তিনি কৃতজ্ঞ।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম ও ট্রাফিক পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন চৌধুরী।
প্রেসক্লাব প্রতিনিধি দলে ছিলেন-সভাপতি মাহবুবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মমতাজ উদ্দিন বাহারী, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আতাহার ইকবাল, জিএএম আশেকুল্লাহ, সদস্য শামসুল হক শারেক, কামাল হোসেন আযাদ, ইকরাম চৌধুরী টিপু, মুরশেদুর রহমান খোকন, আবুছিদ্দিক ওসমানী ও মুাম্মদ হাশিম।